নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জয়তী দাস




এখনো অপেক্ষা
*************




  আমার তো প্রতীক্ষা ছিলো --
  আসতে আসতে, সকল দরজা জাগিয়ে এসেছি
  অন্ধকারের পাতায় লিখেছি আগামী আলোর নাম,
  অসুস্থ-মৃত, শরীরী-অশরীরীদের দিয়েছি কথা --
  সেই জীবনদায়ী ছোঁয়া,যা তোমার কাছে ওদের পাওয়ার !

  আমি তো দিয়েছি কথা --
  প্রতিটা ফুলের একটা বিশুদ্ধ আকাশ দেবো,
  নুড়ি-পাথর থেকে বাছা হবে না শালগ্রাম শিলা
  শালগ্রাম শিলায় জন্ম নেবে অবহেলিত নুড়ি-পাথর-

  তাদের চাঁদ জোৎস্না একাদশী সবটুকু দেবো করেছি অঙ্গীকার !
  রক্ত লবণ মাটির রোদকণায় ওদের প্রাপ্তি টুকু--
 মেরুদন্ড সোজা করে লিখবে নিজের নাম -
 বলো, আর কতক্ষণ অপেক্ষায় রাখবে !! তোমার দরজায়  --

        

মনিকান্ত সার



~*** নীলাভ অবয়ব ***~
         ***********



ভাবছি, একটা নীল ছবি আঁকবো
তোমার অবয়বের।
নীল বললাম........
কারণ, নীল রঙটা তোমায় বড্ড মানায় ।

চুলগুলোকে এলিয়ে দেবো কানের পাশে -
সমুদ্রের মতো ক'রে,
কয়েকটা তবুও গড়িয়ে পড়বে তোমার গাল বেয়ে
ঢেউয়ের মতো হয়ে ।
তোমার গায়ে জড়িয়ে থাকা পোশাকে
লুকিয়ে থাকবে আমার ভালোবাসারা,
প্রতিটা ভাঁজে আমি খুঁজে নেবো তাদের,
খুঁজে নেবো উদ্ভাসিত যৌবনের রূপ-রস-গন্ধ ।

প্রথমে ভেবেছিলাম.......
কাজল এঁকে দেবো তোমার চোখে,
তার দরকার নেই, মৃগনয়না তুমি,
তোমাতে হারানোর জন্য দুটো চোখই যথেষ্ট ।
যখন মিষ্টি সূর্য এসে ছুঁয়ে যাবে ক্যানভাস,
চোখের সামনে ভেসে উঠবে তোমার মায়াবী মুখ,
আমি হয়তো স্থবির তখন, ভাবলেশহীন,
হয়তোবা নি:স্ব হাত দুটো ছুঁতে চাইবে তোমায়।

আঁকবো.......
আঁকবো আমি তোমার "নীলাভ অবয়ব" ।

কৃপা বসু




ভ্যালেন্টাইন ও প্রেমজেহাদ
***********************



    ১.
পাশের পাড়ায় আট মাসের পোয়াতি সিঁদুরের কৌটো হাতে সুইসাইড করেছে। আমি বলেছি খুন, মেঝেতে গড়ানো নিরীহ ঘুমের শিশিতে লেখা ছিল খুনির বায়োডেটা।

    ২.
মঙ্গল ঘট উল্টে যুবতী নদী নামাজ পড়ার প্র্যাকটিস করে রোজ। খিদের থালায় ধরে রাখে মাগরিবের দ্বিধাগ্রস্থ চাঁদ।

    ৩.
প্রেমিকজল মেখে আসা প্রতিটি পাখি দাহকাল পেরিয়ে শুকনো কালভার্টের দিকে এগিয়ে যায় আধফোটা ফুল নিয়ে ঠোঁটে।

    ৪.
যে কুকুররা দুপুরের শোক ছিঁড়ে খেত একদিন, তাদের পাশ দিয়ে পান্তা ভাত মুখে নিয়ে হেঁটে যায় নিরীহ ভিখারি।

    ৫.
রাতের মফঃস্বলে বালিকা বিলাসের স্বরলিপি ভুলে শিরায় শিরায় স্পষ্ট হয় আদরের নীল ক্ষতদাগ। দ্রাক্ষামদে মেশে বীর্য ও থুতু।

    ৬.
যোগাযোগ নিভে যাওয়া সেন্ট্রাল জেলের মতো ঘর, ধুলোবালির সেলাই করা মেশিনের একটানা ঘরঘরে ছেলেটি কান্না পুষে রাখে।

    ৭.
ছেঁড়াখোঁড়া শরীর নিয়ে মেয়েটি হলুদ আঁচলের ভাঁজে বশমানানো চাবিকাঠি বেঁধে রাখে। স্মৃতির ওয়ার্ডরোবে তোলা তার এক্কাদোক্কার সংসার।

জ্যোতির্ময় রায়




ছুঁয়ে দিও 
**********



ঠোঁটের ভিতর জমছে কথা ,অল্প
শুধুই মিথ্যে ,প্রেমীকি ছোবল নয়'ত?
নাকি বাহানা হ্যাঁ জি ,রঙিন শরীরী ।
ইমোশন জাস্ট ,তবে মিথ্যে সত্যি কি?


আমিও পথে কথার দূর্গন্ধ ছড়াই ,রুমালে
চোখ মুছে নিও ,হঠাৎ স্বপ্ন ভেঙে গেলে ।।
"শুধু তোকে রেখেছি" যত্নে বুকপকেটে ,
দাগ কেটে দিও বালুচর কিছুটা অযত্নে ,অকপটে ।।


এম এ রোকন




বরং নিষ্ঠুর হও!
***************




.
এ কেমন উদারতা দিলে,
কেন বললে, তুমি পাগল হতে চাও-?
এ কেমন স্পর্ধা এনে দিলে যৌবনে,
কেন ভ'রে দিলে ঠোঁট মাদকতায় -?
কেন প্রস্রবণ ঝিরি আলো পেরিয়ে
আঁধার দেয়ালে মাথা ঠু'কে-?
.
এমন উদারতা আমি চাইনি শ্বেতা!
শুধু চেয়েছি
আঁধার আলোয় পাশে থেক,
মনের দেয়ালে মাথা রেখ
ঠোঁটের স্পর্শে বাঁচিয়ে রেখ
নির্ভরতার কাঁধে উত্তরিও বেঁধে দিও
প্রেমের।
.
এর চেয়ে বেশি চাইনি।
জানোই তো বড্ড পাগল আমি
করি প্রেম প্রেম পাগলামি,
তবে কেন, কি দোষে বললে -?
ভূ'লে যেও,
মুছে দিও স্মৃতি অতীতের।
কতটা অবুঝ চাওয়া-?
.
শ্বেতা স্মৃতি একটি অ'গলিত অতীত।
স্মৃতি চিত্রায়িত হয় সময়ে সময়ে
স্মৃতি বেঁচে থাকে অনন্তকাল,
বহমান সময়ের হাতে স্মৃতি সাহসী
সৈনিক।
তুমি তোমাকে ভুলতে পারো-
স্মৃতি তোমাকে ভুলতে চায় না।
তোমার উদারতার কোলে আজ ঝুলছে
দু'টি লাশ!
তুমি, আমি।
তারা বাঁচতে চায়,
প্রাণখুলে হাসতে চায়
ওরা একসাথে বাঁচতে চায়-?
.
শ্বেতা তুমি বরং নিষ্ঠুর হও!
আঘাতে আঘাতে মেরে ফেল ওদের
বেঁচে থেকে কি লাভ!
যদি উদারতা দুরুত্ব বাড়ায়
যদি ঠেলে দেয় মৃত্যুপুরীর ভাগ্যমঞ্চে
যদি খুন হয়,
রক্তাক্ত হয় মনের দেয়াল
যদি বাঁচতে হয়; অপরাধী হয়ে যুগযুগ।
বরং তুমি নিষ্ঠুর হও-
নিষ্ঠুর শিকলে শৃংখলিত করো দু'টি
প্রাণ,
যারা বাঁচবে বলে এসেছিল
যারা ভালোবেসে বেঁচেছিল।

তৌহিদুল ইসলাম মিশু




আমি এবং পেত্নী
*****************

তখন গভীর রাত....
সাড়ে দুইটা বাজে হয়ত।
কানের কাছে কে যেন একটু_
       উদ্ভট রকমের হাসি দিল।
পাশ ফিরতেই চোখের রেটিনা গোল হয়ে গেল।
এতো এক নারী মূর্তি..!!
অন্যরকমের এক হাসি তার ঠোট জোড়ায়;
না,নেশা ধরানো নয় এ হাসি;
বরঞ্চ শ্বাসরুদ্ধকর।
দাত গুলো অস্বাভাবিক রকমের বড়;
আর ঠোট জোড়া রক্তে রঞ্জিত।
গাল বেয়ে কয়েক ফুটা রক্ত থুতনি স্পর্শ করেছে।
এতো ভূত.!!মেয়ে ভূত.!!পেত্নী.!!
মুহুর্তেই সে আমার বুকে চড়ে বসলো।
সাথে সাথেই.....
না গলা টিপে ধরেনি,
নাক টিপে ধরল।
ঠোটে ঠোট লেপ্টে দিয়ে বলল...
ফের কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছিসতো__
আর আসবনা আমাবস্যার রাতে..!!
আমিও মাথা নেড়ে সাই দিলাম,ঠিক আছে.!!
এর পর থেকে প্রতি আমাবস্যায় সে আসে।
পরবর্তী আমাবস্যা যেন কবে.?