নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পিংকি মণ্ডল







হয়তো বা 
*********


হয়তো বা ...
প্রতিদিন মানুষের ভীড়ে ভেসে আসা তোমার চন্দ্রকান্ত মণি আমার,
হয়তো বা....
শীতের চাদর জড়ানো তোমার আলতো চুম্বন আমার,
হয়তো বা....
মেঘলা বাতাসে শ্বাসরোধ তোমার ধোঁয়া আমার,
হয়তো বা....
সলতে নেভা তোমার হানিকারক অন্ধকার আমার
হয়তো বা....
নীলাঙ্গন ছোঁয়া তোমার মন প্রান্তর আমার,
হয়তো বা....
ওষ্ঠোমাঝে তোমার কালো নিগ্রো তিলটি আমার,
হয়তো বা...
তোমার সিনসিয়ার ইগোর যন্ত্রনার বালুচর আমার,
হয়তো বা....
অকথ‍্য তোমার সহন সব অসহায় বেদনা আমার,
হয়তো বা....
উদাসিন সঙ্কেতে স্বপ্ন বোনা তোমার জাদুকাঠি আমার,
হয়তো বা....
তোমাকে ভালোবাসার অধিকারের অভ‍্যাস শুধু আমার,
হয়তো বা....
তোমার বুকের বাঁম পাজরের হাড়কাঠি আমার।

         

   

        মুহূর্তরা
*************



সুখ দুঃখ
ক্ষণিকে সব নিশ্চিহ্ণ
অন্ধকার প্রাচীর পর্দা
নিখাঁদ রশ্মি
পলক ফেলা পাঁপড়ি
ছায়াপথ বিলীন
আদি অন্তিম অশ্রু অক্ষর
কুঁচকানো মসৃণ আবদ্ধ বাঁক
পিরামিডে থামে
নিগ্রো শিকলের চির নামে।

সত্যেন্দ্রনাথ নাইয়া




★চরৈবেতি★
************



বাঁচ্,নিজের মতো বাঁচ্,
নিজের খুশীতে থাক্,
ঘেরাটোপের বাইরে তুই
খুঁটে খুঁটে জগতের বাহার দেখ,
রাধা-রহিম-মেরী বলতে হবে না আর, ময়না!তুই স্বাধীন হলি আজ।

অবাক!খাঁচার বাইরে আসতে নারাজ!

বাবু!আমি বন্দীদশায় বেশ স্বাভাবিক,
মুক্তির স্বাদ আমাকে টানে না আর,
ওড়ার থেকে পড়ার ভয় করে গ্রাস,
জানি না মা-বাবা কোথায় আজ,
দলছুটকে কে বা নিতে চায়!
তার চেয়ে রাধা-রহিম-বুদ্ধ বলি,
চরৈবেতি।
পরজন্মে যদি মানুষ হতে পারি,
পরাধীনকে স্বাধীন,স্বাধীনকে পরাধীন
করার কারবারি।
চরৈবেতি।

ভেতরের ধূর্ত কাকটা ভ্যাংচায়,
সিংহটা লোলজিহ্বায়,
কামুক কুকুর ঘাম ঝরায়,
আমার কেমন চারপা গজিয়ে যায়,
চরৈবেতি...

গৌরাঙ্গ মণ্ডল




নিত্যনতুন প্রেমান্তর
******************



বাকল মোচন, শুকনো পাতা, ঝরে যাওয়া সবকিছু 
উল্টো পিঠে দিচ্ছে টহল কয়েকশো প্রেম। ঘাড় পিছু। 

খোলাই ছিল রাস্তা দু'দিক, পা চেপে যাও পাশ কেটে 
শব্দ পেলেই মৃতেরা ঠিক নেমে আসবে প্ল্যান চ্যাট-এ। 

তার চেয়ে বরং ন্যাংটো হয়ে ঘুম দি এসো। দীর্ঘায়ু। 
লক্ষ 'তুমি'র গর্ভ তুমি অনিন্দিতা প্রেম-স্নায়ু, 

উগড়ে দিচ্ছো!উগড়ে দিচ্ছো!কক্ষে কক্ষে কোপ, জানি
আমারও নেই অসুস্থ ভয়। ব্যাধির অনুসন্ধানী। 

কথার ভাঁজে বাঁধছি শুধু লারেলাপ্পা মস্করা, 
স্পর্শ মেশাও, পাল তুলেছে পেন্ডুলামের শিরদাঁড়া। 

সমস্তই তো স্রোতোস্বিনী চরের নীচে খলবলে, 
চুপসে চোখের দৃষ্টিপাতই টেম্পোরারি ফেল হলে। 

গতি! সে নয় প্রতীক্ষিতা, বহমন্দ্রে উদবায়ী, 
চরিত্রেরা বদলে প্রতি উপন্যাস ও অধ্যায়-ই.. 

আগলাবে না আ়ঁচল পেতে, মেঘ জমেছে এক মনে;
আমার হৃদয় কুরবানী দি নব্য প্রেমের অঙ্গনে।

কল্যাণ মণ্ডল




     হারিয়ে যাওয়া গান 
      ******************




হারিয়ে যাবো যেদিন অামি,
মনখারাপের হিমেল বাতাস
জানাবে খবর কাঁদবে তুমি ৷
খুঁজবে অস্তমিত সূর্যের রঙে ,
খবর নেবে শুকতারার কাছে
ছবি হয়ে ঝুলবো দেওয়ালে ৷
কাঁদবে তুমি বুকটা ধরে ,
গন্ধ হয়ে বইবো বাতাসে ৷
তারা হয়ে দেখবো তোমাকে,
বুঝবে সেদিন বিরহজ্বালা
শুকিয়ে যাবে বরণমালা ৷
গভীর রাতে স্বপ্ন ভেঙে চমকে উঠে
অনুভব করবে মায়ার ছোঁয়া ৷
এই তো ছিল অামার পাশে
বসেছিল কোলটি ঘেষে ৷
পাওয়ার অাশা ধরবে যখন
ভাঙবে তোমার মিছে স্বপন ৷
মুছবে যখন অশ্রুধারা
পড়বে মনে সোহাগপাড়া ৷
জ্বলবে চিতা মিটবে জ্বালা ,
হাসবো অামি কাঁদবে তুমি
রইবে পড়ে হিসাবখাতা ৷

সমীর সরকার





ছায়াপোড়া মন
************



গুল্ম ঘুমের কুশি
নরম হাওয়ার দোল ছোঁয়ায়

জলছবির আকর্ষ
চুঁইয়ে পড়ছে অর্বুদে

জড়া মুখ তুলে
বোঁটা খসা আলো
শিষ  কাটছে জলবাঁশি

ঠেস দুয়ার
কোদাল ছাটা অন্ধকার
আড়ষ্ট চোখ
এক দোয়াত হিমেল কুচো
উত্তুরে জানালা
ভাবডোবা খাগ সুদূর প্রান্তীয়

বাড়িয়ে হাত টানছে দাগ
 তোমার সেই অনুক্ষণ

কি করব বলো -

কথাঝরা গাছ আমার যে
 ছায়াপোড়া মন ...

ঝুমা চৌধুরী




চৌকাঠের ওপারে
***************


স্পর্শকাতর ইচ্ছা গুলোতে সাহসের প্রলেপ লাগিয়েছিলো

যে দলছুট মেঘ

তার কাছে হাত পেতে একদিন বৃষ্টি চেয়েছিলাম আমি

ঝড়ের বুকে হাত রেখে বলেছিলাম

"এলোচুল উড়িয়ে, বুকের আঁচল সরিয়ে

লজ্জাকে উড়িয়ে নিয়ে যা দেখি"

গুমোট বিকেল বললো, "তবে যে তুমি অশুচি হবে!"

অস্ত যাওয়া সূর্যের চোখে চোখ রেখে অহংকার দিয়েছিলাম ছুঁড়ে

বলেছিলাম,"বেশ, হোক আমার সর্বনাশ "

গভীর রাতের গল্প গুলো যদিও ছিলো বড়ো বেশী সংযত,

শরীরী গন্ধ উপেক্ষা করে,সোজা মনের গালে গাল ঘসলো!

আমি অস্থির হয়ে বলেছিলাম,"ওওও মেঘ,

তুমি অমন কেনো!!

মন ভিজলে ক্ষতি নেই,শরীর জবজবে হলেই দোষ!!"

মেঘের মুখে তখন জয়ের হাসি।

আজ আমার উঠান জুড়ে মেঘ ভেঙে ভীষন বৃষ্টি

আর আমি বারান্দার পাশ ঘেঁষে চুপটি করে দাঁড়িয়ে

"ও মেঘ, আজ যে আমার ভীষন জ্বর!!"