নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অনোজ ব্যানার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অনোজ ব্যানার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

অনোজ ব্যানার্জী

 দীপাবলী


দীপ চায় শিখা,শিখা চায় দীপ,

আঁধারেতে তাই,আলো জ্বেলে যায়।
কালো মেয়ে আসে,বাংলা তাই হাসে,
সাজো সাজো রব,আলোর বন্যায়।

দুর্নীতি যত,যত অন্যায়,
এসো মাগো তুমি,দাও মুছে সব।
অসুরের হাত,দাও ভেঙে দাও,
শুনতে তো চাই,হাসি কলরব।

ছলনার ফাঁদে,দেবতারা কাঁদে,
বাঁচাবে কে আজ,স্বর্গের সুখ?
রক্তের বন্যায়,পথ,ঘাট ভাসে,
দেখাবে কে আজ শান্তির মুখ?

ডাকি মনেপ্রাণে এসো শ্যামা মা,
ওই অসুরদের দাওগো বলি,
আমাদের ঘরে ঘরে তাই আজ
দেবো জ্বেলে শুভ দীপাবলি।।

শরৎকাল: অনোজ ব্যানার্জি



বর্ষারাণী নিলো বিদায়,এলো শরৎকাল,,
বৃষ্টিজলে পূর্ণ এখন,নদী, পুকুর খাল।
সবুজ ঘাসের ডগায় ডগায় শিশিরকণা
 হাসে। বাদল,বৃষ্টি, ঝড়,গরম,গুমোট ,বন্যা,
 হয়তো নেবেই ছুটি। গুটিগুটি পায়ে আসে
 ওই স্নিগ্ধ শীতলবুড়ি। পূজোর সুগন্ধ ভাসে,
 আকাশেবাতাসে।মুক্তো ঝরে, মাটির পরে,,
 শিশিরকণার বেশে,দুর্বাদলে,ঘাসেদের ঘরে।

দুর্বাদলের হীরের ছটায়,চোখ করে ঝলমল,
মরুর বালি হিংসে করে,আঁটছে কত ছল।
অসুরেরা চায়না ভালো,মন্দ শুধুই চায়।
অন্যকে দুঃখ দিয়ে ওরা নিজে মজা পায়।

কাশফুলেরা মিছিল করে নদীর দুটি পাড়ে,
সবুজ গাছের মধুর শোভায়,মন যায় ভরে।।
প্রকৃতি মা উঠছে সেজে,আগমনীর আশে।
ডাকছে মাকে,,দুর্গামাকে,,পূজোর গন্ধ ভাসে।
নতুন কাপড় কিনছে সবে,মনের আনন্দে।
শিউলিফুলের সুগন্ধে  হৃদয় পূর্ণ ছন্দে।
 **-**********

একতাই বল:-অনোজ ব্যানার্জী


  ‎


একতাই বল আনে জানি,হবে তাই জোট বাঁধতে।
বিন্দুবিন্দু জলে গড়ে সিন্ধু, কথাটি হবে মনে রাখতে।।
একা যে আমি বড়ো বোকা,তুমি যদি থাকো সাথে।
সব বাধা করবোই জয়,পারবেনা কেউ কখনোই টলাতে।।
জীবনের পথ বড়ো দুর্গম, কাঁচ কাঁটা বারুদেতে ভরা।
রাক্ষস খোক্কস, ডাকিনী যোগিনীতে পূর্ণ হয়েছে এই ধরা।।

এসো বন্ধু,  হাতে রাখো হাত, পিশাচের সাথে হবে লড়তে।
শয়তানের শয়তানি পুড়িয়ে,, নতুন সমাজ হবে গড়তে।।
ভেঙে দাও ঘুঘুদের বাসা, কাটমানি,সিণ্ডিকেট দাও উড়িয়ে।
পাপীদের মুখোশের প্রাসাদ,বিপ্লবের ঝড়ে দাও গুড়িয়ে।।
চেতনার জোয়ার আসুক আমাদের সকলের হৃদয়ে।
জ্বলছে সন্ত্রাসের আগুন,তবু থাকবোনা আমরা ভয়েভয়ে।।
লুটেপুটে খাচ্ছে যারা,দেশের সব ধনরত্ন, দিতে হবে শাস্তি তাদের।
আসবে সুখ  শান্তি তবেই। এই প্রিয়  দেশ আমাদের।
এই দেশ তোমার আমার, সকলের সমান অধিকার।
তবে কেন বিভেদ এত,,ধনী দরিদ্রে?  কেন এত হাহাকার....?

ফুটপাথে পথশিশু , কাঙাল ভিখারি, বেকারের  কেন আর্তনাদ??
দেশের সুদিন এলো ফুরিয়ে,সামনেই দেখো বড়ো খাদ!!
কে বাঁচাবে এই পচা সমাজ? এসো সবাই একসাথে।
দড়ি  ধরে মারো টান,,দুর্নীতির ইমারত লুটিয়ে পড়বে ধুলোতে।।

এসো বর্ষা :অনোজ ব্যানার্জী



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় সুখে  জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
দিন আনাদিন খাওয়া ,দারিদ্র্যক্লিষ্ট ,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত সমস্ত অন্যায়।।।

সোনার বাংলা দেনার দায়ে অনোজ ব্যানার্জী


  ‎

 আমার বাংলা মা,,সোনার বাংলা মা,,আমি তোকে  কত ভালোবাসি।
 ‎তোর সর্বসুখে,, আমার মুখে, আনন্দেতে
 ‎ফোটে  আলো,হাসি।।
 ‎ ‎তোর সকল দুঃখে,আমার বুকে, চোখ ফেটে আসে জল।
 ‎অভাগিনী মা,দুঃখীনি মা,কেন তোর আজি  আঁখি ছলছল??
 ‎
 ‎তোর সন্তানের রক্ত ঝরে,,পথেঘাটে,
রাজপথে, খালেবিলে।
 ‎কান্নার রোলে,ভিজে আকাশেবাতাসে , ওড়ে ছাই চিতাঝিলে।।
 ‎ ‎সোনার বাংলায়, কোথায় সোনা? শুধু দানবের আনাগোনা,,
 ‎সোনার বরণ যে,পুড়ছে আগুনে,,বাঁচাবে কে?? নেই জানা।
 ‎
 ‎তোর সম্পদ খাচ্ছে লুটেপুটে,  ‎মীরজাফর
 ‎জোচ্চরের দল।
 ‎তোর সাজানো বাগান,হলোযে শ্মশান  , ভূতের বেড়েছে বল।।
 ‎মানুষেরা আজ, জীবন্ত লাশ, লাশ হয়ে আছে বেঁচে।
 ‎ভূতেদের ফাঁদে সাধুজনে কাঁদে,,ডাকিনী
 ‎যোগিনী হাঁচে।
 ‎
 ‎ডাইনীরা আজ ডাইনিং হলে,শ্যাম্পেন পানে মগ্ন।
 ‎নাচে  হাসে গায় ক্যাবারে বারে,,পোশাকেতে অর্ধনগ্ন।।
 ‎ ‎সোনার বাংলা দেনার দায়ে,কেন, কেন জর্জরিত আজ?
 ‎ভাতভাত করে বেড়ায় কেঁদেকেঁদে কেন  ভুখা পল্লীসমাজ।??
 ‎
 ‎
 ‎দেশমাকে ভালবেসে সেদিন,দিয়েছিলেন যারা নিজের প্রাণ,,
 ‎স্বাধীনতার ইতিহাসে তারা  সবাই কি পেয়েছেন স্থান?
 ‎
 ‎মহামানবের স্নেহ, আশীর্বাদের বৃষ্টি যে আজো  ঝরে।
 ‎সেই আশীষে,সবুজ পাতায় ফুলফল আজো ধরে।।
 ‎জাতি,ধর্ম নিয়ে কেন মাতামাতি, কেন কোন্দল ঘরেঘরে?
 ‎মানুষে মানুষে কেন ভেদাভেদ এত, সোনার বাংলার তীরে??
 ‎.......................
 ‎ ‎নেতারা এখন আপন স্বার্থে,,পরের ঘরেতে লাগায় আগুন।
 ‎বিরোধীদের গুণ্ডা দিয়ে, হাসতে হাসতে করায় খুন।।
 ‎
 ‎এ কোন বাংলা দেখছি মাগো,,উষার লগ্নেই অন্ধকার!!
 ‎ ‎হায়নারা ওই অট্ট-হাসে,,কেন আয়না ভাঙে? কেন,বন্ধদ্বার।।
 ‎ ‎সমাজসেবায় কাদের সেবা? রাজনীতিতে কিসের গীতি?
 ‎জনতা আজ পথেঘাটে, পাচ্ছে কেবল বারুদ বুলেট ভীতি।।
 ‎
 ‎সোনার বাংলায় হ্যাংলারা আজ, দিব্যি স্ফূর্তি করে স্বর্গাসনে।
 এখনো মোমবাতির মিছিল করে,প্রতিবাদী বিদ্বজনে।।
 ‎*******-******---***--************
 ‎কপিরাইট © অনোজ ব্যানার্জী।লাভপুর।বীরভূম। ভারত।
 ‎*-***************-** R******
 ‎
 ‎
 ‎
 ‎
 ‎
 ‎
 ‎

স্বপ্নাভিষেক: জয়ন্ত দত্ত





দারুণ স্রোত...
পায়ে পায়ে এগিয় যাওয়ার 
দাঁড় টানা...

সোনালী গোধূলি পেরিয়েও যে
 শঙ্খ শব্দের সন্ধ্যা-গান আসে...তারপর যৌবন রাত্রি বুড়ো হলেও কখনো
থামে  না...

প্রতি রাতের কোলে জন্ম নেওয়া
 সকাল ফুলের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যে
 যে গল্প উপন্যাস মালা গাঁথে....

যেন
কানে কানে সেই অভিষেকের গান
শুনতে আমি পাই...

বিদ্যাসাগর,, তোমায় প্রণাম :অনোজ ব্যানার্জী




  ‎
ওরা কালো শকুনি,,চেনে শুধু ভাগাড়ের পচাগলা মাংস,, হীরের মর্ম কেমন করে বুঝবে? জহুরী তো নয়,যে জহর চিনবে! ওরা অসুর, ওরা নররাক্ষস, ওরা অর্থলোভী নরপিশাচ,,।। রাজনীতি,,    মানবকল্যানের নীতি।ওরা,, রাজনীতির কী জানে?? মানবজাতির কলঙ্ক ওরা,,কে ওদের মানে??
তাই ওরা স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে,,আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে করে সবকিছু ছারখার। তাই ওরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরষ্কার করেছে চুরি। ভেঙে দিয়েছে নির্মমভাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মূর্তি। আগুন ধরিয়ে করেছে কত স্ফূর্তি। যে বিদ্যাসাগর  মহাশয়ের কৃপায় আমরা শিখেছি বর্ণমালা। যিনি বন্ধ করেছেন ঘৃণ্য সতীদাহপ্রথা। যিনি চালু করেছেন বিধবাবিবাহ। কোন দুর্নীতির কাছে কোনোদিনও তাঁর মাথা করেননি নিচু।
তিনি করুণাসাগর,,তিনি বিদ্যাসাগর। তিনি বাংলামায়ের প্রকৃত বীরসন্তান।বীরসিংহের সিংহশিশু। ভারতমাতার গর্ব। উচুমাথা তাঁর আমৃত্যু রেখেছিলেন উঁচু। গরীবের দুঃখে,কাঁদত তার কোমল হৃদয়। করতেন সেবা,অনাথ,,দীনহীন মানুষদের। বিদেশী ইংরেজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন রুখে, বীরবিক্রমে। সমাজসংস্কারক, মহান পুরুষ তিনি। প্রকৃত সৎ,ভদ্র,,বজ্রের মত কঠোর,,কুসুমের মত কোমল ছিল তাঁর চরিত্র।
প্রকৃত ঈশ্বর তিনি।,,দেবতা,,ভগবান,
উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগই দুহাতে করেছেন দান।  এই যুগে এই পৃথিবীতে কে আছেন এমন সুমহান??নারীশিক্ষা করেন প্রচলন  , করেছেন কত স্কুল,,কলেজ স্থাপন। দানসাগর তিনি,করেছেন কতকিছু অকাতরে দান।



ভারতমায়ের এই চরমতম দুর্দিনে,,হে ঈশ্বর,,হে ভারতরত্ন,,  হে সত্য-ধর্ম -মানবতার পূজারী,, তুমি এসো আবার ফিরে, এই ধরণীমায়ের কোল আলো করে। আমরা আছি বসে
তোমার অপেক্ষায়,। কবে আসবে তুমি??

বিশ্বাসঘাতক : অনোজ ব্যানার্জী



   ‎

 ওরা মস্ত বড়ো কুখ্যাত ভিলেন,
 ‎তৃতীয় নয়নে ওদের হবে চিনে নিতে।
 ‎চিনতে যেন করোনা কখনো  ভুল।
 ‎সুন্দর, সুগন্ধি মনোলোভা ফুল সেজে,সেজে,,
 ‎প্রিয় আপন সেজে,বন্ধু সেজে,হিতাকাঙখী সেজে,,
 ওরা ‎আসবে তোমাদের,  আমাদের, কাছেকাছে। ওরা সংসার ভাঙে,ওরা সমাজ ভাঙে,,,
 ‎ওরা কখনো সাদা মুখে হাসে,কখনোবা থাকে রঙিন মুখোশে।ওরা সদাসর্বদাই রয়েছে আমাদেরই আশেপাশে। অর্থ, স্বার্থ, পদ, গদি, ক্ষমতার লোভে,,, ওরা,পবিত্র- মহান-বিশ্বাসের, কোমল দেহ-মন-আত্মাকে,পিছন থেকে করে ছুরিকাঘাত,। করে অমর্যাদা, অবলীলায়, অবিরত। কখনোবা সামনাসামনি। ওরা বোঝেনা আপন-পর।
ওরা বিশ্বাসের ঘাতক,,ওরা  বিশ্বাসঘাতক।
আদর্শবান বিশ্বাস, ধূলায় পড়ে লুটিয়ে,খায় গড়াগড়ি, যখন তখন।
এক আত্মার সঙ্গে অপর আত্মার জড়াজড়ি,
এক মনের সঙ্গে,অন্য মনের, মধুর সম্পর্কের মজবুত অক্ষয় সাঁকো ওরা ভেঙে ভেঙে করে চূড়মাড়, করে ছাড়খাড়।ওরা সমাজের শত্রু।
ওরা দশের শত্রু,ওরা দেশের শত্রু,ওরা শত্রু স্বর্গ মর্ত্য পাতালের।ওরা আছে যুগেযুগে,ওরা থাকবে যুগেযুগে।
ভয়ঙ্কর রাক্ষস, লংকার রাজা রাবণ, ভিখারির ছদ্মবেশ ধরে,,ভগবান রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতাদেবীকে করেছিল অপহরণ।
মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় দুশো বছর ধরে,,ছিলাম আমরা পরাধীনতার কালো অন্ধকারে।
মীরজাফর,, রাবণ,, ওদের মৃত্যু নেই,
ওরা চারিপাশে, ঘিরেঘিরে রয়েছে আমাদের নিরন্তর,, ,, সাবধান!!!!

কপালে সিঁদুরের ছাপ এঁকে : অনোজ বানার্জী



রাঙা  বসন্ত এল, দিকে দিকে :
তবু ক্লিন্ন বরষা ঘনঘোর,
মেঘ, বৃষ্টি,ঝড়,বন্যা...
হৃদয়ে  ধূ ধূ তপ্ত বালুরাশি। শুভ মিলন হলনা,তবএওু কপালে পবিত্র  সিঁদুরের ছাপ এঁকে দেহজ  অবৈধ ভার;;
সমাজের চূণকালি মুখ
নাটকাভিনয় এর আড়ালে  ঢাকা।
সুখের শত ওয়াট বাল্ব ফিউজ হল
হৃদয়ের ল্যাম্পপোস্টএ
সংসারের বলবিয়ারিং বিকল,;
দুপয়সা রোজকার  নেই
বেকার দাদার, রিটায়ার্ড  বাবার।
দেহের বিজনেসে কলংকিত তাই,
ষোড়শী সুন্দরী  বাংলার নারী।
চ্যঁদনী নশ্বর দেহে বিলাসী ভোগী পশুর
অনিবার্য  রক্তজ পাথরের ভার ;
অবৈধ  ভবিষ্যৎ..
কপালে সিঁদুরের ছাপের আড়ালে
অতি সযত্নে লুকানো ।।

অনোজ ব্যানার্জী




বিসর্জন
********



"বিসর্জন " কথাটি,, একবারমাত্র ভাবলেই,কিএক গহীন, দুঃসহ, অসীম বেদনায় ডুবে যায়, আমাদের সকলের মন।
মগজের মধ্যে ঝিলিক মারে সর্বক্ষণ, কি যেন গেল হারিয়ে,কি যেন গেল ফুরিয়ে.....দেবদেবীর
পুজোর ঘট আনা হবে,পুজোর বেদীতে হবে তার আবাহন, পঞ্চপ্রদীপ জ্বলবে, ধূপ, ধুনোর সুগন্ধে,,  ঢাকের বাজনা, কাঁসির শব্দ ,শঙ্খধ্বনিতে ভরে যাবে মন্দিরপ্রাঙ্গন।
তারপর,,,,সমস্ত আমোদ,,হইহুল্লোড় যাবে ফুরিয়ে। আনন্দরা যাবে যেন কোথায় হারিয়ে,,,,
দিতে হবে বিদায়,,দেবদেবীকে,,,
ঘট বিসর্জন,,প্রতিমা নিরুঞ্জন,,,...
*******
এখন,,
পুজোর বেদীতে,, বসে বসে নিচ্ছে পুজো
যেসব রাক্ষসের দল,, দেশটাকে পাঠাচ্ছে জাহান্নামের অন্ধকারে যারা,,,
আরাম করে,আয়েস করে কাটেচ্ছে সুখের জীবন,,,
নিচ্ছে কেড়েকেড়ে  আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের পরশমাণিকটিকে,
তাদের দিতে হবে এবার বিসর্জন।
হাজার কুসংস্কার, পাপ,অন্যায়,দুর্নীতি, গুণ্ডামি,
অত্যাচার,, অনাচার,ধর্ষণ,
ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা,,প্রবঞ্চনা,
বোম,বারুদ, বুলেটে অগণন তাজা তাজা মানুষের অকারণ, রক্তপাত,,,কত শহীদের বেদনার্ত লাশের মিছিল,,
কত মায়ের কোল হলো খালি....
এসবের যারা করছে পুজো,,ভক্তিভরে,,
যারা দায়ী এসব কুকাজের জন্য,যে সব দানব ঘটাচ্ছে এসব কুকর্ম,,
আমাদের দেশমাতাকে করছে যারা কলংকিত,
অবিরত,,,,
দেশটাকে যারা দিচ্ছে বেচে বিদেশীদের হাতে,গরু-ছাগলের মত, এই সুন্দর পৃথিবীটাকে,  যারা দিচ্ছে ডুবিয়ে..
অনাদ্যন্ত, নরকের গভীর পঙ্কিলতায়,,
এবার আর তাদের কোন ক্ষমা নয়,,,
সুসভ্য সমাজের বেদী থেকে তাদের দিতে হবে
সমূলে বিসর্জন।
হবে বসাতে রাজসিংহাসনে,,
ভদ্র,সত্যনিষ্ঠ, বিচক্ষণ , দেশপ্রেমিক, বীর নেতাকে।। প্রস্তুত হও এবার ঘরেঘরে।।

অনোজ ব্যানার্জী



আগমনী
********


শাঁখসফেদ মেঘের ভেলা,ভাসছে নীলাকাশে। 
নদীর দুকূলে কাশফুলেরা,দুলিয়ে চামর হাসে।।
চাষীর ক্ষেতে,যুবতী ধান ছড়ায় সবুজ রঙ।
নদীর কোলে জলতরঙ্গ, দেখায় কত ঢঙ।।
ভোরের ঘাসে শিশিরকণা,করছে কত আদর।
শিউলি ফুলের রাঙা সুবাসে,কে ভরেনা চাদর?
আসছেন মা,বাপের ঘরে,পুত্রকন্যা নিয়ে।
পাপ-পর্বত করবেন নাশ,,ধর্ম-ত্রিশূল দিয়ে।।
হাসছে এখন আকাশবাতাস,হাসছে সবার মন।
শরতের দোলায় দুলেদুলে,ডাকছে প্রিয়জন ।।

অনোজ ব্যানার্জী




বর্ষা
*****



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
আসে শত রোগ,ভাসে কত দুর্ভোগ, সাপের উপদ্রব বাড়ে।
ঝোপঝাড় বনে,বিনা অস্ত্রে-রণে,নিমেষে জীবনমণি কাড়ে।।
দিন আনে,দিন খায়,দারিদ্র্যের যাতনায়,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত দূর্নীতি অন্যায়।।।

অনোজ ব্যানার্জী


   এসো কালবৈশাখী



   ‎
ঐ ডাকছে গুরগুর,ভয়ে বুক দূরদূর কাঁপে,
‎নীলাকাশে জমছে কালোমেঘ,
‎আলো কাঁদে, আঁধারের দাপে। 
‎কী ভয়ংকর, কী দুর্বার, কালো কালো
‎মেঘের মিছিল।পাগলী প্রকৃতির,
‎অসহ্য খেয়ালে,ভয়ে সবে...
‎ঘরে আঁটে খিল। ক্ষুব্ধ প্রকৃতিরাণী,
‎সেজেছে আজ, এ কোন রণে???
‎লেগে যাবে হানা্হানি,দাপাদাপি,
‎গাছেগাছে বনেবনে। আকাশ মাটিতে
‎নিবিড় মাখামাখি,বিজলীদীপ্ত
‎লিপ্ত চুম্বনে।ঝরে পড়ে প্রেমের সুধা,
‎অবিরত ধারাবরিষনে।এলোমেলো
‎কুন্তলরাশি,বড়ো বড়ো লাল লাল
‎আঁখি।এসো ঝনঝন প্রলয়নৃত্যে,
এসো ‎,এসো প্রিয় কালবৈশাখী।
ধুয়ে দাও,মুছে দাও,করো সাফ,
আছে যত জমা জঞ্জাল।....
যত পাপ,যত তাপ,করো হরণ,
হে মহাকাল।
ভেঙে দাও, দাও করে তছনছ, 
অন্যায় অত্যাচারী  যত গাছ....
ডালপালা, ফুলফল তার।করো
ধ্বংস গভীর জলের মাছ।
এসো টর্ণেডো,এসো টাইফূন,
পাপের প্রাসাদ দাও গুড়িয়ে,
এসো বজ্র,এসো বিদ্যুৎ, পাপাচারী
চিত্ত,দাও পুড়িয়ে।ধনীদের অবহেলা,
অহংকারে,ঢালো জল,আরো  জল,।
বঞ্চিত বুকে তৃষিত মুখে,দাও জল,
ঝরঝর,শান্তির কলকল।নতুন প্রাতে,
নতুন সূর্যালোকে এই ধরণী করো,
উদ্ভাসিত।এসো এসো কালবৈশাখী,
নব মনেপ্রাণে, সবারে করো উল্লসিত।

অনোজ ব্যানার্জী

আমি নেতাজী,আমি আছি
*************************





সেদিনের বিমান দুর্ঘটনায় আমি মরিনি।
আমি আজো আছি,
থাকবো ও  চিরকাল।
ভুলিনি তোমাদের,
আমি আছি,
অগণণ জননারায়নের হৃদয়ের গভীরে,
 চেতনার অনু পরমাণুতে,
ইলেকট্রোনে প্রোটনে।

আমি আছি ফুলে ফলে বৃক্ষে
লতায়, পাতায়,ঘাসে ঘাসে।
বিশুদ্ধ বাতাসের স্তরে স্তরে
কোশে কোশে।
নীলাকাশে গ্রহ নক্ষত্র  চাঁদে।
পবিত্র সূর্যের আলোর তরঙ্গস্রোতে।

স্নিগ্ধ  মধুর ঝর্ণাধারায়।
আমি আছি প্রতিবাদী মানুষের
দীপ্ত কন্ঠের বজ্রে।

আমি আছি, তোমাদের পবিত্র
রক্তের জিনে ক্রোমোজোমে।
আমার মৃত্যু  নেই
আমি অমর।
আমি বলবো না আর
তোমরা আমাকে রক্ত দাও
আমি তোমাদের স্বাধীনতা  দেবো।
আমি গড়বো না আর
আজাদ  হিন্দ বাহিনী।
আমি  ডাক দেবো না
দিল্লী  চলো।
আর মুখোশের অন্তরালে নয়,,
এবার তোমরা মানুষ হও।

আমার জন্মদিনে আর শুধু
ফুলচন্দনের পবিত্র মালা নয়।
ফুল নয়,ধূপ নয়।
অগণন  ক্ষুধিত মানুষের মুখে
তুলে দিও দুমুঠো ভাত।
প্রকৃত মানুষ হয়ে নিজে নিজে,,

অসহায় দুর্বল  মানুষের
পাশে পাশে এসে দাঁড়াও। 
মানুষই দেবতা,মানুষের

সেবা করো হাসিমুখে,নির্মল সুখে।