নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রূপা রায়






ভালো থেকো 



যদি কোনদিন ছেড়ে চলে যাও,
সাথে তোমার দেওয়া স্বপ্ন গুলো ও ফিরিয়ে নিয়ে যেও।
যেদিন তুমি জানতে পারবে, তোমার আমার ইচ্ছেরা একসাথে আর উড়তে পারবে না নীল আকাশের বুকে,
সেদিন না হয় তোমার  ইচ্ছে ডানা সরিয়ে নিও আমার থেকে।
তুমি সরে থাকতেই পারো বেশ অনেকটা তফাতে,
দুজনের মাঝখানে টেনে দিতেই পারো সীমারেখা;

কোন দায়বদ্ধতা ছিলো না কখনো,
গড়ে ওঠেনি কোন বিনিময় প্রথা,
তোমার সাথে যে সুখ টুকু ছিলো
ছিলো এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
আজ তবে বুঝতে পারিনা অনেক কথা আদৌও কি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা যায়, বোধহয় যায়!
হয়তো বা যায় না;
তখনই ভালোবাসা  তখন ইমুখ ফেরায় যখনই তা বাসি হয়ে যায়,
ফুলের মালায় যে ভালোবাসা সাজে তা কখনো চিরন্তন সুখের হয়না,
কাঁটার সাজে সাজালেই তা বেঁচে থাকে প্রখর উত্তাপে।

ভালোবাসি এই কষ্টের কাঁটা নিয়ে
হাসিমুখে বিদায় দিলাম তোমায়,
যাও তুমি মুক্ত ;মুক্ত বিহঙ্গের মতন বেঁচে থাকো,
আর  এইটুকু বলে যাই ভালো থেকো ভালোবাসা।।


সোমা বিশ্বাস




মেঘ বালক 


মেঘবালক, তোমার নাকী এখন ভীষণ জ্বর !
বৃষ্টি হয়ে ঝরবে তুমি কবে ?
চাতক হয়ে বসে আছি, তোমার পথ চেয়ে
বিদ্যুৎটা হুঁঙ্কার দিলো সেই যবে ।
মেঘবালক, মেঘবালক, হবে কি আমার সখা ?
তোমার জন্য পুঁতেছি টবে চারা ।
তুমি যখন ঝরঝর বেগে আসবে বৃষ্টি নিয়ে,
ফুটন্ত গোলাপফুল নিজেই দেবে ধরা ।
মেঘবালক, মেঘবালক, আর কিছুক্ষণ থাকো
যাবার জন্য কীসের এত তাড়া ?
বৃষ্টিটাকে সাথে রেখো, খেয়াল রেখো তার,
তাকে হারালে তুমি আসলে ফণি মণিহারা ।


সায়ন্তনী হোড়





মেঘের গল্প 




    নীলচে আকাশ কে ধার
   করে নিয়েছে কিছু কালো মেঘ 
   সেই মেঘেদের উপন্যাসে 
 ভেসে  যাচ্ছে সব স্বপ্নের নৌকা
  হঠাৎই মেঘের অন্তরালে  
   বৃষ্টির ত্রিভুজের আভাস ।
   
 একটা সবুজ মাঠের পারে
   পড়ে থাকে বৃষ্টিদের গল্প 
    পড়ে থাকে সেই 
      মেয়েটার গল্প . . .
 যার কাছে ছেঁড়া শাড়ির
 শব্দগুলো খুবই বাস্তব 
অথচ সে ও একদিন মেঘেদের 
রাজ্যে পরী হতে চেয়েছিলো  ।।


                                          

সুকান্ত মণ্ডল




মেঘ কাহিনী 




তখন মেঘ, আকাশ থেকে দূরে অধ্যয়নে;

চুপচাপ মনে শপথ, হাজারো ত্যাগস্বীকার 
মাঝে মাঝে পিছুটানে যায় থমকে।

দিনরাত একাকার সাধনার জলোচ্ছাসে,
শেষে সিকেভাগ স্বপ্ন, মেঘের দরজায় বর্ষে।

তারই উচ্ছাসে আত্বহারা মেঘ;
সব পিছুটান ফেলে নষ্টের স্রোতে,
নিজেকে হারাতে চায় মা-এর চোখের জলে।

ফেরারী মেঘের আকাশ ঢাকে কালোমেঘে,
চারিদিক নিশ্চল ;ভিতু প্রবাহের বন্যা।

মেঘের শেষ সম্বল ,পরম প্রিয়- 
মা, মেঘের জীবন থেকে মুক্তিলাভে স্বর্গবাসিণী।

তপময় চক্রবর্তী




মেঘ বৃষ্টি 


ইচ্ছে গুলো বড় হচ্ছিলো বিসর্গ এর অন্তরে,
আমার আবেগ-অনুরোধ ছুঁয়ে যায় বুদ্বুদে,
ছুটে পালিয়ে দাঁড়াই এসে রাস্তার শহরে,
লাম্পস্টের গোড়ায় দাবদাহে একলা ডুবে,
আত্মত্যাগের কোনো কারণ না হলেও,
এ মাটিতে বৃষ্টি কবে নামবে...
জিভে সব নোনতা লাগে,
মোটা মোটা অশ্রু বিন্দুর উপর ভর দিয়ে , 
 লক্ষ্য বোকা টিকটিকি ও ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে,
বৃষ্টি থামছে না, গাভীর মতো মেঘ ভেসে চলেছে...
দুপুরের ক্যারাম আর রোদে ঘাম লুকিয়েছে রুমালে,
অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ গর্ত বানিয়ে সংসার পাতলো জীবনে,
নীল দেওয়ালের বুকে সাদা বকের ছাপ যায় উড়ে,
ঠান্ডা বরফ আঙ্গুল গুলো ভয়ে কেঁপে হারিয়ে ফেলি সম্মানে,
বেঁচে আছি, থাকবো চুপচাপ ,পাই না শুধু বট গাছে,
পুরো ক্যান্সার এখন ফুটবল,কালোটাকা,পরস্ত্রী ও ল্যাদে !

অসিতাভ দাস



মেঘ 



মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
চম্পা টুডুর বুক ।
মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
লালাঝরা উজবুক ।


মেঘ বললেই আসর জমে
কষা-চিকেন আর মদে।
মেঘ বললেই কচি হরিণী
পা রাখে ঠিক ফাঁদে।

মেঘ বললেই মুখ চেপে ধরে
রক্তনেশার সুখ।
মেঘ বললেই মনে পড়ে যায়
বেকারত্বের দুখ্।

মেঘ বললেই কাজ শেষে সেই
অনুতাপে হয়তো জ্বলা।
মেঘ বললেই ভালো হতে চেয়ে
খারাপ পথেই চলা।

মেঘ বললেই ছায়া হয়ে আসে
রাজনীতির এক হাত।
মেঘ বললেই ভুলে যেতে হয়
পশু, মানুষের জাত।


মেঘ বললেই
এই মেয়ে তোর মুখ দেবো পুড়িয়ে ।
মেঘ বললেই
আড়চোখে দেখে চলে যাও এড়িয়ে।


আয় রে বৃষ্টি, আয় রে শ্রাবণ
আয় রে সজল ধারা।
মেঘটাও আজ কাঁদছে অঝোর
সদ্য শিশুর দ্বারা ।