নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

এম এ রোকন




বরং নিষ্ঠুর হও!
***************




.
এ কেমন উদারতা দিলে,
কেন বললে, তুমি পাগল হতে চাও-?
এ কেমন স্পর্ধা এনে দিলে যৌবনে,
কেন ভ'রে দিলে ঠোঁট মাদকতায় -?
কেন প্রস্রবণ ঝিরি আলো পেরিয়ে
আঁধার দেয়ালে মাথা ঠু'কে-?
.
এমন উদারতা আমি চাইনি শ্বেতা!
শুধু চেয়েছি
আঁধার আলোয় পাশে থেক,
মনের দেয়ালে মাথা রেখ
ঠোঁটের স্পর্শে বাঁচিয়ে রেখ
নির্ভরতার কাঁধে উত্তরিও বেঁধে দিও
প্রেমের।
.
এর চেয়ে বেশি চাইনি।
জানোই তো বড্ড পাগল আমি
করি প্রেম প্রেম পাগলামি,
তবে কেন, কি দোষে বললে -?
ভূ'লে যেও,
মুছে দিও স্মৃতি অতীতের।
কতটা অবুঝ চাওয়া-?
.
শ্বেতা স্মৃতি একটি অ'গলিত অতীত।
স্মৃতি চিত্রায়িত হয় সময়ে সময়ে
স্মৃতি বেঁচে থাকে অনন্তকাল,
বহমান সময়ের হাতে স্মৃতি সাহসী
সৈনিক।
তুমি তোমাকে ভুলতে পারো-
স্মৃতি তোমাকে ভুলতে চায় না।
তোমার উদারতার কোলে আজ ঝুলছে
দু'টি লাশ!
তুমি, আমি।
তারা বাঁচতে চায়,
প্রাণখুলে হাসতে চায়
ওরা একসাথে বাঁচতে চায়-?
.
শ্বেতা তুমি বরং নিষ্ঠুর হও!
আঘাতে আঘাতে মেরে ফেল ওদের
বেঁচে থেকে কি লাভ!
যদি উদারতা দুরুত্ব বাড়ায়
যদি ঠেলে দেয় মৃত্যুপুরীর ভাগ্যমঞ্চে
যদি খুন হয়,
রক্তাক্ত হয় মনের দেয়াল
যদি বাঁচতে হয়; অপরাধী হয়ে যুগযুগ।
বরং তুমি নিষ্ঠুর হও-
নিষ্ঠুর শিকলে শৃংখলিত করো দু'টি
প্রাণ,
যারা বাঁচবে বলে এসেছিল
যারা ভালোবেসে বেঁচেছিল।

তৌহিদুল ইসলাম মিশু




আমি এবং পেত্নী
*****************

তখন গভীর রাত....
সাড়ে দুইটা বাজে হয়ত।
কানের কাছে কে যেন একটু_
       উদ্ভট রকমের হাসি দিল।
পাশ ফিরতেই চোখের রেটিনা গোল হয়ে গেল।
এতো এক নারী মূর্তি..!!
অন্যরকমের এক হাসি তার ঠোট জোড়ায়;
না,নেশা ধরানো নয় এ হাসি;
বরঞ্চ শ্বাসরুদ্ধকর।
দাত গুলো অস্বাভাবিক রকমের বড়;
আর ঠোট জোড়া রক্তে রঞ্জিত।
গাল বেয়ে কয়েক ফুটা রক্ত থুতনি স্পর্শ করেছে।
এতো ভূত.!!মেয়ে ভূত.!!পেত্নী.!!
মুহুর্তেই সে আমার বুকে চড়ে বসলো।
সাথে সাথেই.....
না গলা টিপে ধরেনি,
নাক টিপে ধরল।
ঠোটে ঠোট লেপ্টে দিয়ে বলল...
ফের কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছিসতো__
আর আসবনা আমাবস্যার রাতে..!!
আমিও মাথা নেড়ে সাই দিলাম,ঠিক আছে.!!
এর পর থেকে প্রতি আমাবস্যায় সে আসে।
পরবর্তী আমাবস্যা যেন কবে.?

হোসাইন আহমেদ রিপন





অনুভূতিময় প্রেমে তুমি
**********************



অনুভূতিময় প্রেমে তুমি
ঘুম ভাঙানো পাখির কলতানে মুখরিত,
তুমি আমার স্নিগ্ধ সকালের সতেজ অনুভূতি।
প্রকৃতির নিবিড় ঘন কুয়াশায়
তুমি আমার হৃদয়ে নির্মল প্রশান্তি।

তুমি উদিত রবির সোনালি পরশে
তুমি রূপায়িত তুমি অনন্য,
উষ্ণ শিশির কনায় ফুটন্ত তাজা গোলাপের ঘ্রাণে
পাপড়ি পরশে তুমি অপূর্ব  তুমি সুভাসিত লাবণ্য।

তুমি নিঝুম রাতে আমার স্বপ্ন বিলাসী হয়ে
আবার কখনো তুমি জল জ্যোৎস্নার প্রেমে,
নীল দীঘির জলে ভাসা পদ্ম ফুলে
তুমি বৈচিত্র্যময় রূপালী চাঁদের হাসি।

অনুভূতিময় প্রেম তুমি
প্রতিটা বর্ণে তুমি কবিতার ছন্দে তুমি,
আমার অনুভূতিময় প্রেমের ভাবনায় তুমি
আমি শুধু তোমার ভালোবাসায় কাব্য লেখি।


ফারদিন খান সুপ্ত



অপেক্ষার প্রহর
***************
   
 
নিকোশ কালো রাতের আধারে,
জেগে আমি আনমনে,
       তোমার অপেক্ষায়।

হয়ত তুমি আসবে বলে,
নরম বালিসে এলিয়ে মাথা,
গুনছি প্রহর!

নিভনিভে ল্যাম্পপোস্টের বাতি,
আর সাথে তোমার রঙিন স্মৃতি,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় ভেসে বেড়ায়।

কড়া লিকারের বাষ্পে আমার,
মনে পড়ে যায় সন্ধ্যাতারার মেলায়,
তোমার আমার গভীর আলিঙ্গন।

কত সহস্রনয়ন জলে শুষ্ক বালিশে,
মেঘবর্ষণ মূখরিত হবে।

বহ্নিশিখা(রিঙ্কি) মুখার্জী






অথৈ জলে ভেসে চলেছি,কূল পেলাম না এখনো।
কখনো খুঁটি,কখনো লতা-পাতা আঁকড়ে ভেসে উঠছি, আবার ডুবছি।
একটা ভেসে যাওয়া নৌকা..
কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচলো..ভাসছি আবারো ভাসছি।
এবার নৌকোয়..কিন্তু হঠাৎ তাতে জল উঠতে লাগলো
এবার নৌকোর পাটাতন কিনারা বুকের সাথে চেপে ধরে
বাঁচার সে কি আকুল চেষ্টা,নৌকোতে জল ভরে ডুবে  গেল।
সাথে আমিও।
এই নৌকো অনেকদিন জলের তলায় চাপা পড়ে রইলো।
মাঝিরা টেনে তুলে তাকে সারাই করলে।
শুধু আমার পচা গলা দেহ তারা পেলে না,
মিশে গেছে যা জলের স্রোতে।




ভেবেছিলাম উপন্যাস হবো তোমার।
দীর্ঘ এক উপন্যাস।
সকাল থেকে রাত আচ্ছন্ন করবো আমার কাহিনি দিয়ে।
আমায় পড়বে বুঝবে মাখবে গায়ে ।।
তোমার খাবার টেবিলে অন্নমনস্কতার কারণ হবো আমি।
হটাৎ আসা শীতের প্রথম পরশ হবো আমি।।,,
হাওয়ার সাথে মিশে ছুঁয়ে দেব কেমন।
তোমার প্রবল আগ্রহ টা হবো--দীর্ঘ এক কাহিনি স্রোতের ডুবুরি হবে সচেতন অবচেতনভাবে।
রাতে ঘুমের মধ্যেও জেগে থাকবো তোমাতে।





জানতাম না ছোটগল্প এক,
পড়বে ছাড়বে; তারপর অন্য এক গল্পে বা হাজারো গল্পের ভিড়ে ভিড় জমাবে।
আমি কোথায়?মুহূর্তের উত্তেজনা মাত্র--এক-দু'পাতার ছোটগল্প।
   



ফকির ইবনে হুসাইন



তুমি আমার
***********




তুমি আমার নিষ্কলঙ্ক আকাশের একটি চাঁদ,
সৌন্দর্যে আঁকা শিউলি শিতিল পরশমণি-
অজস্র সহস্র'বিস্তৃত প্রয়াসের দৃপ্ত পদব্রজ চিহ্ন!
তুমি আমার পুষ্পে শোভিত
ফুল মালতীলতা,
আনন্দময়ী সুদৃঢ় আত্মার নিয়ন্ত্রিত প্রভৃতির পাপড়ি!
তুমি আমার
চশমা-আঁটা চোখের জ্যোৎস্নায় আঁকা মুখচ্ছবি,
প্রেম উৎপত্তির বিকাশ সংক্রান্ত ধনভান্ডারের সন্ধান!
তুমি আমার কোকিল,দোয়েল,পাপিয়া প্রভৃতি পাখির কলগানের কুলকুল ধ্বনি-
ভূয়োদর্শণের অভিমানী নীল মেঘ!
তুমি আমার মুখশ্রীর প্রফুল্লতায় ভেঁজা ঠোঁটের ভাজে-ফুটন্ত
লাল গোলাপি তৃপ্তির হাসি,
যুথিকা সৌরভে-সুপ্তির নীরবতা,স্বর্গের অনন্য স্তম্ভিত রূপসি!
তুমি আমার পতাকা নিশানের অনুভবঋদ্ধ কাব্য চিঠি,
শ্রুতিমধুর বুলবুলির বোলে-করুণরসা তালুর ছিদ্র!
তুমি আমার উচ্ছলিত স্রোতের সুঃখ-উল্লাসের মুক্ত অস্তরবি।
(সংক্ষেপিত)