নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অচিন্ত্য রায়




গাছ 



বন বিক্রি হলো বন্যতার হাতে
অক্সিজেন কোথা পাবে মৃত্যু স্তুপে
কাটো আরও বেশি করে কাটো
গড়ো নগর মহানগর রাজপথ সভ্যজগৎ

তারপর একদিন গাছের তলে বসে বলো
আঃ কি প্রশান্তি!
গাছ তোমাকে চোখ রাঙাবে না...
বলবে না তুমি অপরাধী ।

বরং বলবে আর একটু জিরিয়ে বন্ধু
আমি তোমারই জন্য শিকড়সমেত
মাটি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছি ।

পবিত্র চক্রবর্তী

চিরাচরিত গল্পের বাইরে


সে সময়টা ছিল বৃষ্টি আর বিদ্যুতের সঙ্গমকাল ,
বিদ্যুতের মৃদু আদরের ডাকের কাছে মেঘের অভিমান
সব বাঁধ ভেঙেছিল । তুমি এমনই এক বিকালে প্রশ্ন
করেছিলে , বৃষ্টি আর বিদ্যুতের লিঙ্গ কী !! ভাবতে
ভাবতেই একটা বাজ বেশ তীব্রতা নিল , আর , তুমি
আশ্রয় নিলে আমার আধ-খোলা বুকে । প্রকৃতপক্ষে
এদের লিঙ্গ পরিচয় কাব্যে থাকলেও আমার কাছে
অর্থহীন । তোমার শরীরময় ভিজে গন্ধ , আমার বুকের
উষ্ণতা , এদের পরিচয় নারী-পুরুষ হলেও ,
ভয় আর আশ্রয় অপেক্ষা করে না লিঙ্গ পরিচয় দিতে ।

আজও নেমেছে বৃষ্টি । এখন আমার শরীর ভেজে
চিরাচরিত ছন্দে । তোমার ধুয়ে গেছে কবেই চুল্লির আগুনে । উষ্ণতার ভিন্নতা । স্মৃতি সময়ের অন্তরালে
জমায় পলি । খালি বুকে ভরাট ক্ষয়িষ্ণু চিহ্ন ।
সব কিছুর কী লিঙ্গ হয় ? বৃষ্টি তোমার বজ্র কোথায় ??

কৌশিক গাঙ্গুলি



ছদ্মবেশী 



কেযে আসল
কেযে নকল ?
সব কিছুতেই ছদ্মবেশ
সবকিছুতেই আহা বেশ !
তারা ছিল , তারাই আছে
নানারূপে কাছে কাছে
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
বিরিয়ানীর গল্প শোনা যায়
হাড়হাভাতে স্বাধীনতা চায়
মিথ্যাকে পাশে খুঁজে পায়
এতো দারুণ বেশ বেশ
ঠগেদের গায়ে উপকারীর
ছদ্মবেশ .... ।

রূপা রায়






ভালো থেকো 



যদি কোনদিন ছেড়ে চলে যাও,
সাথে তোমার দেওয়া স্বপ্ন গুলো ও ফিরিয়ে নিয়ে যেও।
যেদিন তুমি জানতে পারবে, তোমার আমার ইচ্ছেরা একসাথে আর উড়তে পারবে না নীল আকাশের বুকে,
সেদিন না হয় তোমার  ইচ্ছে ডানা সরিয়ে নিও আমার থেকে।
তুমি সরে থাকতেই পারো বেশ অনেকটা তফাতে,
দুজনের মাঝখানে টেনে দিতেই পারো সীমারেখা;

কোন দায়বদ্ধতা ছিলো না কখনো,
গড়ে ওঠেনি কোন বিনিময় প্রথা,
তোমার সাথে যে সুখ টুকু ছিলো
ছিলো এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
আজ তবে বুঝতে পারিনা অনেক কথা আদৌও কি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা যায়, বোধহয় যায়!
হয়তো বা যায় না;
তখনই ভালোবাসা  তখন ইমুখ ফেরায় যখনই তা বাসি হয়ে যায়,
ফুলের মালায় যে ভালোবাসা সাজে তা কখনো চিরন্তন সুখের হয়না,
কাঁটার সাজে সাজালেই তা বেঁচে থাকে প্রখর উত্তাপে।

ভালোবাসি এই কষ্টের কাঁটা নিয়ে
হাসিমুখে বিদায় দিলাম তোমায়,
যাও তুমি মুক্ত ;মুক্ত বিহঙ্গের মতন বেঁচে থাকো,
আর  এইটুকু বলে যাই ভালো থেকো ভালোবাসা।।


সোমা বিশ্বাস




মেঘ বালক 


মেঘবালক, তোমার নাকী এখন ভীষণ জ্বর !
বৃষ্টি হয়ে ঝরবে তুমি কবে ?
চাতক হয়ে বসে আছি, তোমার পথ চেয়ে
বিদ্যুৎটা হুঁঙ্কার দিলো সেই যবে ।
মেঘবালক, মেঘবালক, হবে কি আমার সখা ?
তোমার জন্য পুঁতেছি টবে চারা ।
তুমি যখন ঝরঝর বেগে আসবে বৃষ্টি নিয়ে,
ফুটন্ত গোলাপফুল নিজেই দেবে ধরা ।
মেঘবালক, মেঘবালক, আর কিছুক্ষণ থাকো
যাবার জন্য কীসের এত তাড়া ?
বৃষ্টিটাকে সাথে রেখো, খেয়াল রেখো তার,
তাকে হারালে তুমি আসলে ফণি মণিহারা ।


সায়ন্তনী হোড়





মেঘের গল্প 




    নীলচে আকাশ কে ধার
   করে নিয়েছে কিছু কালো মেঘ 
   সেই মেঘেদের উপন্যাসে 
 ভেসে  যাচ্ছে সব স্বপ্নের নৌকা
  হঠাৎই মেঘের অন্তরালে  
   বৃষ্টির ত্রিভুজের আভাস ।
   
 একটা সবুজ মাঠের পারে
   পড়ে থাকে বৃষ্টিদের গল্প 
    পড়ে থাকে সেই 
      মেয়েটার গল্প . . .
 যার কাছে ছেঁড়া শাড়ির
 শব্দগুলো খুবই বাস্তব 
অথচ সে ও একদিন মেঘেদের 
রাজ্যে পরী হতে চেয়েছিলো  ।।