শরৎ
*******
শরৎ , তুমি বড্ড কৃপণ,
জগৎ জুড়ে আসো না,
বাংলা মায়ের কোলটি ছেড়ে,
ভুবন জুড়ে থাকো না ।
পৃথিবীটা যে বড্ড ছোট,
ওয়েব জালে বন্দি ।
মানিকতলা আর ম্যানহ্টান করেছে যে সন্ধি ।
বর্ষার ঐ ভরা যৌবনে নদী ও কুমারী,
শরতের ঐ হিমেল পরশে প্রকৃতি ও সুন্দরী।
খোঁপায় গুজে কাশফুল তুমি রূপবতী,
কৈলাসের ঐ শ্রীময়ী আসে তব ঋতুতে,
আপামর বঙ্গবাসী মাতে উৎসবে।
নিউজার্সির ঐ বাঙালি পাড়ায় শ্রীময়ী পূজিত,
ঘরকুনো সেই বাঙালি আজ বিশ্ব ব্যাপিত ।
বাংলায় তুমি খুশির হাওয়া, বৃষ্টি থেকে মুক্তি,
ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাসেতেই উৎসবেরই ব্যপ্তি ।
সম্প্রীতির এই বাংলাতে পরব - পার্বণ একসাথেতেই ঘটে,
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উৎসবেতে মাতে।
জগতেরই ঐশ্বর্য যত তোমাতেই মুখরিত,
সোনালী ঐ ধানের শিষে প্রান্তর প্লাবিত ।
গরীবের ও ঠোঁটে ফোটে এই সময়েতে,
অন্ন বস্ত্র বিতরণ হয় পরব - পার্বণেতে ।
শরৎ তুমি গ্লোবাল হচ্ছ না কেন?
ম্যানহ্টানে এই সময় শীত আসে জান?
" রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করনি" -
কথাটা সত্যি নয়কো আজ,
ঘরকুনো বাঙালি আজ কর্পোরেট - গ্লোবাল ।
মহাষ্টমীর সন্ধ্যা আরতি হয় সর্বত্র,
শরতের আমেজ থেকে বঞ্চিত কেন থাকে পাশ্চাত্য?
কনকনে ঐ ঠান্ডাতে কাঁপছে ওরা,
উৎসবের আমোদে তবু মাতছে ওরা ।
শরৎ তুমি ছড়িয়ে পড়ো বিশ্ব জুড়ে,
মধুমাখা তব হিমেল পরশ ছড়াক সাগর পাড়ে ।