বেজন্মা শিশু
************
কি দোষ করেছিল সে?
যাকে তুমি পাঠিয়ে দিলে,
ওই অন্ধ কারের দেশে।
ওই টুকু শিশু একটা,তাকে তুমি এত ভয় পেলে?
ভয় পেয়ে তাইতো তুমি ওকে,
শেষ করে দিলে।
ওতো বলেনী আমার জন্ম দাও।
দাও আমায় গড়ে, নষ্ট করে।
নিজের লালসা মেটানোর জন্য,
কেন ওর জন্ম দিলে?
ওর কথা না ছেড়েই দিলাম,
নিজের শরীর টাকেও ছাড়লে না?
কষ্টযুক্ত অশান্তি পাবে,
সুখে তুমি বাঁচতে পারবে না।
নিজের পবিত্রতা নষ্ট করে,
সতীত্ব কে বিলিয়ে দিলে?
এই তুমি ভালোবাসো নিজেকে?
ওতো বলোনী,
আমায় পৃথিবী তে জন্ম দিয়ে,
গলাটিপে মেরে ভাসিয়ে দাও,
ওই নদীর জলে।
পাবেনা, পাবেনা কোনো ক্ষমা তুমি,
তোমার পাপ তোমায়, কুড়ে কুড়ে খাবে।
কতদিন আর মুখ আড়াল করে থাকবে তুমি?
একদিন না একদিন,
তোমার ওই নোংরা,কুৎসিত মুখ বের করতেই হবে।
তোমার মধ্যে,তুমি স্থান দিয়েছো,
এক নির্লজ্জ,মনুষ্যত্বহীন,বিবেকহীন এক নারীকে।
আর তোমার মধ্যে থাকা ওই
আগের তুমি সত্তা কে,
তুমি গলাটিপে মেরে দিয়ে গেছ চলে।
এবার থেকে যখন নিজের শরীর কে বিলিয়ে দেবে....
ওই ছন্নছাড়া মানুষদের কাছে,
তখন আগে থেকে ভাববে,
ওই নিস্পাপ শিশু জন্ম নেবে,
তোমাদের-ই কাছে।
কেন মারলে ওকে?
নিজেকে লুকিয়ে রাখবে বলে?
কিন্তু সেটাতো আর হবেনা।
তোমার মধ্যে থাকা তুমি,
তোমায় একদিন বের করবে।
ওই শিশুর গলাফাটা আর্তনাদ,
রক্তঝড়া দেহ......
সবের জন্য তুমি দায়ী,
তোমায় একটা মানুষ বলে,
মানবেনা আর কেহ।
ওর -ও তো একটা জীবন ছিল বলো?
ছিল মনে অনেক ইচ্ছা,
গায়ে মাখতে চেয়েছিল,
এই পৃথিবীর আলো।
ওর মতো শিশুদের সাথে খেলা করতে,
পাখিদের সাথে উড়ে বেড়াতে,
খোলা আকাশের নিচে থাকতে ইচ্ছা ছিল ওর।
আর তোর মতো এক জঘন্য নারী
জন্ম দিয়ে মৃত্যু দিলি ওর.....