নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

।।আগমনী।। তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়





ওই যে তোমার আলোর বাঁশি।
ওই যে তোমার ফুলের হাসি। 
ওই যে তোমার কাশের দোলা।
শিউলি ঝরা সকালবেলা।
ওই যে তোমার চরণধ্বনি,
শিশিরভেজা সবুজ ঘাসে।
সাদা মেঘের ভেলা ভাসাও,
ওই যে দূরের নীল আকাশে।
ওই যে তুমি সকলখানে।
ছড়াও খুশী সবার প্রাণে।
আকাশ-বাতাস জুড়ে শুধু,
ছড়িয়ে তোমার আগমনী।
 মাগো,সঙ্গে থাকুক সারাজীবন,
তোমার বরাভয় আর অভয়বাণী।
  

ভালোবাসার গল্প : তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়


আকাশ যখন মেঘকে সাথী করে নিয়ে এলো,
তখন চারিদিকে কত আনন্দ!
নতুন জীবন পেলো ওরা।
আকাশ মেঘকে বুকে করে আগলে রাখলো,
আর মেঘও যেন আকাশের বুকে ভেসে গেলো।
এইভাবেই হাসিতে খুশীতে দিব্যি সুখে দিন কেটে যায়।
হঠাৎ  একদিন আকাশের মুখ ভার,
মেঘের মনেও কালো ছায়া।
ওদের মধ্যে একটু দূরত্ব বাড়লো--
মেঘের কোলে বৃষ্টি এলো যে!
রিমঝিমিয়ে নেচে বেড়ায় কাজলা সেই মেয়ে।
তার নাচের তালে তালে গাছপালাও আনন্দে নাচে।
একদিন হঠাৎ দেখি বৃষ্টির সাথে ভাব হয়েছে রোদের।
তারপর....
রোদ আর বৃষ্টির সে কি লুকোচুরি খেলা !
এইভাবেই কেটে যায় বাদলবেলা।
আকাশ-মেঘ-বৃষ্টির ভালোবাসা ভরা দিন।।

আর কিছুদিন :তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়








অনেকসময় ব্যয় করেছি বৃথা কাজে।
অপচয় ও অনেক আছে।
সময় বোধহয় রাগ করেছে।
বসন্ত ও বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
যাবার সময় বলেছিলো-" থেকো ভালো"।
এখন আমি তাদের খুঁজি ধূসর রাতে।
সব অঙ্কই শূন্য দেখি ধারাপাতে।
তাও যখন বাতাসে আজ ছাতিম ফুলের গন্ধ ভাসে।
আঁধার ফুঁড়ে চাঁদের আলোর জোছনা আসে।
মন দোতারায় ঠিক তখনই আনন্দেরই সুরটি বাজে।
তখন আমি নরম ঘাসের বুকেই আমার দুঃখ রাখি।
দিই মেলে ওই অলীক ডানা আকাশপথে।
আরো কিছু "সময়" থাকুক।
থাকুক মনে বসন্তদিন।
আর কিছুদিন।।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




আগমনীর সুর
*************



শ্রাবণ শেষের ভোরে যখন শরৎ এলো-
শিউলি ফুলে সুবাস তখন কে ছড়ালো ?
নীল আকাশে মেঘের ভেলা কে ভাসালো ?
শিশির তখন মন ভেজালো ঘাসের কোলে।
মনপাখিরা ডানা মেলে সুদূর নীলে।
আগমনীর সুর খেলে যায় ঢাকের বোলে।
সোনা রোদের ছোঁয়া তখন কাশের বনে
"সর্বজয়া মা" এর ছোঁয়া সকলখানে।
আনন্দ আজ কে ছড়ালো সবার প্রাণে ?
বিশ্বজুড়ে হিংসার বিষ,ঝগড়াবিবাদ, রণধ্বনি ।
তারই মাঝে জুড়ায় এ মন শুনে তোমার পদধ্বনি।
তাই তো মা'গো দুখের মাঝেও গাইছি তোমার আগমনী।
মা গো, তুমি সব্বাইকে রেখো ভালো।
সবার মনে জ্বেলে দিও ভালোবাসার আলো।
শিক্ষা যেন দূর করে দেয় আঁধার রাতের কালো।
মা'গো তুমি সব্বাইকে রেখো ভালো।।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




ও মেয়ে তুই
***********



          ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টি হ'বি?
না জানিয়েই পড়বি ঝরে,   
           ভিজবো আমি,
  আমার মনের ছোট্ট ঘরে।
           
  বৃষ্টিভেজা নরম মাটির
          ঘাস হ'বি তুই?
  হাত বাড়িয়ে ইচ্ছে হলেই,
           একটুকু ছুঁই।
            তুই কি হবি
কালো মেঘে ছড়িয়ে দেওয়া
            বিজলী রেখা?
হঠাৎ করেই আকাশ মাঝে
              দিবি দেখা !
              ও মেয়ে তুই
মেঘলা দিনের বৃষ্টিভেজা বাতাস হয়ে।
যা না আমার শরীরটাকে ভালোবাসায়,
              একটু ছুঁয়ে।
হ'বি তো হ' কুলভাসানো
              একটা নদী,
আমায় তখন ভাসিয়ে নিবি,
    তুই আমার-ই  ইচ্ছেমতী।।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




মেঘের পাড়ায় 


সেদিন যখন হাত বাড়িয়ে ডাকল আকাশ,
আমি তখন পা বাড়ালাম মেঘের পাড়ায়।
এক সাদা মেঘ অমনি দেখি পাল তুলেছে,
আমিও তাকে পাঠিয়ে দিলাম তোর ঠিকানায়।
মেঘদূত ওই মেঘটা তখন তোকে ছুঁলো।
আবার সে ফিরে এল তোর ইশারায়।
তখন দেখি মেঘের মনেও মেঘ জমেছে।
বললো আমায়- তুই ভুলেছিস আমার কথা।
এমনি করেই দূরে গেলে সবাই ভোলে,
আয় মেঘ আয় লুকিয়ে রাখি মনের ব্যথা।
আমার আর মেঘের চোখে তখন  শুধুই জলের ধারা,
ঝাপসা মনে সোঁদামাটির গন্ধমাখা নক্সিকাঁথা।।

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




শুধু তুমি 
**********




মনেই ফাগুন থাকে,সে যে রঙের নেশায় ডাকে।
দখিন হাওয়া নানান ছলে, তোমারই নাম যায় যে বলে।
দূরের বাঁশি বেজে ওঠে কোন সে মেঠো সুরে।
তুমিই তখন খেলা করো আমার এ মন জুড়ে।
মনে আগুন জ্বালিয়ে দিলো শিমুল পলাশ এসে।
প্রেমের কথা বলতে ভ্রমর ফুলের পরে বসে।
কোকিল তখন কুহুতানে গাইতে থাকে গান।
নদী তখন কুলকুলিয়ে তোলে মধুর তান।
সবাই মিলে ছন্দে-তালে, সুর মিলিয়ে গানে গানে।
তোমার কথাই আমায় বলে, নানান মধুর মধুর ছলে।।