নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শিল্পী দত্ত





বারবনিতা
 ********



আমি প্রতিরাতে মনের পসরা সাজিয়ে,
তোমার অপেক্ষায় জ্বেলেছি জোনাকির ঝাড়বাতি।
বারবার তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁট,
মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে প্রতিরাতে করা তোমার শপথের কথা‌।
তুমি আমার সন্তানের পিতা হয়েছ,
তবু আজও মোছেনি আমার কপালের 'বারবনিতার' আখ্যা। 
তোমার হাত বহুবার আমার শরীর ছুঁয়েছে,
কিন্তু আমার মনের অভিমান আজও রয়ে গিয়েছে                     তার নাগালের বাইরে।                                                                  কি প্রচন্ড অধিকারে প্রতিরাতে ছিঁঁড়ে টুকরো টুকরো করেছো আমার নারী সত্তাকে।                                               নিজের চোখের সামনে দেখেছি আমার কত স্বপ্নের মৃত্যু।             তবু আজও আমি  প্রতিরাতে তোমার অপেক্ষায়                     আমার মনের পসরা সাজাই‌,                                                       শুধু আজ ঝোনাকির ঝাড়বাতির বদলে  জ্বলতে থাকে           আমার স্বপ্নের চিতা।

স্বরূপা রায়




অগ্রাধিকার নয়, সমাধিকার চাই
*****************************



নাবালক ছেলেকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত দুই মহিলা...
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার প্রেমিকা...
বাসের মধ্যে শ্লীলতাহানি, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন যুবক...
বন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, গ্রেপ্তার মহিলা...
স্বামীকে পুড়িয়ে মারলেন স্ত্রী, পলাতক স্ত্রী...
নিজের পেটের শিশু কন্যাকে গলা চেপে খুন করলেন মা, সিসিটিভি ফুটেজে সেই ভয়াবহ দৃশ্য...
আপনারা আমার লেখা পড়ছেন, আর ভাবছেন যে লেখিকা পাগল।
না, না আমি একদম সুস্থ, পাগল না। উপরে আমার লেখা খবরগুলো বাস্তব। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসে না।
তার কারণ কি?
কারণ, পুরুষরা এখনো নির্যাতিত হলেও সেটা নিয়ে অভিযোগ করতে ভয় পায়। যারা অভিযোগ করে সাহস করে, তাদের উপর সমাজ হাসে। কম মশলাদার আর মানুষের তেমন কৌতুহল এই বিষয়ে না থাকায় কোনো খবরের কাগজে বা খবরের চ্যানেলে এসব খবর তেমন দেখানো হয় না। আর মূল কারণটা হলো, আমাদের সমাজ নারীর দোষ দেখে না, নারী সবসময় মা-বোনের অজুহাতে পাড় পেয়ে যায়। আর নারীর হাতে তো মোক্ষম অস্ত্র আছেই, মিথ্যা নারীকেন্দ্রিক মামলা।
পণের জন্য যেমন বধূ হত্যা হয়, তেমনি পরকীয়া বা আর্থিক মর্যাদা স্বামী বজায় রাখতে না পারলে স্বামী হত্যাও হয়।
নারীর যেমন ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি হয়, তেমন পুরুষেরও ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি হয়।
অনেক বাবা যেমন সন্তানকে মেরে ফেলে অবাঞ্ছিত কারণে, অনেক মাও সন্তানের ঘাতক হয়ে ওঠে।
স্কুল-কলেজে ছাত্রীরা বা অফিসে মহিলা কর্মচারীরা যেমন সুরক্ষিত না, তেমনি ছাত্ররা বা পুরুষ কর্মচারীরাও সুরক্ষিত না।
আমার বা আপনার মা, বোন, দিদি, মেয়ে, বউদি, কাকীমা, বান্ধবী, প্রেমিকা বা স্ত্রী যেমন সুরক্ষিত না আমাদের সমাজে। ঠিক তেমনি আমাদের বাবা, দাদা, ভাই, ছেলে, জামাইবাবু, কাকু, বন্ধু, প্রেমিক বা স্বামীও সুরক্ষিত না আমাদের সমাজে।
ভারতীয় মহিলা কমিশনের ২০১৩-১৪ রিপোর্ট অনু্যায়ী ৫৩.২% ধর্ষণের মামলা মিথ্যা। ধর্ষণ হলে তো আমরা খবর পাই। কিন্তু সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হলে, আমাদের কান অবধি সেটা পৌঁছায় না।
কত স্ত্রী নিজের আর্থিক মর্যাদা বজায় রাখার জন্য স্বামীর উপর অত্যাচার করে। এটা পণের জন্য অত্যাচারের চেয়ে কম কি?
কত নাবালক ছেলেগুলো বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন নারীর তীব্র পাষবিক যৌন লালসার শিকার হয়। আমরা কয়টা জানতে পারি?
আসলে আমরা ছোট থেকেই শুনে এসেছি নারীর উপর অত্যাচার, নারী পণ প্রথার বলি, এই সমাজ নারীকেন্দ্রিক। আর সেই নিয়েই নারীর অধিকারের লড়াই।
কিন্তু নারীর অধিকার লড়াইয়ে যে আমরা আমাদের সমাজের পুরুষদের নরকে ঠেলে দিচ্ছি সেটা কেউ লক্ষ্য করলো না।
যেক্ষেত্রে নারী পিছিয়ে, সেই ক্ষেত্রে নারী অধিকার পাক। কিন্তু সমাধিকার, অগ্রাধিকার নয়।
আর যেক্ষেত্রে নারীরা আজ অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং তাতে পুরুষদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। সেই ক্ষেত্রে নারীকেই দাঁড়াতে হবে নিপীড়িত পুরুষদের পাশে।
একদিন বহু বিবাহ প্রথা বন্ধে, বাল্যবিবাহ বন্ধে বা সতীদাহ প্রথা বন্ধে যেমন আমাদের সমাজের পুরুষরা এগিয়ে এসেছিলেন। আজ তেমনি পুরুষ নির্যাতন বন্ধ করতে আমাদের নারীদেরই এগিয়ে পুরুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
নারী বা পুরুষ কারোরই অগ্রাধিকার চাইনা আমরা। আমরা চাই নারী-পুরুষের সমান অধিকার। মানবতার স্বার্থে সমাজ এবং আইন ব্যবস্থা এগিয়ে আসুক।


বিকাশ দাস







ইদানীং



ঘরে খিল দিয়ে
কার দিকে চেয়ে
নিজের মতো করে ছড়িয়ে আছো
নিশ্বাসের ভেতর
ভালোবাসা যতো ভরিয়ে আছো ।

তুমি চলে যাচ্ছিলে
আমায় আলগোছে
বেশ কয়েকটা আলতো চুমু দিয়ে অভিমানে
তোমার এলোচুল শাশ্বত আনন্দ হয় যেখানে 

আকাশের নীচে খোলা হাওয়া
অসহায় শরীরের বাগান প্রাণবন্ত
চুমুর দহন 
ঠোঁটের আতপতাত সর্বোত্তম
রমণ মরণ 
গুচ্ছগুচ্ছ ঘাসের ডগায় শিশির
রমনপ্রপাত হৃদয়লীন  
রোদের ঝলসানি
চন্দ্রমার মতো যৌবন শরীরে রমণী ।

অনেক দিনপর বৃষ্টি দেখলাম
তোমার জানলায় একলা শীত
হাত বাড়িয়ে ডাকছিলো তোমাকে
তখন
তুমি অন্য বৃষ্টির মেঝেতে শুয়ে
ঠোঁটের সব  পুরোনো রঙ ধুয়ে
আঁকছিলে তোমার  নিজের রঙের বিহ্বলতায় 
নিঃসঙ্কোচে
গৃহিণীর শরীর বদলে অন্যের বিষয়ী সুখীর ঈর্ষায়
তোমার ব্যক্তিগত সুখ 

আমার রাত্রি ব্যতিক্রম হাওয়ায়
আমার একলার সংবৃত বিছানায়  
আজও বেশ লাগে তোমার বিয়ের বেনারসি শাড়ি
সেই রঙ সেই গন্ধ সেই ঢঙ  সুতোর বুনোনভারি
যেন বাইশের যুবতী বয়স । ধারাল ছুরি উচ্ছ্বসিত ।
তোমার শরীরের সব খাঁজ শাড়ির প্রত্যেক ভাঁজে
দিনলিপির রোজনামচা প্রনয়সারা বিলোল লাজে 

ইদানীং
পৃথিবীর দুয়ার দিয়ে  
আকাশের দুয়ার  দিয়ে
তুলে রেখেছি
তোমার বেনারসি শাড়ি ফুলের ফাঁস সম্পর্কের আঁচ উৎসঙ্গের সারে 
খুব যত্নে দু ‘চারটে  ন্যাপথলিনের গুলি ছড়িয়ে আলমারির অন্ধকারে 
সুস্থ আমি তোমার দীর্ঘ সহবাসের ছায়ায় সৌকর্য ঢেলে আমার শরীরে 


রিয়া ভট্টাচার্য



এবং সামাজিকতা
 ****************



মেয়েটা কৃষ্ণকলি, বিবাহের বাজারে প্রতিবার প্রত্যাখাত। টেকো,বেশি বয়সী পাত্রপক্ষ অনায়াসে মূল্যের দাঁড়িপাল্লায় বিচার করে তার কার্যকারিতা,  পাত্র থেকে পাত্রের দাদা-ভাই-কাকা-জ্যেঠা প্রতিটা রোমকূপ পরখ করে লালসার দৃষ্টিতে। বাবা-মা কোনোক্রমে মেয়ে বিদায় করে সামাজিক মর্যাদা বাঁচাবার চেষ্টায় রত, হোকই না মেয়েটি পড়াশুনায় ভালো অথবা গানের সুরে রাতপরীদের নামাতে পারে জোছনাঘেরা প্রান্তরে। বিবাহের বাজারে সে তাও অচল আধুলিই, আজও রং-রূপ দিয়ে মানুষের গুণ বিচার হয় কিনা!! এই মেয়েই যখন পণের বাজারে বলিপ্রদত্ত হয়ে চারকাঁধে চেপে নাচতে নাচতে শ্মশানঘাটে যাবে, এই বাবা-মাই কাঁদতে কাঁদতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলবেন--" সব পাত্রপক্ষের দোষ"। হায় রে সামাজিকতা!!

ছেলেটা বেকার, ভালোবাসে উচ্চপদস্থ চাকুরীরতাকে। দুজনে বড্ড সুখী, শেষ বিকেলের মরা রোদ গায়ে মেখে গঙ্গাপাড়ে বসে ভাগ করে খায় ঝালঝাল বাদাম। গোধূলির রক্তিম সূর্যকে সাক্ষী রেখে স্বপ্ন সাজায় চারদেওয়ালের একটা ছোট্ট ঘরের, যেখানে অন্ধকারের মাঝে আলোকদীপ হয়ে উড়ে বেড়াবে জোনাকিরা। ছোট সংসার, যেখানে দিনের শেষে কাজ সেরে ফেরা পরিশ্রান্ত মেয়েটার কপালে হাত বুলিয়ে ক্লান্তি মুছিয়ে দেবে ছেলেটা, মুখের কাছে এগিয়ে দেবে পিপাসার জল, তারপর ঠোঁট ফুলিয়ে দাবী করবে দেরী করে আসার কৈফিয়ত। যাকে মানাতে মেয়েটাকে মেহনত করতে হবে অনেকটা, বুটিকে অর্ডার দেওয়া দামী গোলাপ নয়, এক আঁচল শিউলি ভরে দিতে হবে তার আঁজলায়; তবেই মানবে সে।
কি হল? ভাবছেন নিশ্চয় এমন ছেলের সঙ্গে কিকরে মেয়েটির বিয়ে দেবেন? ছেলেটি বেকার, সমাজ কি বলবে? স্ট্যাটাস বলে একটা বস্তু আছে তো? পাড়াময় ফলাও করে প্রচার করতে হবে না জামাইয়ের আর্থিক স্বচ্ছলতার গল্প.... মেয়ে যতই অযোগ্য হোক না কেন! 

মেয়েটি ছেলেটির থেকে প্রায় ছয় সাত বছরের বড়, ছোট্ট শিশুর মত আদরে স্নেহে আগলে রাখে তাকে। শাসন করে মায়ের মত, হারাতে ভয় পায় বড্ড। ছোট্ট প্রেমিকের এককথায় তার মেঝেতে সাজিয়ে দিতে পারে আকাশের চাঁদ, বুনোফুলের গন্ধে ম ম করে তাদের টালির চালার ছোট্ট কুটির। 
কি হল? গা গুলিয়ে আসছে ঘেন্নায়? মনে হচ্ছে ছিঃ ছিঃ এ কেমন অবিচার!! মেয়ে ছেলের থেকে বড়? এভাবে তো ধ্বংস হয়ে যাবে সমাজব্যবস্থাটাই!! এতএব কান ভরো, ছিঃ ছিঃ রবে ভারী করে তোলো বাতাস, দোহাই দাও পারিবারিক মর্যাদার ; ওই যে কথাটা আছে না!! জন্ম দিয়েছি, তাই ইমোশনাল ব্লাকমেল করে নিজের সব দাবী(যদি তা অন্যায় ও হয়) মানতে বাধ্য করাটা আমাদের অধিকার।
আজ দুজনের কোনো সম্পর্ক নেই, দাঁতে দাঁত চিপে দুজনে দুজনের কাছে করে চলে অপরিচিত হওয়ার অভিনয়, সামাজিকতা যে বড় বালাই।

ছেলেটা ভালোবাসে তার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট মেয়েটিকে। তার শত অভিমান, রাগ - হতাশা- যন্ত্রণাগুলো সহ্য করে পরম মমতায়। আউলবাউল ঝোড়ো মেয়েটাকে বটগাছের মত আগলে রাখে পরম নির্ভরতায়। শাসন - স্নেহ - আবদার - অভিমানের এমন কম্বো জুটি পাওয়া সত্যিই মুশকিল, তারা জানে একে অপরের চেয়ে আর কেউই সামলাতে পারবে না তাদের, কিছু মানুষ সত্যিই তৈরী হয় একে অপরের জন্য।
কিন্তু তাও তারা এক হতে ভয় পায়, আমাদের সমাজব্যবস্থা আর কিছু না পারুক প্যাঁক দিতে ছাড়েনা যে!! পরিবার সমাজের যৌথ চাপে হয়ত একদিন হেরে যাবে ভালোবাসা, এটা ভেবে প্রতিরাতে বালিশ ভেজায় তারা; ব্যস্ত শহরের দুই প্রান্তে। দিনের বেলা আবার করে যায় সুখী থাকার অভিনয়, ছেলেটার ঘামের গন্ধে মেয়েটা খুঁজে পায় নির্ভরতার আশ্রয়।

#ডিয়ার_সমাজবাদীস, আপনারা ঠিক কি চান বলুন তো? বাচ্চা পরীক্ষায় বেশী নম্বর পেলেও ফুসফুস করে আলোচনা করেন, আবার কম নম্বর পেলে ঢাক বাজিয়ে উদ্বাহু হয়ে নেত্য করেন, কেজানে খুনটুন করে ফেলল কিনা!!
বাচ্চা বেশি রোগা হলে বাবা-মায়ের চেয়ে বেশী ফাটে আপনাদের, আবার বেশি মোটা হলে এমন আঁতকে ওঠেন যেন তার চারবেলা খাওয়ার খরচটা আপনারাই চালান!! মেয়ের বয়স আঠারো হলেই এমনভাবে তার মা-বাবার কান ভরা শুরু করেন বিয়ের জন্য যেন তারা ঘরে সন্তান নয় অ্যানাকোণ্ডা বুনিপ টুনিপ পুষছেন, আচ্ছা ঠিক কোথায় সমস্যা আপনাদের? বাড়িতে খেয়ে কোনো কাজ নেই? ভোঁদড়েও দিচ্ছে না বুঝি!!
কিছুদিন আগে এক তথাকথিত শুভানুধ্যায়ী ( তিনি আবার আত্মীয় ও বটেন) আমার ইনবক্সে আমার কমেন্টবক্সের কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে বলেছিলেন, এগুলো ঠিক নয়, তুমি দিনদিন চরিত্রহীন হচ্ছো। এই তথাকথিত আত্মীয় আবার আমার কমেন্টবক্সে একটি মেয়েকে লাইন মারতে গিয়ে চরম ক্যালানি খেয়ে ব্লক হয়েছিলেন একবার, আমায় লাইন মারার ইচ্ছা থাকলেও সাহসের অভাবে প্রকাশ করে উঠতে পারেননি। এবার আমায় ইনবক্সে কেউ এককথার বেশি দুকথা বললেই পিরানহার কামড় খান, ইনি তো সোজা ফলার থুড়ি ভাগাড়ের চিকেন সাজিয়ে দিয়েছিলেন; অগত্যা এনার অবস্থা কি হয়েছিল পাঠকবর্গই কল্পনা করুন, আমায় আনফ্রেন্ড করে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন তিনি।
মোদ্দা কথায় আসি, " কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা" এই আপ্তবাক্যটি মনে রাখুন; করুন ওটাই যেটা আপনার মন চায়। জীবনটা আপনার, ভুয়ো সামাজিকতার দোহাইয়ে তথাকথিত আবালদের জন্য নিজের জীবনটা নষ্ট করবেন না..... নিজের শর্তে বাঁচুন; দোহাই আপনাদের।।

কাজী জুবেরী মোস্তাক




বিদ্রোহী হয়ে জন্মাবো 
********************



তোমাকে প্রশ্ন করি সাধ্য কি আমার ?
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে দেখি সত্য বলার অপরাধে জিহ্বা হীন মুখটাই শুধু পড়ে আছে ৷
তোমার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম ,
কিন্তু তোমাকে চেনার অপরাধে আমার চোখটাই তুমি নিয়ে নিয়েছো ৷
তোমার দিকে আঙুল তুলবো সে ক্ষমতা কি আমার আছে ?
আমার আঙুলতো বহু আগেই খেয়ে নিয়েছে
তোমাদের ঐ ক্ষুধার্ত নোংরা রাজনীতি ৷
তোমার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি
সে পা টাতো কবেই হারিয়েছি তুমি বিরোধী কোন এক মিছিলে গিয়ে ৷
তবুও আমি তুমি বিরোধী মিছিলের প্রথম সিপাহসালার ,
বিদ্রোহী হয়েই জন্ম নেবো মৃত্যু হবে যতবার ৷

প্রনবেশ চক্রবর্তী





মাংস
******


রাম তো গরু খায়না,
গরু তো দেবতা ওদের ধর্মে৷
গরু খেলে জাত যাবে যে
মরে যাবে এই পাপ কর্মে৷
গরু খেকোরা দূর হয়ে যাও
এটাই দাবি ওদের বর্ণে৷
গরুকে ওরা মা ও বলে
গরুর জন্য যুদ্ধ করে৷
অথচ খেয়াল নেই নিজের মা বৃদ্ধাশ্রমে
মৃত্যু নিনাদ তার শিয়রে৷
এদিকে রহিম আবার শূয়োর খায়না,
শুয়োর খাওয়া নাকি হারাম ওদের৷
জোর করে কেউ খাওয়াতে চাইলে,
খুনোখুনি করে শেষ দেখতে চায় তাদের৷
তবে হ্যাঁ মাংসে এদের অরুচি নাই৷
এক জায়গায় এদের ভিষন মিল৷
শ্যোন দৃষ্টিতে এরাও তাকায়৷
যেমন তাকায় ঈগল চিল৷
পিশাচের মত মাংস গেলে৷
 পৌরুষ্যত্বের অসীম তেজ,
নারী শরীর কাম্য এদের,
লালসা মেটায় নির্জনে নারী শরীর পেলে৷
নারী মাংস বুভুক্ষু এরা,
এদের কাছে সব সমান৷
বাদ যায় না তিন বছরের
বাচ্চা কন্যা সন্তান৷
নারী মাংসই সর্বোৎকৃষ্ট৷
নারী শরীর খুবলে খায়৷
একবার ও কি মনে হয়না,
এ শরীরটাও মায়ের মত প্রায়৷