নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রাজিত বন্দোপাধ্যায়







জীবনের চাপ    
*************

 
আবার এলো উমার আসার পালা
বেহায়া মনে ছমকাছমকি রে ,  
মনের খুলে খড়খড়িটা --  
একি বেশে চলে উমা অভিসারে !   
শিবের ত্রিনয়ন শক্তিহীন এখন      
পরকীয়ার পরম রসে --     
জেন তাতে আর না আছে   
কোন ক্লেশ মা উমার কাছে !!   
তোমরাই তো মা নরনারী তরে  
খুলেছো রুদ্ধ পরকীয়া দ্বার --     
আইনের বেড়ি ফেরি হল আজ   
বিচারকের করি জয় জয়কার ।  
তোমাদের উমা মাটির প্রলেপে  
যত রুদ্ধশ্বাসে সাজুক না কেন --   
যতই ঝলসাক হ্যালোজেনের আলোয়    
গহনা আর পরিপাটির তাপে ,     
সবকিছু আজ বদলে গিয়েছে যে ছাই    
তোমাদের নতুন জীবনের চাপে । 

তোহাদ্দেশ সেখ




পতিতার রাত
*************


       

পতিতার রাত প্রজাপতি হাসে না।
কামুক ইচ্ছেরা উঠ বস করে  
যোনিখোর টাকার ইশারায়।
অশ্রু বা বীর্যের পূর্ব মুহূর্ত গুলো 
লিখে রাখে পুরোনো চৌকাঠ।
কামের সর্বনাশা যদিও সুখের খোঁজে চোখ বুজে।
রাতের বা সর্বনাশার বা পুরোনো চৌকাঠের 
অদেখা থেকে যায় টাকার প্রয়োজনটা।

দোলন দাস মণ্ডল






লজ্জাব্রত
*********




ঠাকুমার ঝুলি হাঁটকালে এখন রূপকথা না,
বেরিয়ে আসে ভোর রাতের ধর্ষণের গল্প। 
   নাতনিদের চোখে অসহায়তা,
            কিছু নাতিদের চোখে লজ্জা 
                          কিছুর চোখে উল্লাস। 

              এ শহরকে আমি চিনি না। 
         জন্মাবধি যাকে আমি চিনে আসছি। 
পিছন ফিরে আমার শৈশবকে অলীক বলে মনে হয়। আঙুল ধরে বড়ো করে তোলা জল-হাওয়া-পথ- মাঠ-ঘাস-
         সবাইকে আজ ধর্ষকের মতো লাগে। 
         
       ... ওরা রাজপথ দিয়ে উলঙ্গ হাঁটে, 
আমরা শালীন পোশাকি রক্ষাকবচ বানানোর মিথ্যে চেষ্টায়.....!
তারপরও শ্বেতশুভ্র শাড়িতে ভয়ঙ্করতার  লাল! 
          দেখি,  চমকে উঠি...
আর বাড়ি ফিরে শিবরাত্রির ব্রত রেখে
   লিঙ্গের মাথায় ঢালি কামনার জল....। 
           

প্রনবেশ চক্রবর্তী




কাপুরুষ নাকি পুরুষ!! 
********************





 ও মেয়ে এক্কেবারেই নারী তো নোস তো তুই বড্ড ছোট্ট শিশু,
তোর আবার কি নারী দিবস, চকলেট দে রে দাশু।
তোর সঙ্গে করলে মজা তাতেও হবে ইস্যু?
চুপ কর তো মজা নিতে দে দেখাস নে তোর আঁশু!

ও মেয়ে তুই বেশ তো ছুঁড়ি, বেশ তো রাইকিশোরী,
তোরও আবার নারী দিবস মানতে যে না পারি! 
আয় না কাছে ঝোপের নীচে একটু আদর করি,
এই তো বয়েস কর না আয়েশ কান্না কি দরকারী?

ও মেয়ে তুই ভরযুবতী ঠিক আছে তুই নারী,
তা হলে তো নারী দিবস তোর জন্যেই ভারী!
নে মেনে নে শান্তমনে করিস না দরাদরি,
নাহলে কিন্তু ভালো হবে না করবো গা জোয়ারি!

ও মেয়ে তুই মাঝবয়েসী সুন্দরী, সংসারী?
নারী দিবস তোরও নাকি? যাঃ কি যে করি!
ছেলে মেয়ে আছে আবার থাক না, তোকেই ধরি,
আমরা পুরুষ অত্যাচারী চাই শুধু একটা নারী! 

ও মা, এটা কে, ঠাকুমা? সত্তর, আশির বুড়ী,
এরও আবার নারী দিবস কি দিন এলো মাইরি!
চল বুড়ীকে সবাই মিলে ধরে মজা করি,
সগ্গে যাবার আগে নাহয় হোক সে আবার নারী!

এই তো হলো নারী দিবস কারো কারো চোখে নারী,
সারা বছরে একটা দিন তো নাহয় একটু হারি! 
হারবো কেন? হোক না তা সে রোজ দিবসই নারী,
ভোগ করতে এসেছি যখন ত্যাগটা কি জরুরী?

আমরা তো আর চাইনি কোন সত্যি পুরুষ দিবস,
তাহলে সত্যি পুরুষই হতাম দিতাম প্রেমের পরশ,
আমরা হলাম কাপুরুষ বুঝলি? এক্কেরে কাপুরুষ!  
নারীতে বাঁধা নাড়ী মোদের মানবো না কোন বয়স!

একদিন হোক নারী দিবস নেই কোন আপত্তি,
বাকি সব দিন পুরুষ দিবস বুঝলি তো এই সত্যি?
না বুঝলেও কি করবি বল? করবি কিছু বিপত্তি? 
যত পারিস বল কাপুরুষ! তবু নারী মোদের সম্পত্তি! 


পারমিতা সাধুখাঁ







বিচিত্রতা
**********




জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে
জি.এস. টির দৌলতে l
চলছে জীবন সস্তাচালে
রেশন দোকান আছে ll

শ্রমের মূল্য ঘামের কাছে
টাকায় কিনে বেচে l
দিনমজুরের আবেগ মরে
খড়ের গাদায় গুঁজে ll

ভোটের নেশায় সমাজ ছোটে
নতুন সরকার গড়ে l
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে
মুখ মুখোশের ঢালে ll

নতুন আলো আলেয়াতে
উলঙ্গ রাজার দেশ l
তবেদারি তোষামোদে
কাটছে জীবন বেশ ll

রবি মল্লিক





সৈনিক
*******



ইতিহাসের পাতা রক্তে রাঙ্গা
বিবিধ যুদ্ধে ভরা,
যাঁদের নাম লেখা রয়েছে
শুধুই কি ছিল তাঁরা?
শক, হুন, মুঘল, পাঠান
এলো আর কতো গেলো,
তাঁদের ধ্বজা তুলতে গিয়ে
নিভল সহস্র আলো৷
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সবই
সৈন্যের লাশের স্তূপ,
রক্তপিপাসু যুদ্ধক্ষেত্র
করবে যে কবে চুপ?
পাতা উল্টে শুধু যুদ্ধের
নায়কদের কথাই পাই,
রাজতন্ত্রের মূল কান্ডারি
সৈন্যরা কোথাও নাই!
সৈন্যরা সব রক্ত দিয়ে
রক্ষা করে সীমানা,
তাঁদের দুঃখ তাঁদের কষ্ট
আছে কী কারো জানা?
দেশের কাছে দশের কাছে
এটাই বলে যাই,
সন্মানের সাথে সৈন্যরা যেন
হৃদয়ে পায় ঠাঁই৷