নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আমিনুল ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আমিনুল ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ডাস্টবিন : আমিনুল ইসলাম


ডাস্টবিন থেকে ধূলো উড়ছে, আর
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত আবর্জনার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়ে ওঠেনি কলম, যেহেতু তার সুডোল শরীরের যন্ত্রনায় একবিন্দু আফশোস মেখে নেই আমার।

'আমি' মানে এখানে 'আমিই' নই, এখানে 'আমি' হচ্ছেন উত্তম পুরুষ যাঁর চামড়া পুরু হওয়া বাঞ্ছনীয়
এবং যে সলতে হয়ে পুড়তে সক্ষমতা পেয়েছেন
কারণ পুড়তে অক্ষমতা থাকলে, আলো হওয়া যায় না...

।।মুখোমুখি তুমি।। আমিনুল ইসলাম






বসে আছি মুখোমুখি, মানে মুখে মুখ রেখে চুমুর অন্তরঙ্গতা নয়
সামনাসামনি কিছু বোঝাপড়া বুঝে নিতে আয়নায়।
তুমি লেলীহান জ্বলছো সলতের সংস্পর্শে -
আলোহীন খাঁচার ভিতর পাখি সেজে কতোদিন একা থাকা যায়?
একা হতে হতে তলানিতে ঠেকে একাকিত্বে নিখোঁজ হওয়ার অমোঘ আকর্ষণে পর্দার হারিয়ে যাওয়া, শব্দগুলিকে ভেঙে বিকলাঙ্গ করে তোলার নিরবিচ্ছিন্ন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় সত্য-মিথ্যা
সতী-সাবিত্রী কথায় বালিশ ভেজেনা কখনো, ভিজে যায় চোখের চালচিত্র
মেজেন্টা রং ক্ষয়ে যাবে বলে আদ্রতা ধরে রাখে উদ্ভিদ
চাঁদের চর্যাপদে চাষযোগ্য ভুমি না থাকায় কৃষি কাজ নিয়ে কোনো চাঁদের আলোর মাথা ব্যাথা নেই
সুতরাং একা হয়ে পড়ছো ক্রমশঃ বহুত্বের অন্ধকারে -
দলিত ফুটপাতে আঁকা থাকে রাতের প্রজাপতি।।

মুখোমুখি তুমি : আমিনুল ইসলাম


বসে আছি মুখোমুখি, মানে মুখে মুখ রেখে চুমুর অন্তরঙ্গতা নয়
সামনাসামনি কিছু বোঝাপড়া বুঝে নিতে আয়নায়।
তুমি লেলীহান জ্বলছো সলতের সংস্পর্শে -
আলোহীন খাঁচার ভিতর পাখি সেজে কতোদিন একা থাকা যায়?
একা হতে হতে তলানিতে ঠেকে একাকিত্বে নিখোঁজ হওয়ার অমোঘ আকর্ষণে পর্দার হারিয়ে যাওয়া, শব্দগুলিকে ভেঙে বিকলাঙ্গ করে তোলার নিরবিচ্ছিন্ন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় সত্য-মিথ্যা
সতী-সাবিত্রী কথায় বালিশ ভেজেনা কখনো, ভিজে যায় চোখের চালচিত্র
মেজেন্টা রং ক্ষয়ে যাবে বলে আদ্রতা ধরে রাখে উদ্ভিদ
চাঁদের চর্যাপদে চাষযোগ্য ভুমি না থাকায় কৃষি কাজ নিয়ে কোনো চাঁদের আলোর মাথা ব্যাথা নেই
সুতরাং একা হয়ে পড়ছো ক্রমশঃ বহুত্বের অন্ধকারে -
দলিত ফুটপাতে আঁকা থাকে রাতের প্রজাপতি

কে আদিম : আমিনুল ইসলাম



সূর্য দেব টারানিসের সংস্পর্শে একটি মিসলটো ফুল ফুটলে
মিররের কান্নায় গড়িয়ে যায় মোম
মোমবাতি ও যীশুর যোগসূত্র স্থাপনে আগ্রহী কেল্টিক সভ্যতার ফ্লাইওভারে হেঁটে যাচ্ছে এক আদিম সাম্যবাদ
যতদুর সম্ভব ফুল স্ত্রীলিঙ্গ নির্ধারণ করলে, তথাপি
সাম্যবাদের আদ্যপ্রান্ত জড়িয়ে আছে লিঙ্গ ভেদের বিচ্ছুরণ
সমস্ত আপডেট বিচ্ছুরণ সংগঠনের মালিক সূর্য দেব হলেও 
টারানিসের জন্মক্ষণে একটি মিসলটোর তথ্য মিললে
প্রতিটি গীর্জা সেজে ওঠে সাদা ফুলে-

পোষাক : আমিনুল ইসলাম




নগ্নতাদের একত্র করলে তারা লজ্জায় পোশাক খোঁজে
প্রতিশ্রুতি নিয়ে ওরা নিজেদের ঢেকে নেয় অন্ধকারের আড়ালে।
রাতের নগ্নতা জুড়ে আড়াল খুলে খুলে খুঁজছি তাদের 
নগ্ন শরীরে আয়না নির্বাক দাঁড়িয়ে নিজেকে আরও একবার যাচাই করে
মেঘের আড়াল ঠেলে সূর্যের নগ্নতা দেখার চোখ নেই তোমার চোখে
আসলে যা দেখ সবই রেটিনায় সাজিয়ে রেখেছে অন্য কেউ
অন্যের আবর্তে আবর্তিত হতে হতে খুঁজে চলেছো সভ্যতার নগ্ন পোশাক

অনুপ্রবেশের ধুলো ঝড় ; আমিনুল ইসলাম



আকন্ঠ গিলে ফেলছি নিমজ্জিত পতনের ঢেউ
ঢেউয়ে ওড়নার ফুরফুরে শরীর বিলিয়ে দেয়া
এসবের আড়াল-আবডালে পরাগহীন হয়ে ওঠা ও
অন্যের তাগিদেই মৌমাছি প্রতিপালনের পক্ষ জুড়ে
মোমবাতিটি পুড়ছে
বিবশ হয়ে আসা ঠোঁটের অনুপ্রবেশে দ্রাঘিমায় নিষিদ্ধ
ধূলো ঝড়
ক্রোধের রং লাল জানি, দুরুদুরু ভালোলাগার ভয় মিশ্রণে যে রঙের আবির্ভাব, সে রং সহনশীলতায় ডিপ- ফ্রিজে বরফ জমতে থাকলে
কাঁচ ঝাপসা হয়ে ওঠে
প্রতিনিয়ত চোখের ট্যানেলে স্ক্যান হতে থাকা অবস্থান পরিবর্তন আঁকা হলে
একটি নিপুণ রাত জাগে সমান্তরাল

অতঃপর, ধীরে ধীরে মালতীর নাইট ড্রেসে জোনাকি খুলছে

মালতীর উড়ান : আমিনুল ইসলাম



তপবনে বসে নেই শকুন্তলা, অপেক্ষায় অপেক্ষায়
ঝিমিয়ে গেছে জারুল
ভাগাড় সাজিয়ে শকুন পাহাড়ায় পঁচা গলা নগ্নতা
অসাড় পড়ে থাকা কাঠের পালিশ
নারায়ন লাঠি হাতে বহুদূরে চলে গেছে সোজা চোখের গভীরে
ডুবতে ডুবতে শুরু হয়েছে বন্যার তলিয়ে যাওয়া শব্দ-সম্ভার।
সবকিছুকেই হটিয়ে রেখে ভালোগুলোই তুলে আনে
তথাপি মালতীর আকাশে উঠতে পারেনি একটিও অন্য উড়ান
এযাবৎ মহড়া হয়েছে, অনেক যুদ্ধ বিলম্বিত হচ্ছে আড়ালে

ফুটন্ত মালতি : আমিনুল ইসলাম


বাউল বনে মালতী ফুটলে
কচুরিপানার আদর মেখে দেয় রোদ
স্তন ভেজা জল সাঁতরে পার হয় বালিহাঁস
এসবের ঘন কুয়াশার অন্ধকার ঠেলে সিটি মেরে
ছটা কুঁড়ির ভাগীরথী ছুটছে ফেলে ইস্টিশান
পানের গুমটিতে ফুল ফুটলে
এখনো বাঁশি বাজে মনে...

জন্ম লগ্ন : আমিনুল ইসলাম


উপত্যকায় উষ্ণতা বাড়লে পাপড়ি ঝড়ায় গোলাপ
কলাপাতার আন্দোলনে অনুভূত তোমার স্বত্তা
অনূদিত শব্দ সমন্বয়ে অথই চোখ উপছে পড়ে
পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনাই স্নায়ু জুড়ে উত্তাল।
ঢেউ আছড়ে পড়ে বুকে। বুকের গন্ধ শুকে ঘুমিয়ে পড়ে শিশু। জন্মদাগ আঁকা মায়ের জঠর,
আমার নখে মুখে লেগে আছে পাপের দুর্গন্ধ।
পুরুষ পশুত্ব ভুলিনি আজো, প্রত্যাশার প্রাচীর জুড়ে
গেঁথে থাকা আলপিন বেদনা জড়িয়ে রাখে।
ভয় ও শঙ্কা নিয়ে পেরিয়ে যায় কত শত মেয়েলি ১৮বছর।
আমি ৪৬শের কাঁচা পাকা চুলে মেলে ধরেছি বার বার
বারংবার শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতির জন্ম লগ্ন।

তীর্থ যাত্রার পূর্ব কল্প.. আমিনুল ইসলাম




পোয়াতি রাত প্রসব করে আলো
আলো ছায়ায় অন্তরালে প্রেমপর্ব
বটগাছ বিছিয়ে দেয় ছায়া, পাখিরা আশ্রয় খুঁজে নিলে
তুমিও মেখে নাও সবুজ শীতলতা।
মায়াজাল বুনে চলে প্রতিটি অন্ধকার গর্ভপাত,
কোথায় যাচ্ছ সরে সরে সুমেরু সাগর?
অগুণতি প্রেমিকের দল ছেঁকে নিতে দুধের ফেনা
ঠেলাঠেলি বিভেদের মৌতাত।
আমার মৌনতা জুড়ে শুয়ে থাকে
রেড এলার্ট কানা গলি, অলিগলি অন্ধগলি পাকস্থলী
জুড়ে গা বমি বমি। উলঙ্গ শয্যায় বসে থাকা রাত
পিতৃত্ব জাগায় । আমার কামের অ আ ক খ
থেকে ছিটিয়ে দিই মাতৃত্বের মৌলিকতা।
গৌণ বিষয়গূলিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে ভাঙতে হয়
ভাঙতে ভাঙতে গড়তে ভাঙতে পৌঁছে যায় গন্তব্যের গহীন প্রেক্ষাপট। তুমি কুড়িয়ে রাখ খুনসুটি অভিমান।
আমি অভিযানে অভিযানে ভরিয়ে দিলাম
বোতাম খোলার অমনিবাস।