নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

~~***একটা দুটো আড়াল ***~~

      ~~***একটা দুটো আড়াল ***~~

     ©সম্পূর্ণা চ্যাটার্জী


স্বভাবের অভিমানগুলো এমনই হয় বোধহয়
যখন জানলা চেয়ে পূবে,চোখে পশ্চিমের সন্ধ্যে ঘনায়
সেই শহরটাও যায় ভেসে মুঠোর আকাশ ভেঙে
বর্ষা ডোবে বুকে, ধুয়ে যায় ভাদ্র জলে গোলা রঙে

     প্রতিদিন কবিতা লিখছি, প্রতি মুহূর্তে মনের গভীরে অন্তর্দৃষ্টিতে ছুঁয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেক শব্দ অক্ষরে দেশ-সমাজ-সময় গেঁথে গেছি| স্বাধীনতা, প্রতিবাদ অগণিত মানুষের চেনা অচেনা ছবি আমার খাতায়|  অথচ নিজেকেই চিনি না!কখন অনুভূতিগুলো ঝলসে গেছে নিজেও বুঝিনি! কেউ জানে না, ওই কবিতা গুলো মিথ্যে! হয়তো চেয়েছি অমন, কিন্তু আপোষ করে গেছি সর্বত্র! ওই যে দুর্গন্ধে ছুঁড়ে ফেলা অন্তর্বাস, ও জানে আসল আমির মধ্যে কতোটা ময়লা জমে! ওই রঙচটা ব্লাউজটা জানে আমার ভেতরের সব রঙ ধুয়ে গেছে ! রান্না ঘরের খালি কৌটোগুলো জানে কতোটা শূন্য আমি! অথচ কবিতা গুলোয় মুঠো রোদের গন্ধ! প্রত্যেকটা শব্দ রঙীন! প্রত্যেকটা লেখা ভাবনায় বোধে পূর্ণ!

এমন দিন গুলো কেমন যেন হয়
মনখারাপে দেয় হু হু হাওয়া, তুখোড় নীরবতায় কথারা সহ্যে সয়
হতাশ সব দিন গড়িয়ে পড়ে আঙুলের ফাঁক গলে
নির্বান্ধব চরাচর শুকনো,বিরামহীন স্রোতের  অন্তরালে

      ভুল গুলো বোধহয় এমনই হয়, যখন মনের অন্ধকার দালান জুড়ে লোডশেডিংয়ের রাত। খুব চেনা মানুষটা সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে,হঠাৎ পুরনো দিনগুলো ফ্ল্যাশ বাল্বের আলোয়। নিজেকে ছাড়া দেখতে পাচ্ছিনা কাউকে! ছুঁতে চাইছি সবাইকে, তবু দূরে সরে যাচ্ছি ! ওহ! অসহ্য যন্ত্রণা নামে তখন! একটা করে দিন যাচ্ছে চলে, মৃত্যুর সাথে কমছে দূরত্ব, জীবনের সাথে বাড়ছে দূরত্ব ক্রমশঃ ! ভুলের মাশুলের সংখ্যা অগুন্তি, তবু হাসছি,তবু রোজ বলছি, "ভালো আছি"। ওরা বিশ্বাসও করছে!

তোমার শিয়রে ঘুম আর কিছু ইচ্ছেকথা
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জেগে অপেক্ষার ব্যথা
স্বপ্ন সমীচীন, নিরন্তর স্রোতে ভেসে তারা
আকাশ জানে রাত কেঁদেছিল কতোটা! জানতে পারেনি সেই গলি, তার পাড়া

     সেদিন এসেছিলে তুমি, সেই পুরনো চৌকাঠে! দরজা বন্ধ করেছিলাম সপাটে!  সঙ্গে সঙ্গে কতো যে অন্ধকার নেমেছিল পারোনি জানতে! সমস্ত পৃথিবীটা এক নিমেষে নিস্তব্ধ! থেমে গিয়েছিল বেঁচে থাকার লড়াইটা নিমেষে  ! জানতাম আরেকবার করছি আত্মহত্যা! তবু খুলিনি দরজা! অজস্র অভিমান তখন চিবুকের তলায় ভেঙেচুরে! তোমার চলে যাওয়া গুলোয় হাসি মুখে বিদায় জানিয়েছি।বলেছি, 'ভালো থেকো।' বলতে পারিনি, 'যেওনা ভীষণ কষ্ট পাবো আমি|' খুব সাধারণ মেয়েদের জন্ম বলে হয় না কিছু। জন্মান্তরের ইচ্ছে টুকু রয়ে যায়! হয়তো আবারো ফিরবো কোনো কবিতায়, তখনো চিনতে পারবে না তুমি....!

  আমার আকাশে চেয়ে দেখো, তোমার জন্মে মিশেছে

  মৃত্যুগুলো আলাদা, আমার বাঁচায় রেখেছি বাঁচিয়ে..

*****************************************

~~****আয়োজন***~~

       ~~****আয়োজন***~~
 
         রূপা রায়
দেশ ভাসছে বানের জলে
চোখ ভাসছে জলে
দামী সোনার গহনা দেখো
ঝুলছে মায়ের গলে,
থরে থরে সাজছে থালা
মায়ের ভোগ বলে!
ছেলের মুখ ক্ষুধায় কাতর
কাশ বনে ঢেউ তোলে।
জলের তোড়ে ভেসে গেছে ভুবনের ঘর, বুক দিয়ে তবু
আগলে রাখে ঢাক খানি  সে তার,
সন্ধ্যা রাতে হারিয়ে গেলো পুত্র পরিবার।
ত্রাণ এসেছে প্রাণ বেঁচেছে
মনে আগুন জ্বলে,
পেটের জ্বালায় ছুটছে সে আজ
প্রাণ বাঁচাবে বলে।
নগ্ন পায়ে শিশির ছুঁয়ে
ভোরের ট্রেন ধরে,
পৌঁছে যাবে শহরে সে
ঢাক কে সঙ্গী করে।
ষষ্ঠীতে যে মায়ের বোধন
মা আসছেন ঘরে-
হারিয়ে গেলেও প্রিয়মুখ
হাসবে সবাই ওরে।
মনের মাঝে গোপন ব্যথা
ঢাক কাঠিতে পড়ে,
পাষাণ হৃদয় হাসি মুখে
ঢাক বাজবে জোরে।
পুজো এলো পুজো এল
কর রে আয়োজন,
পরের শোকে কাতর হওয়ার
নেই তো প্রয়োজন।।

~~***জয়ী***~~

     ~~***জয়ী***~~

       সুস্মিতা কর্মকার

হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তদের ফিরে পেতে চাওয়ার অনুভূতিতে ক্লান্ত শরীর ও সিক্ত চোখের উস্কানিরা  ঘিরে ধরেছে এক না পাওয়ার বেদনায় |
এক অদৃষ্ট হাহাকারে জড়িয়ে পড়তে থাকা মনের চাওনাদের ভিড়কে ঠেলে  ,কাছে পেয়েও সীমাকে লাঘব করার বেদনাতে সতেজ  প্রশ্বাস ও আজ স্তব্ধ |

তবু ও ছুটতেই হবে , নিজেকে গড়তেই হবে ,
এই দৃঢ়তার ই বিশ্বাসের জোড়ে   নতুন পথে ছুটে যেতেই হবে |

মনের মাঝে কাঁটাঘেরা পথ দীর্ণতাকে অতিক্রম করিয়ে দূরে আরো দূরে লক্ষ্য স্থির করতে ভুল  পথে হাঁটলেও , ক্ষণিকের পিছুটান দূরে সরিয়ে আত্মগরিমার অহংনাশে নিজেকে সফল পথে মিলাতেই হবে | এই বিশ্বাসের জোরেই পথে ছুটতেই হবে |

~*** মুখ ঢেকেছে বিবেক ***~

~*** মুখ ঢেকেছে বিবেক ***~

              ©  মনিকান্ত সর

মনুষ্যত্বের আড়ালে মুখ ঢেকেছে বিবেক,
মান আর হুঁশ -- আজ কেই বা কার পরিপূরক।
বিজ্ঞাপনের মোড়কে বিকৃতপ্রায় মানবিকতা,
দেওয়ালে পিঠ অথচ কানে শিকল ভাঙার গান ।

ভাঙা আরশীতে অভিমান জমে রোজ,
ট্র্যাফিকের ঘন জ্যামে, বয়ে যায় বিপন্ন জীবন,
আঙুলের ফাঁকে দিন আড়াল রাখি সূর্যকে,
ছায়া বড়ো হতে থাকে ক্রমশ, অস্তিত্বকে ঢেকে দিতে ।

ল্যাম্পপোস্টের আলোটাও নিভে-জ্বলে প্রতিদিন,
সন্ধ্যার আড়ালে জন্ম নেয় কত রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ।
কাঁচের দেওয়ালে রোজ লাগে, কান্নার জলছাপ,
অথচ শান্তির মিছিলে, মোমবাতি হাতে জমে ভীড় ।

রঙ্গমঞ্চে অল্প বিস্তর নাটক তো চলছেই,
বাতাস ছেয়ে গেছে পোড়া বারুদের গন্ধে,
ধ্বংসস্তুপের নীচে আজও জ্বলছে ছাইচাপা আগুন,
শুধু ইতিহাস কথা বলে, খোদিত পাথরের টানে ।।

~~***প্রত্যাশা***~~

      



 ~~***প্রত্যাশা***~~


          ©আহমেদ কায়েস

উচ্ছন্নে যাক
আমার সব কিছু,
তোমায় দেব
উজাড় করা প্রেম ।
হোক বিষণ্ন
আসন্ন সব কিছু,
আমায় দিও
ভালোবাসার হেম।

গ্রাফিক্যাল

      ~~****গ্রাফিক্যাল****~~


       ©জ্যোতির্ময় রায়


দূর্বা ঘাসের মাথায় শিশির জমে ,কিছু শাপলাও ফুটে
পদ্ম পুকুরে ।এ পথ এঁকে বেঁকে চলে গেছে সবুজ পেরিয়ে
তোমার দেশের বর্ডারের কাঁটা তার ধরে ।সাজ সাজ রবে
শহর ।আমার দেশে মৃত্যু শোকের মোমবাতি মিছিল ।।
রোজ ভাঙছে ঘর ।অনেক আপন তোমারও হয়েছে পর ।
কাটাকুটি খেলায় এক কদম এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে ।
ক্ষত ।মেঘের আড়ালে আগুনে ঝলসানো চাঁদেও কলঙ্ক ।।
"আগার টুট গায়ে সিসে তো টুটনে দো ,পাহাড় হবেই দিল" ।।
মিথ্যের আসকারাতে জানি "দিল ভি বেকারার" ।
থাক ,অনেক হয়েছে নাটক ।"আমার আমি"
অবহেলার আশ্চার্য প্রদীপ।ভেঙ্গে ফেল খাঁচা এবার ।।

~*****শুধু তুমি*****~

      



 ~*****শুধু তুমি*****~



    ©লীনা দাস



সময়ের স্মৃতি বেয়ে আবর্তনের
শেষ প্রান্তে,
নতুন আশা জাগিয়ে বসন্ত আগত
অরণ্যের কচিপাতারা,হাওয়ার
সাথে কথা বলে,বৃষ্টির সাথে কথা
বলে ফিসফিস করে;
আর তুমি?তুমি বড় অস্পষ্ট,তুমি
ধোঁয়া ধোঁয়া!
তুমি তালগোল পাকান মেঘের
আস্তরণ!
তুমি যদি একটু হাস,আমার চোখে
আলো ঠিকরে ওঠে,
তুমি যদি একটু নরম করে কথা
বলো,আমার চারপাশে শীতল শীতল হাওয়া বয়!
তোমার কি অসম্ভব টান,মনে হয়
খাদে গড়িয়ে যাব,নদীর স্রোতে
ভেসে যাব!
বার বার বার বার ভেবেছি,
মেঘ আর ধোঁয়ার পিছনে হিমালয়
স্পর্শ পাব,তোমার কঠিন আস্তরণ সরিয়ে তোমাকে দেখতে পাব!!
কিন্তু আমার মনটাকে থেঁতলে
চুরমার করেছ তুমি!
সে টুকরো কুড়ানো যাবেনা,
রক্তাক্ত হৃদয় টুকরোই;
শুধুই হতাশা আর বিরহ যন্ত্রণা!!!

আমার দুর্গা হাসবে এবার

   



   ~*****আমার দুর্গা হাসবে এবার****~


©সুমনা বসু



আমার দুর্গা বাসন মাজে
এবার খুশি বোনাস পেয়ে--
পূজোয় যে তার নতুন শাড়ি
দুর্গা ঠাকুর দেখবে চেয়ে ।
আমার দুর্গা অল্পে খুশি
ডাল ভাতে তার মুখে হাসি--
নাইবা পেলো দামী আহার
তৃপ্তিতে খায় পান্তা বাসি ।
আমার দুর্গা কাজ করে খায়
শীর্ণ হাতের শিরা দেখা যায়---
অতি কষ্টে মাস যে চালায়
কাজ করে আর কটাকা পায় ?
আমার দুর্গা সাজেনা আর
মলিন বস্ত্র পরনে তার--
নতুন শাড়ি পরবে এবার
কাটুক ভালো পূজো সবার ।

এমনই এক দিনে








~*** এমনই এক দিনে ***~

         
             © মনিকান্ত সর


ঠিক এমনই এক দিনে....
যখন প্রতীক্ষার প্রহরগুলো দীর্ঘায়িত হচ্ছিল দিন দিন,
       ----- সেই সেদিন,
কয়েকটা ছুতো ছিলো সঙ্গী, আর
তোমাকে পাশে পাওয়ার অদম্য ইচ্ছা,
                      ------------------- ব্যাস্।
তাতেই উড়িয়ে দিয়েছিলাম কয়েকটা খোলা চিঠি,
------ নীল খামে, মেঘমুক্ত আকাশের বুকে ।
নাহ্, ঠিকানা লিখিনি সেদিনও,
জানতাম, পৌঁছে যাবে ঠিক, তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ।

কয়েকটা ফুল, সম্মতি জানিয়েছিল সেদিন,
গোধূলির লালাভ সূর্যটাও হেসেছিল, নতুনের ছোঁয়ায়,
তবে, পথ বলেছিল............
                                একটু ভাব ।
নাহ্, ভাবিনি সেদিন,
হয়তো, অবকাশই ছিলো না ভাবার,
অতৃপ্ত বাসনা আর ইচ্ছেরা তখন মিলেমিশে একাকার,
শুধু বুকের বাম দিকটাতে--
              -------------- এক আকাশ শান্তি ।

আজও ভাবি, সেই পথ চলা,
আজও ভাবি, এইতো সেদিন...।।



ছবি:জ্যোতির্ময় রায় 

অভিমান





         অভিমান
       **********
©আহমেদ কায়েস


যদি
হারিয়ে ফেলি তোমায়
হও না তুমি যার-ই
রেখোনা মনে আমায়,
আমি
একাই থাকতে পারি।





ছবি:প্রণতি গোস্বামী 

নিকোটিন - তোমার আমার কথা নিয়ে একটি ওয়েব-ম্যাগ



শোধন




               শোধন


©কাজরী বসু



ভুল হয়েছে ভাবতে গিয়ে সংশোধনে যেই 
ভুলেই তখন মুক্তো,মণি, ভোরের শিশিরজল
সাতসকালে ঝিলিক দিল রোদের প্রাচুর্যেই
স্বচ্ছতোয়া ঢেউ জেগেছে তুমুল,ছলাৎছল।
এমন কোনো ভুল কি থাকে, এমন কোনো খাদ,
পথের বাঁকে আলোর প্রবেশ অনুপ্রবেশ তার!
ভুলের উপর খবরদারির বিবাদ বিসম্বাদ
লক্ষ্যমাত্রা প্রতিষ্ঠাতে উদগ্র ছারখার!
নিরুত্তরের সম্ভাবনায় জিজ্ঞাসা নয়ছয়।
কৃষ্ণরাতের সফরসূচীর শেষ যখনই ভোর,
একটু করে পদক্ষেপে মিটল না সংশয়!
একটু করে অশক্ত হাত পাচ্ছে যখন জোর!
ডালিম খোসার মতোই যখন ছাড়িয়ে ফেলি ভুল
দানায় দানায় উদ্ভাসিত  সহস্র নির্ভুল!


এডিটিং- মরুচিত্র

        এডিটিং- মরুচিত্র
         জয়দীপ রায়
অগ্নি অনল নভঃ বেশে, মরুতে প্রলয় লাগল শেষে
কালাহারি স্যান্ড উথাল পাথাল, গ্রেট বেদুইনের দেশে
Where’s the mind- ক্ষান্ত কবি, বুঝল না সেটা বাঙাল
সায়ানাইট চাটতে পয়সা লাগে, মরনা ক্যানসেল (কাঙাল)
লাউড ওয়ার্নিং বাড়ে বাড়ে, গিলতে বসেছে টর্নেডো
টিভি তে বসে প্রতিবেশী , ভেরি টেস্টি কর্ণেটো...
বিদ্যুৎ বেগ- ড্রাগন দেশ... চোখের সামনে নেগেটিভে ছবি
আতঙ্কে ভরা ব্ল্যাক ফেস ...।।

প্রেম

প্রেম

©সুস্মিতা কর্মকার

গহীন মনের অন্তরালে
স্বপ্নরঙিন প্রেমকে টানে,
দুয়ার খুলে দুনয়নে মুক্ত  মনের বদ্ধ হানে |
জ্বালিয়ে তুলে সন্ধ্যা প্রদীপ বাসর প্রেমের ক্লান্তি প্রাণে , আকাশ কুসুম সব রাঙিয়ে বদ্ধ প্রেমেই  ঘ্রাণকে জানে  |

গৌধূলি

               গৌধূলি

          ©সবিতা ঘোষ

বাবা বলেছিল
খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে
আকাশ দেখলে
আকাশের মতো উদার হবে ।

মা বলেছিল
ভালোবাসা মিথ্যে নয় ।
একদিন না একদিন ফিরে আসে নিশ্চয় ...।

দাদা বলেছিল
বিশ্বাস হারিও না ।
বিশ্বাস হারানো পাপ ।

আলুথালু চুল
মায়ারী তরল দুটি চোখের
ছেলেটি বলেছিল ।
সমুদ্র তটে
পদবী বদলে লিখে এসেছি
তোমার নাম ।

এখন , একলা ছাদে বিকেল দেখে
অস্তরাগ খেলে যায় কাঁচাপাকা চুলে।
মনে মনে বলে --
আলাপন , সবার কথা মিথ্যে করে গেলে !

আর ফিরে পাবো না

             আর ফিরে পাবো না


      রণজিৎকুমারমুখোপাধ্যায়

তোমাকে আর  কেউ চিনুক বা না চিনুক
আমি হাড়ে হাড়ে চিনেছি ।
চৈত্র বৈশাখে গাছের শীতলছায়ায় বসে
ক্লান্ত শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে বাতাস
খেতে খেতে দেখেছি তোমার তপনে তপ্ত
ঝলসানো মুখখানি দিগন্তের দিকে চেয়ে ।

ভরা শ্রাবণে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিধারায় প্রবল বন্যায়
আধমরা হয়ে লঙ্গরখানার খিচুড়ি নিয়ে যে ক'টা
দিন খেয়েছি ,অমন খাওয়ার স্বাদ আমি পাইনি জীবনে ।

আশ্বিনে নদীর দুকূলের কাশ বনে
তোমার সাথে খেলতে খেলতে যে
আনন্দ আমি পেয়েছি ,  অমন আনন্দ
আর জীবনে আমাকে কেউ দেয় নি কখনো ।

অঘ্রানে ক্ষেতভরা ফসলে নবান্নের উৎসবে
তুমি আমি যে পড়শির বাড়ি বাড়ি গিয়ে
নবান্নের মিষ্টি মধুর স্বাদ উপভোগ করেছি
তেমন আর এখন দেহাতে পড়ে না নজরে ।

পৌষে কাঠের উনোনের পাশে বসে মায়ের হাতে গড়া পিঠে আখের গুড় দিয়ে কত যে খেতাম পিঠে
এখন সে রকম করে  মা তার ছেলেকে খাওয়ায় না।

ফাগুনে দোলের রাতে বাবুদের বাঁধাঘাটে তুমি আমি দুজনে পাশাপাশি বসে রূপালী চাঁদের আলো
যেভাবে মেখেছি গায়ে ; এখন আর সে সব করতে
মন চাই না ।
এই সুন্দর পৃথিবীতে তুমি আমি দুজনে আজো আছি ।একদিন তুমি হিজলের ছায়ায় বসে
ইশারায় কাছে ডেকে বলেছিলে ,প্রতিদিন প্রতিক্ষণে
তোমার আমাকে করে চলেছ ধর্ষণ, আমি তো
সকল সময় তোমাদের সকল কাজে দিই সাথ ,
তবে কেন আমার শুভ্রতায় দাও কলঙ্কের দাগ ?
আমি যুগে যুগে তোমাদেরই আছি আর থাকবো ও
চিরদিন , আমি যে তোমাদের মনোরঞ্জনা ।শুধু মিনতি আমার যেন আমাকে তোমরা তোমাদের
মতো কলঙ্কিত করো না আধুনিকতার রূপে রসে মজে,কারণ এ সভ্যতা আদিমকেও মানিয়েছে হার।

পাগলী তোদের



©জ্যোতির্ময় রায়



ঠিক কবে যেন মিশে গেছে চেনা অচেনা তোদের সাথে ,
ঠিক কবে যেন সুখ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করেছি হাত রেখে হাতে ।
সময়টা হঠাৎ কেমন করে যেন হয়ে গেল শেষ ,
"পাগলীরে তোদের কথা গুলো আজও বাজে কানে
মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে ডেকে ফেলি তোদের আনমনে ।
 পাগলামির সেই রাত্রি দিন গুলোর কই কাটছে না যে রেশ ।।


সারা শহর যখন থাকে ঘুম ঘুম চোখে
বন্ধু তুই আর আমি তখন মিশেছি খুনসুটিতে ।
আজও শহর ঘুমায় অনেক স্বপ্ন চোখে
আমি শুধু জেগে রই ,মুচকি হেসে ,হঠাৎ কাঁদি ,পরে যে মনে তোকে ।।



একসাথে পার্কে কিংবা শপিংমল
"ওই পাগলী চল রে ,পা চালিয়ে চল "
আজ চলতে চলতে চলে গেছিস অনেক দূরে ....
ইসস খুব ভালো হতো মিলেমিশে থাকার দিন গুলো যদি
আবার আসে ফিরে .!


হঠাৎ মাঝ রাতে  তোর ঘুম ভাঙিয়ে শুনাতাম মনের কথা ,
কারণ ছাড়াই একটুও অভিমান ,মাঝে মাঝে ঝগড়া অযথা ।


যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস রে পাগলীরা ,
সময় সাথে সব বদলে যায় ,মনকে দেই সান্তনা ,
 তাছাড়া কি করবো বল ,পড়লে মনে তোদের কথা পায় যে কান্না ।।
এই ব্যস্ত শহরে ভালোবাসার ,ভালোলাগার ,সুখীগৃহকোণ ছিলাম যে আমরা ।।


     

হিসেব তবু রয়েই যায়

~** হিসেব তবু রয়েই যায় **~

              © মনিকান্ত সর      
==============================


হিসেবের বাইরেও কিছু হিসেব রয়ে যায়,
কয়েকটা হঠাৎই মিলতে চায়, তো--
বেশ কিছু গরমিলের খাতায় ।
বৃথা মেলানোর অভিপ্রায়...
শুধু সময় বয়ে যায় ।
পথের বাঁকে যে কথার শুরু..!
লাভ কী, তার ঠিকানা খুঁজে..?
অচেনা পথও চলতে চলতে চেনা হবে একদিন,
শুধু রয়ে যাবে, টুকরো কিছু স্মৃতি,
সময়ের ধারাপাতে, তাদেরও নেই স্থিতি।
নেভার আগে প্রদীপও জ্বলে ওঠে একবার,
ওষ্ঠাগত প্রাণ, সদা থাকে জলের খোঁজে,
চাঁদ তো লুকিয়েই থাকে, গোধূলির আড়ালে,
বৃথা সন্ধ্যা নামার অপেক্ষায়--
মুক্ত বিহঙ্গের দল নীড়ে ফিরে যায় ।
সময়ের চোরাবালিতে আটকে জীবন,
বুকের পাঁজরে স্পষ্ট ক্ষতের দাগ,
অপ্রাপ্তির অপেক্ষাগুলো হিসেব খোঁজে রোজ,
শুধু সময় বয়ে যায়.......
হিসেব তবু রয়েই যায় ।।

শব্দ

#শব্দ

©জ্যোতির্ময় রায়

কয়েটা ডটোরিয়াম,ঠান্ডা যুদ্ধে E=mc2 ।
সাম্রাজ্য বিস্তার করতে করতে ক্রীতদাস,
অক্ষ পথ ধরে চলতে চলেত...হঠাৎ "বুম" ।।

একটা নির্জন বাসস্টপ ,একটা ভরা নদী ।
হিংস্র হায়নার জ্বিহে লালা ,তারপর আর্তনাদ
সবাই শোনে,পরের দিন নিউজের হেড লাইন
মোবাতি মিছিল ...সারিসারি জীবন্ত শব ,আবার শীত ঘুম ।।

চিমির ধোঁয়া আকাশ ছোঁয় ,বেতনহীন রক্ত জল ।
করোপসন, ঘুষের টাকায় পার্টি উইল গো অন ...।
"ভাতের কিংবা জাতের সিম্বলে বারুদ আর "বুম" ।।

একটা হৃদয় ,একটা বিশ্বাস থেকে শরীরে ঘাম ।
একটা গোলাপ ,কিছু চুমুর কবিতাও চশমায় ।
ফাটল ...দূরত্ব তারপর ।কথা জমতে জমতে পাহাড় ...
তারপর শুধুই জমাট বাধা নিস্তব্ধতা ..।
নাঃ শব্দ নেই এবার কোথায় আর ।।

ক্ষিদে

ক্ষিদে

-©দীপান্বিতা বোস

গাড়ী থেকে নেমে,
প্রেমিকার হাত ধরে,
কাটাবিতো এখন সময়,
দামি কোনো রেস্তোরায়;

কত ভিখারী আছে ফুটপাতে,
পড়েনা কি তোর চোখে ,
দেখছে তারা ফ্যালফেলিয়ে,
কখন কে? কি খেতে দেবে?

নেইতো সময় তা ভাববার,
তুই এখন মস্ত জমিনদার,
হতিস তুই ভগবান,
যদি করতিস স্বল্প অন্নদান

দু-মুঠো পারিস দিতে
দান করলে কি তোর জাত যাবে?
স্যুট পড়া বড়োলোকের ব্যাটা,
তুই আর কি? বুঝবি  ক্ষিদের জ্বালা.

কুহেলিকা

           কুহেলিকা


©জিৎ পাত্র

সেইদিন গোধুলির শেষে অস্তাগামী সূর্য দিগন্তের পারে অদৃশ্য হয়েছিল।
কিন্তু আগত প্রায় সন্ধ্যার প্রকালে পশ্চিমাকাশের অরুণাভা তখনও সম্পূর্ণ মুছে যাইনি।
ইতিমধ্যে অন্যপ্রান্তের নভোনীল শুক্লা ক্রয়োদশীর চন্দ্রোদয় হয়েছে।
হৃদয় সংলগ্ন যন্ত্রনার বীথিকার সরোবরে তার প্রতিবিম্ব
অল্প অল্প হিন্দোলিত হচ্ছে।
কামনার দ্বিতলে নিশ্চল হয়ে তা নিরক্ষীন করে এক
স্বপ্নবিলাসী ঈশ্বরীয় স্মৃতিময় উর্বশী ।
আকাশে নবোস্থিত চন্দ্রালোকের ম্লান আভায় তখনও
আসেনি জ্যোৎস্নার প্লাবন।
হৃদয়ের অন্তস্থঃতলে উঠেনি বহু অপেক্ষিত কামনার
স্তুপ্ত বাসনাময় জলোচ্ছ্বাস।
রমণীর মনের গহনে কি ব্যথিত কথা লুকিয়ে আছে
কেউ কি জানে ?
মনের অচিরে মৌনতা  করে গ্রাস, স্তব্ধতার পূর্ণত্ব কেড়ে নেই শেষ সম্বল অশ্রুজল।

ফিরে এসো

       ফিরে এসো

            ©অতনু নন্দী 

কতো বার ধ্বংস হয়েছি I কতো বার l তবু ফিরে এসেছি দেখ
সৃষ্টির জঠর হতে l

আগুনে পুড়েছি l
আবার ফিরে এসেছি l
বসতি গড়েছি l  ভালোবেসেছি l

উত্তাল ঝড়ের শেষে
প্রহর গুনেছি,
আশায় বুক বেঁধেছি l
মাছধরা নৌকাগুলো ঠিক ফিরে আসবে !

নদীর কূল ভাঙ্গতে দেখেছি I
ভেসে যায় পাড়া ,গ্রামের পর গ্রাম l
শবদেহ চারিপাশ,
হয়েছে শ্মশান  l
তবুও ফিরে এসেছি l বসতি গড়েছি l

শীর্ণকায় শিশুদের আর্তনাদ ,
আকাশ দাপায় বোমারু বিমান l
তবুও তোমার দেওয়া পাঞ্জাবীটা রেখেছি যত্নে , লাগতে দিইনি গায়ে এক ফোঁটা রক্তের দাগ l

ডুবে গেছে জমি l ভেসে গেছে ঘর বাড়ি l
ঘামে ভিজে গেছে শরীরের আলপথ l
আবার আবাদ করেছি l
মেঠো পথ বেয়ে তুলে এনেছি সোনালী ফসল l

পুড়ে যাওয়া রীতি নয়,তবুও যুদ্ধ পুড়িয়ে মারে l
শ্মশান ভূমি থেকেই আবার জন্ম নেয় নব প্রাণের উল্লাস l

তেমনি ভাঙনের খেলা শেষে জেগে ওঠে সৃষ্টির বীজ l

ঠিক এভাবেই একদিন ফিরে আসবে নীরেনবাবুর  কবিতার  সেই শীর্ণকায় ছেলেটি -

টেনে ছিঁড়ে ফেলবে গণতন্ত্রের পর্দা !
অট্টহাঁসিতে ফেটে পড়বে চারিপাশ l
প্রশ্ন ছুড়ে দেবে বিবস্ত্র গণতন্ত্রের মুখে l

রাত বাড়ছে

রাত বাড়ছে

©সুনিতা দাস

তোমার অজানিত আহ্বানে রুদ্ধ দুয়ার খুলে বেরিয়ে এলাম
হঠাৎ বসন্ত হাওয়ায় চমকে উঠলে তুমি
রাত বাড়ছে আজ চাঁদ খুলে দিলো
জ্যোৎস্নার খোপা
এলো চুলে কবে কার কথা ঝরে পড়ে
সিক্ত শিশিরে
হারাবে কি উজানের স্রোতে
শুধু ভেসে যাওয়া আর ঝড়ের গর্জনে
চিনে নেওয়া আকাশের পট
মেঘেদের মন  খেলা ভাঙা খেলা
রাত বাড়ছে এখনতো জল
  হু হু করে ডোবালো ঘাট সিঁড়ি
জল ভরে যায় নৌকার খোলে
মেপে মেপে রাত শেষ  হোল ।

ক্ষতি কি

ক্ষতি কি

©সুতপা পূততুন্ড

ক্ষতি কি? দরজা খোলা
থাকলে?
মনের আগলটা কে ভাঙো!
কখনো যদি ভুল করে কারো
বাহিরটা কে,ভিতর বলে ভাবো,
ভয় কি তবে? সলতে টাকে
একটু জাগিয়ে রাখো।
বুনো ফুলের গন্ধ যখন
ভাসবে তোমার মনে,
বুঝবে তখন অপেক্ষার
ঢেউ জেগে আছে,
বাসর জাগা ক্ষণে
ভেতর বাহির এক হয়ে যায়,
জুড়ে থাকে শুধু স্বপ্নটা!
তাইত তুমি চমকে ওঠো!
সারা শরীর জুড়ে মগ্নতা।
লতার মতই জড়িয়ে ধরে,
দুষ্টু আঁচলখানি,
ভীষণ রকম পুরুষ তুমি!
জ্বালাও প্রদীপখানি।

মুখ ও মুখোশের মাঝে




মুখ ও মুখোশের মাঝে 

   জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি


এই রাত চেটে খাবে সমস্ত অসুখ
এবং কিছু দৃশ্য।গড়ানো হাত।ঘৃণা বা সামাজিক সুখে।কম্পাসের মতো মেপে নেয়।রক্তের কৌণিক ব‍্যবচ্ছেদ
মেঝেতে ছড়ানো কিছু ভয়।শুকিয়ে গেলে।মুখ ও মুখোশের মাঝে তবু মাথা রাখা যায়

সবই সহজ মাংসল

সবই সহজ মাংসল
    
জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি



এইতো কবিতার মতো নির্জনতা কোথাও
সবই সহজ মাংসল
সম্পর্কটাকে কিছুটা মুচড়ে
সীমারেখা টানা হলে
অচেনা নারীর চোখে
চমৎকার সান্ধ্য আয়োজন

শরৎ মানেই

               শরৎ মানেই

         ©   মনিকান্ত সর


শরৎ মানেই কাশের বন, একটু হিমেল হাওয়া,
শরৎ মানেই শারদীয়া, মায়ের কাছে যাওয়া ।
শরৎ মানেই শিউলি ফুল, বিছিয়ে গাছের তলা,
শরৎ মানেই স্নিগ্ধ শিশির, শ্রান্ত ভোরের বেলা।
শরৎ মানেই মহালয়া, পুজোর ডাকে সাড়া,
শরৎ মানেই ঢাকে কাঠি, ব্যস্ত এখন পাড়া ।
শরৎ মানেই শুভ্র নীলাকাশ, মেঘেদের ভেসে চলা,
শরৎ মানেই অভিমানগুলো, একটু লুকিয়ে ফেলা।
শরৎ মানেই খুশির রেশ, মা আসছেন বাড়ি,
শরৎ মানেই নিম্নচাপ, তবু বৃষ্টির সাথে আড়ি ।
শরৎ মানেই দেদার মজা, আপনেরা থাকে সাথেই,
শরৎ মানেই একটি বছর, শুধু কাটে অপেক্ষাতেই ।।

শেষের সংলাপ

শেষের সংলাপ

©রণজিৎকুমার মুখোপাধ্যায়

যৌবনের হিরণ্ময় দিনগুলো
তোমাদের জন্যে স্বেদ ঝরিয়ে ব্যয় করলাম ;
কত আব্দার , কত গঞ্জনা , কত আদর , কত লাঞ্ছনা সামলে যখন উপনীত হলাম গোধূলি বেলায়
তখন আস্তে আস্তে তোমাদের আচরণে অনুভব
করতে লাগলাম ,আমি যেন দিন দিন এ পৃথিবীতে
ভারী বোঝা হয়ে উঠছি।অথচ কেউ মুখ ফুটে কিছু
না বললেও অনুভব করছে  আমার অস্থি মজ্জা
চাল চলনে ,বাচনভঙ্গিতে দিনের পর  দিন ।
বেশ বুঝতে পারছি এ সংসারে প্রয়োজনের 
বাতিটার তেল ফুরিয়ে আসছে তাই মনে ধরছে না ।ওরা ভাবছে এ সূর্যটা একদিন ডুবে যাবে তখন ভুবনহবে অন্ধকার ।সেই অন্ধকারে যাতে না থাকতে হয় তার জন্য আর এক নবীন সূর্যের দিকে হাত বাড়াও ; সে আর কেউ নয় আমাদের সন্তান ।

অদ্ভুত আমাদের মনের গতি , অদ্ভুত
এ সংসারের অভিনব আচরণ ।
এসব রোজ ভাবায় আমাকে জেনো ,
যদিও তার মুখোমুখি হই নি  এখনো ।
তুমি কী ভেবেছ কোনদিন ফুরিয়ে আসা এ জীবনের কথা ?তুমি কি একবারও অনুভব কর
বাস্তবে ঢলে পড়া সূর্যের ব্যথা ;
সমব্যথী দরদী বন্ধু আমার ।

শুধু তোমাকেই

#শুধু_তোমাকেই

©জ্যোতির্ময় রায়

কিছু মেঘ সাজিয়ে রাখি এখন ওই চাঁদেও ,
চুমুর উষ্ণতায় বরফ গলে গেলেও "কই সুনামি তো হলো না"।
সুরে সুরে তাল মেলাতে গিয়ে কথা হারায় এখন ।
মৃত মন।মেটাস্টেবেল। বন্ধ তোমার জানালা ।।



রং পরে ।রং তুলির ছোঁয়ায় চোখ মায়াবী ।
পেন্ডেলে পেন্ডেলে আগমনী সাজ সাজ রব।তুমি
রূপকথার গল্প হয়ে বানভাসি তখনও ।
রোহাঙ্গির আর্তনাদ পৌঁছায় না।ধর্ম আলাদা দেশও।।


নির্বাক দর্শক বারুদে জ্বালায় সিগারেট কিংবা শীতঘুম ।
আগমনী আসে ।প্রেমিকার ছবিতে উঁকি ঝুঁকি।নিঝুম
রাত্রির কিছু জোনাকিও ফসফরাসহীন 
আমার আমি ,তোমার তুমিতে এখনও হয়তো রাঙা ।।


চেষ্টা




চেষ্টা
*****


চেষ্টা করে জল কে ছাকনি তে বেঁধেছি
    হাঁ রুপ বদলাতে হয়েছে
আজ ছাঁকনি তে বরফ ধরেছি
প্রণতি
আজকের বৃষ্টি।

©প্রনতি গোস্বামী ।

স্বপ্ন







স্বপ্ন ,


©সুস্মিতা কর্মকার



আমি যদি আমার থেকে
বিলীন হতাম নিঃশ্ব শেষে ,
সত্য গুলো মিথ্যে হয়ে
হারিয়ে যেতাম অঘোর দেশে ,

তখন ??

হয়তো নিজেই অবাক হতাম ,
কান্ড দেখে চোখ বুলাতাম
নিজের গায়েই চিমটি কেটে
সত্য কিনা মিলিয়ে নিতাম ,

তারপর ???

হয়তো আমি পাগল হতাম ,
 উচ্ছসিতে তান তুলতাম ,
সুপ্ত মনের পূরণ দেখে
স্বর্গ টাকে  লাভ করতাম ,

এক লহমায় চোখের তারায়
সত্য টা কেই   ছুঁইয়ে নিতাম |

আচ্ছা বাবা বেশ
অদ্ভুত তোর ভেস
কথার ফাঁকে ফাক রাখতেই
ফন্দি টা তোর বেশ !

আমি আবার সরল বটে
শক্ত কথা বুজি না যে
আসল কথায় আসলে বুজি
 জাত টা তোর খোয়া হবে ???

হা হা হা .....

হাসলি কেন ??
মাথার ব্যামো  ঘাড় ধরলো ???
কারণ টাকি বলতে গেলে
খুচরো কিছু ???.

না না না লাগবে না যে
ঘুষখোর দেড় বিরোধী যে ,

আচ্ছা শোনো বলিই  তবে

অবাক হওয়ার কারণ টা যে

শুদ্ধ ঘ্রানের  প্রশ্বাসে যে
মাদক ন্যায়  মাতাল হবে
চারিপাশের  সবুজ ছায়ায়
কণ্ঠ নালী শীতল হবে ,

অবাক রো ভীষণ হবে
সিন্দ্রিকেটে র বিনাশ হবে ,
 ধনী দুঃখী এক লহমায়
সম্প্রদায়ে প্রসার হবে |

আর  জাত ভেদাভেদ ???

তুমিও দেখি হতাশ তবে

তা মানে ,. .......

হা হা হা হা

ওটাও বুজি বিনাশ হবে
তোমার আমার মিলন হবে ???
সকল ঘটা বিঘ্ন থেকে
সুপ্ত চাওয়া পূর্ণ হবে ??

হ্যাগো সেথায় এটাই হবে ,
ভেদাভেদ এর ছেদন হবে ,
রক্ত রঙে সব পরচিয়
মানুষ নামেই গণ্য হবে |

ভেদের গ্লানি চূর্ণ হয়ে
এক মন্ত্রেই পূর্ণ হবে |

আশার আলোয় দিক ভরিয়ে
আঁধার কালো বিলীন হবে
স্বপ্ন সেথায় এক নিমিষেই
সত্য নামেই পূর্ণ হবে.