নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অজাত শত্রু

                     
   


                             মেঘ 

                            (১)



ভীষণ অসুখের মত মন খারাপি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সেই ছেলেটাও সিগারেতে আগুন জ্বালায় আলতো ভাবে ।


হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় মিস কলে ।এক বছর ব্লগ লিস্টের ফোন নাম্বারটি ভেসে উঠে স্ক্রিনে ,চোখ মুখের ঝাপটায় ঘুম তবুও ভাঙ্গে না ।।


সেই মেয়েটি আজ আর জানালার বাইরে তাকায় না ।ভীষণ অভিমানে ,"মেঘের রিডে হারমোনিয়াম" বজায় অন্য সুরে। সবার মাঝে খোঁজে প্রথম ঠোঁট ছোঁয়ার মুখ ।।


ক্লান্তি গুলো এখন আর ভেজে না ,বিকেলের বৃষ্টিতে ভিজে ফেরেনি সেই ছেলেটিও আজ ।। বৃষ্টি ধরেছে উল্টো ছাতায় ।।

                              (২) 



 ঘুমহীন  আজ শহরে ভীষণ মন কেমনের অভিমানে,
ঝাপসা আলায় চোখ পুড়েছে ,ছায়ার ভিতর অন্য গানে ।।

গল্প গুলো আজগুবি হয় ভীষণ রকম কম দামি ,
"ছলচাতুরীর হওয়ার ভিতর ক্লান্তি নিয়ে  হাঁটছি তুমি আমি ।।"

রোদের সাথে ভাবমিতালি ,জানলা জুড়ে কাটাকুটি খেলছে সে ।
"ব্যর্থ প্রেমের দিব্যি" নিয়ে আঁকছে ছবি কার্নিশে ।।

ঠিক তখনই বৃষ্টি হবে ,জামার উপর বোতাম আটা ,
মনকেমনের গল্প গুলো ভীষণ দামি ,সিগারেটে পুড়ছে ভালোবাসা ।।




                       
                        (৩)


রোজ রাত পাহারা ,মনকেমনের চৌকিদারী ।
ফিরবে বলে আর ফেরে না।মন বাড়ি ।।

গল্প গুলো হয় পুরোনো,চোখে ভিতর চোখ দেখে।
ইচ্ছে ঘুড়ির সুতো কাটা।দাগ কেটেছে ছক রেখে ।।

বাসতে ভালো চায় না আর সে ,ভীষণ রকম এগুয়ে।
সিদ কেটেছে অতীত কোনো।মন-শহর'এ থাক  শুয়ে ।।


হঠাৎ তখন মেঘ করেছে ,হাঁটছি তবু উচিয়ে ছাতা ।
হাঁটুর উপর জল ভিজেনি,নিরবতায় ড্রইং খাতা ।।




শাল্যদানী






সব্বাই চুপ!



ওরা এতো কথা বলছে কেন?
অপূর্ব শ্মশানের নিস্তব্ধতা বেশ ছিলো
মাঝখানে ঝনঝট ওই ওদের কথা,
যাদের কথা ফুরায় না
বলতে বলতে থেমে গিয়ে একটু আগে জল খেলো।
জলের জন্য বাজনা
জলের জন্য খাজনা
কথা এভাবেই বইতে থাকলো।।

আমিতো ঘামছি এত বলার রোদে
ওমনি ফিক করে হেসে ফেললুম,
আরে আমিওতো বকে চলেছি!

সামনের শ্বেতপাথরের টেবিলটা এখনো-
হালকা গেরুয়া দাঁত নিয়ে হাসছে
তার উপরে রাতের খাবার বহনের দায়
সেও আলুচচ্চড়ির স্বাদ বোঝে এঁটোকাঁটায়
কবিতা লেখে মনে মনে,
শোনাবার কেউ নেই
তাই নিজে নিজে শুনে নিজে নিজে হাসে
হালকা গেরুয়া দাঁত নিয়ে

তার হাসি শুনতে গেলে ওই ওদের কথা বলাটা বন্ধ করা দরকার,
আমিও চুপ করবো
আলুচচ্চড়ি কবিতা শুনবো
গোলমরিচ চায়ে চুমুক দিতে দিতে


পিন্টু মাহাতো




সমুদ্র ছুঁতে চাই না 


কখনও সমুদ্র ছুঁতে চাইনি আমি
ভয় হয় যদি শুকিয়ে যায়....!!
তাহলে...........??
বালির নগ্ন শরীরে খেলবে পুরুষাঙ্গ.....
ঢেউএ কাতর শঙ্ক, শ্যাওলা ফিরবে নির্ভয়ার জগতে.........
মৃত্যু, এক জঘন্য মৃত্যু...........
ধীরে ধীরে ঝাপসা হবে প্রতিবাদী মোমবাতিরা,
আরও ফিরবে ধর্ষকের নির্মম শাবল....
ক্ষতবিক্ষত হবে সতীত্ব যুগের নেশায়....
আঁধারে ছুঁতে আসবে কিছু কালো হাত,
মুখ চেপে বলবে "চোপ শালি....."

না, না...... আমি অপরাধী হতে চাই না,
আমি সমুদ্র ছুঁতে চাই না.................. ||

                 

তৈমুর খান



দিঘি


একটা দিঘি খুঁড়ছি মনে মনে
আর ভাবসলিলে ভরিয়ে চিচ্ছি
পদ্ম ফুটুক, আমার শব্দপদ্মগুলি

কেউ জলকুমারী সাঁতার দিতে আসে
ঢেউ ভাঙে সে দেখি
তার রূপের প্রদীপ জ্বলে
অঙ্গে অঙ্গে অনুভূতির শোভা

জেগে জেগে আমার কত রাত চলে যায়
আমার কত দিনের ক্লান্তি দেখতে থাকে
এই অবাস্তব জলাশয়

তবুও রোজ স্নানের পর ভাষা খুঁজে পাই
ভাষার অন্ন, ভাষার ভালোবাসা
ভাষার হাঁস উড়ে উড়ে এখানেই নামে

একটা দিঘি খুঁড়ছি নিজে নিজে
দিঘির পাড়ে দারুণ পলাশ বন
পলাশ বনে শুনি কোকিল ডাকে…

বৈশাখী চ্যাটার্জী



মেঘ গুলো 



ছোট ছোট মেঘ জমে আছে দেওয়ালের গায়ে । 
সারা ঘর মাঝে মাঝে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ঝরে , 

জমা মেঘগুলো ওড়ে , 
জমা মেঘগুলো ঘোরে । 

বালিশ বিছানায় ভিজে ভাব 
শরীরে জ্বরের তাপ । 

ছোট ছোট মেঘগুলো জমে থাকে । 
নিকানো উঠোন -মনমেঘ উড়ে তাতে ,  

আকাশের থেকেও দূরে যেতে চায় ,
তবু গন্ডিটুকু ঘিরে বৃষ্টি ঝরে যায় । 

                 

দেবব্রত সেন



মেঘ 



সময় বলছে আয় ভাসিয়ে নিয়ে যাব
      আকাশ ছিদ্র পথে......
ভরাট করে দেব নদী নালা মাঠ
দেখবে সূদৃশ্য প্রহরীর মতো
আমি তখন মেঘ...............
যখন রাশি রাশি মিলে যাই তখনই হই মেঘমালা
আমি মেঘ হলে কি হবে...
আমি ভালোবাসি পৃথিবীর যা কিছু আছে সকলকে ...
হিংসা আমার নেই......
আমি চুম্বন আর আলিঙ্গনের ছোঁয়ায় ভালোবাসি
আমার হৃদয়টা কোমল.....
একবার ছুঁয়ে দেখবে পুরুষ তুমি
আমার জাতও নেই, ধর্ম নেই
ধর্ম নগরে আমার ধর্ম ভালোবাসা
আমার বিরোধীরা আমার কাছে তৃপ্ত হয়
যখন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরি...