নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

গৌরাঙ্গ মন্ডল




নিত্যনতুন প্রেমান্তর
*******************

বাকল মোচন, শুকনো পাতা, ঝরে যাওয়া সবকিছু 
উল্টো পিঠে দিচ্ছে টহল কয়েকশো প্রেম। ঘাড় পিছু। 

খোলাই ছিল রাস্তা দু'দিক, পা চেপে যাও পাশ কেটে 
শব্দ পেলেই মৃতেরা ঠিক নেমে আসবে প্ল্যান চ্যাট-এ। 

তার চেয়ে বরং ন্যাংটো হয়ে ঘুম দি এসো। দীর্ঘায়ু। 
লক্ষ 'তুমি'র গর্ভ তুমি অনিন্দিতা প্রেম-স্নায়ু, 

উগড়ে দিচ্ছো!উগড়ে দিচ্ছো!কক্ষে কক্ষে কোপ, জানি
আমারও নেই অসুস্থ ভয়। ব্যাধির অনুসন্ধানী। 

কথার ভাঁজে বাঁধছি শুধু লারেলাপ্পা মস্করা, 
স্পর্শ মেশাও, পাল তুলেছে পেন্ডুলামের শিরদাঁড়া। 

সমস্তই তো স্রোতোস্বিনী চরের নীচে খলবলে, 
চুপসে চোখের দৃষ্টিপাতই টেম্পোরারি ফেল হলে। 

গতি! সে নয় প্রতীক্ষিতা, বহমন্দ্রে উদবায়ী, 
চরিত্রেরা বদলে প্রতি উপন্যাস ও অধ্যায়-ই.. 

আগলাবে না আ়ঁচল পেতে, মেঘ জমেছে এক মনে;
আমার হৃদয় কুরবানী দি নব্য প্রেমের অঙ্গনে।

সিলমী ইনতেজার



বিধিবাম
*********


এ কেমন বিধির ব্যামো!
গুরু দেয় চণ্ডালে নমঃ।
ক্যাকটাসের কাঁটাও নাকি সুর তোলে?
চাঁদ নাকি ফেঁসেছে আজ কুন্তলে!
মরীচিকা আর চোরাবালির বস্তিতে
ষষ্ঠ তীর বিঁধছে মা কুন্তিতে।
টিপ আজকাল কালোও ভালো?
ছন্দ মিললেই কবি হলো?
হাসাতে তো ভাঁড় ও পারে।
হাসিয়ের ঘরে কি জীবন ফেরে?

অভিজিৎ পাল




তূর্য 
****


১.

বৈরী আবহাওয়া। দাপট জাগছে। প্রচলিত শব্দের অর্থ শুধু ঘুরে বেড়ায়। নষ্ট হয়ে যায় ভালো প্রশ্নের জবাব। অনেক তো দিন গেল। এভাবে আর কত! আর কি সত্যি কোনো প্রয়োজন আছে বেঁচে থাকার? এভাবে বর্তে থাকার? অনেকগুলি নেতিবাচক উত্তরের পর একটি ইতিবাচক উত্তর এলে ভালো লাগে। হাসি জাগে। এটুকুই তো জীবনের রসদ আমার। আমিও তো পাখির মতো মাঝে মাঝে ব্যাধের চোখ দুটো খুবলে নিতে চাই। যে সব ব্যাধ অনেক সম্ভাবনাময় মুক্ত পাখিকে বিনাছন্দে হত্যা করেছে...

২.

ভোরের বাদ্য বাজে। যুদ্ধের তূর্য। বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়। এটিই পৃথিবীর আদিম সমরনীতি। আমার মতো তুমি এসব জানো। তোমার আমার মতো আরো অনেকেই জানে। শুধু যারা জানে না, তাদের হাতে এবার তূর্য তুলে দাও। ওরা বাজাক। শব্দে শব্দে উন্মাদ হয়ে যাক ক্ষুধার্ত সোনার চাঁদ। সবার উচ্চারণের প্রতিটি ধ্বনি যেন ঐ মিথ্যে মহাত্মা সেজে থাকা অ-মানুষটির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে...

দীপক আঢ্য




আমি ও খরগোশ সমাচার
************************
(১)
অভ্যাসে  আটকে রাখি নিজেকে
রাত্রি নেমে আসে খাঁচায়
চুপ থেকে ক্রমশ খরগোশ হয়ে উঠি।

(২)
একটু গন্ধ শোঁকা পা কিম্বা ঝুল পেটিকোট
লাফ দিয়ে ভালোবাসা আসে নরম স্পর্শে
আমি বৃদ্ধ হচ্ছি ক্রমশ!

(৩)
দোতলা খাঁচা আর দোতলা বাড়ির মধ্যে
সাদৃশ্য খুঁজতে খুঁজতে
নিজেকেই কখন বন্ধ করেছি কংক্রিটের ভিতরে!

(৪)
সন্ধে আসলে ঝুপ করে মনখারাপেরাও চলে আসে কখনো
সেও আমাকে মেখে অন্ধকার হয়ে থাকে সারারাত।

(৫)
কিছুটা আদিখ্যেতা কমে গেলে
নরম বিছানা আর ওয়্যার নেটের মধ্যে পার্থক্য দেখিনি--
কেবল কষ্টগুলো যুঝতে থাকে সময়ের সাথে!

শিপ্রা দে


হেমন্তিকা 
**********




শরতের শেষে গুটি গুটি পায়ে হেমন্তিকা আসে ।
কাশবন যখন মাথা উঁচু করে অসীম বীরত্বে হাসে।
আকাশে ,বাতাসে, বৃক্ষ, চরাচরে উদ্ভাসিত হেমন্তের রূপবিভা।
কোমল, স্নিগ্ধ, মায়াময় প্রকৃতি ভিন্ন মাত্রায়  পায় শোভা।
সোনা ঝরা রোদ্দুর নীল আকাশ ঘিরে আছড়ে পড়ে ।
শিউলির সুবাসিত গন্ধে মন মাতাল করে ।
উদাসীন,ধূসর পথিক হয়ে আলোছায়া বিচিত্র খেলা ।
নরম ঘাসের ডগায় শিশিরের বিন্দু, যেনো মুক্তোর মালা।
গভীর গহনে বিস্তৃত ছাতিম, তীব্র গন্ধ ছড়ায়।
অশোক, টগর, মালতী, কাঞ্চন ফোটে শাখায় শাখায় ।
শর্ষে ফুলে ঢাকা যেন, সোহাগী হলুদ চাদর।
মাঠে ফসলের উচ্ছাসে,কৃষানের হয় কদর ।
সোনালী ধানের মাঠে ফসলের ঘ্রাণ 
উঁকি মারে শীতের আভায় অগ্রহায়ণ।
পাতা ঝরার হেমন্তে বিবর্নতা, বিমূর্ত রূপ।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দ অরূপ ।

মহ. ওলিউল ইসলাম







একটি সত্য প্রেমের কাব্য
***********************



     
আমি আজ পুরোটাই তার দখলে|
এ জবরদখল, ---আমাকে তার করে নিয়েছে|
আমি মুক্ত হতে পারিনি,
তার উলঙ্গ প্রেমে আমি আচ্ছন্ন |
তার ঠোঁটের পালিশে আমার ঠোঁট দুটি বেশ রঙ ধরেছে|
তার যৌবনের রস শেষ বিন্দু পর্যন্ত আমার করেছি|
এখনো তা জমে আছে হৃদয়ের কাছা-কাছি,
---মিছরির দানার মতো|
পৌষের সকালে তার একটু ছোয়া,চৈত্রের উষ্ণতা দিয়েছে|
ঘুম না আসা রাতে,সারা প্রহর একাত্ম হয়ে কাটিয়েছি|
তবু সংশয়, একদিন হয়ত চলে যাবে
সব কিছু ভুলে!
শুধু, থেকে যাবে কিছু জীবন্ত স্মৃতি,--কালো ঠোঁট, ফুসফুসে কালি আর খুক্ খুক্ খুক্ মগজ কাঁপানো ধ্বনি |