নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রাঞ্জল দাস




সন্ধি  পুজোর আগে তুই মণ্ডপে এসে দাঁড়ালি ।পরনে সেই হলুদ শাড়ী ।তোর খোলা চুল, কাজল পরা চোখ, আর কপালের মাঝখানে ছোট্ট একটা টিপ...।
তুই আড় চোখে তাকালি তারপর ...।
ঢাকির কাছ থেকে কাঠি নিয়ে একটু বাজানোর চেষ্টা করছিলাম ।তোর সাথে চোখাচোখি হতেই তাল মিল ঘেঁটে ঘ।এবার তোর স্পষ্ট ইশারা বুঝে মণ্ডপের পেছনে গেলাম
আমাকে একটা গোলাপ দিয়ে বললি-“তোর বন্ধু স্বপ্ননিল কে বড্ড ভালবাসি রে।ওকে আমার মনের কথা টা একটু জানিয়ে দিস না প্লিস । আমার নিজে মুখে বলতে লজ্জা করে।আর ওর মনের কথা টাও জানাবি কিন্তু।"

সন্ধি পুজ শেষ হওয়ার সঙ্গেই ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল / বুঝলাম গোলাপের কাঁটা আঙ্গুলে ফুটেছে ।

অহল্যা



আমার ভ্যালেন্টাইন
***********************




প্রেম.....!
প্রেমের কি গন্ডি হয় অথবা সংঞ্জা ?
প্রেমের জন্য সম্পর্ক লাগে অথবা অসম্পর্ক ?
প্রেম কী এতো ঠুনকো !
অন্তরে প্রেম একবার জন্মালে
আমৃত্যু সে ধ্বংস হয় না।
আর যেটা ধ্বংস হয় সেটা নিছক সম্পর্ক।
জীব প্রেমে শর্ত থাকে কী অথবা মানুষ মানুষ প্রেমে!
প্রতিটা মুহুর্তে দিনে লুকিয়ে থাকে প্রেম ,
প্রেমের জন্য একটা স্পেশাল দিন হয় না কি ?
সেই প্রেম তবে কয়েকটা দিনেই থাক পর্যাপ্ত।
প্রেম হ্যাঁ প্রেম!
সে তো অসীম........
বর্তমান বলে সে কেবল উপন্যাসের পাতা বন্দী দুঅক্ষরের এক জটিল শব্দ ।

বিশ্বজিৎ মাহাত





আজ জন্মদিন 
**********




আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি গোলাপের ফুল---- 
আরেক মায়ের ভালোবাসা নেবে  কেড়ে  ? তুমি নও যমদূত----

আজ জন্মদিন  ।
যদি উপহার দাও--- দিয়ো না কিছুই   , 

ভালোবেসে ,  দাও যদি কেকের কবিতা--- 
হত্যাকারী হবে ছুরি আর তুমি ।  রক্তাক্ষরে  জীবন কয়েদি----

আজ জন্মদিন ।
যদি উপহার দাও-- দিয়ো না কিছুই   ।

শেখ ইমদাদ উল্লাহ নীলয়





অনুমতি 
*********



 যখন দেখি কাউকে হাত ধরে
পাশাপাশি হাটঁতে তখন
খুব ভাল লাগে সেটা দেখতে,
 আমার ও মাঝে মাঝে মনে চায়
তোমার হাত ধরে হাটতে
জানি পারবোনা কখনই
এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে।
 যখন দেখি কাউকে চোখে চোখ
 রেখে কথা বলতে তখন
 ভাল লাগে তা দেখতে,
 আমার ও তখন ইচ্ছে করে
তোমার ঐ দুটি চোখে চেয়ে থাকতে,
তুমি আজ বহুদূরে
 তাই অপূর্ণই রয়ে যাবে আমার ইচ্ছে।
যখন দেখি কাউকে পূর্ণিমারাতে সমুদ্রজলে ।

ঋতুপর্ণা সরকার



ঘুমভাঙ্গানিয়া...
***************




এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভাবিস না রে ছোঁব না আজ তোকে
তাকিয়ে শুধু দেখব এলোমেলো
শুয়ে আছিস কেমন আমার হয়ে!
অন্ধকারে মোমবাতিটা জ্বেলে
ধন্য হয়ে উঠুক আমার ঘর
খোঁপা ভাঙ্গা এলো চুলের মাঝে
কুর্চি হয়ে আজকে ঝরে পড়।

এই পাগলি অমন কেন হাসিস?
ঠোঁটের কোনে মরন হাসি মাখাস
চুলের ফাঁকে গভীর ওই চোখে
পাগল করা দুষ্টুমির-ই আভাস।

তোর চোখে আজ সর্বনাশের হাসি
রাত্রি জাগা চোখের কোলে কালি
চোখের নিচে জলের দাগটা কেন?
এমন করে কষ্ট সুখ ও পেলি?

এই পাগলি আমার সঙ্গে শুবি?
ভয় নেই রে ছোঁব না তো আর
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে আজ তোকে
নিয়ে যাব সাত সমুদ্র।

গুনধর বারিক




একটি স্বপ্ন
********



                  আলোক প্রিয়াসী মন আমার,                                               তোমারই আলোক
ছোঁয়াতে হয়েছে আলোকিত মোর দেহ-প্রান।                    এ আলো তুমি জ্বালিয়ে রেখো
সর্বক্ষন মোর প্রানেরও দিকে।                      পরশকাতর এ দেহ আমার,
                            যে স্পন্দিত হয়েছে প্রথমবার তোমারই আলতো
পরশে।                               এ দেহের অপেক্ষা এখন পেতে সে পরশ চিরতরে
সর্বক্ষন।                                   স্বপ্ন সাজানো আঁখি আমার,
             যে স্বপ্ন সাজিয়ে দিয়েছো তুমি প্রথম।
চাইছি তুমি একদিন এ আঁখিতে আঁখি মিলিয়ে,                                  করোগো সে
স্বপ্ন সত্যি আমার,যারে কিনা সবাই শুভদৃষ্টি কয়।                             এ
নয়ন এখন সেই স্বপ্নই দেখে শুধু বারে বার।                                      কিগো
পারবে তো সে স্বপ্ন সত্যি করতে আমার?                                             এই
প্রশ্নই তোমার কাছে রাখি শতবার।
            তুমিও সাজিয়ে নাওনা প্রিয়ো এ স্বপ্নকে আঁখিতে তোমার।