নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বিপ্লব গোস্বামী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিপ্লব গোস্বামী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিপ্লব গোস্বামীর দুটি কবিতা

1.
হয়তো তুমি আসবে ফিরে

হয়তো তুমি আসবে ফিরে
ভাঙ্গা বুকের ভাঙ্গা নীড়ে।
আসলে কাছে বুঝে নিও
ভেজা চোখের ভাষা।
ইচ্ছে হইলে মিটিয়ে দিও
ভাঙ্গা বুকের আশা।

হয়তো তুমি আসবে ফিরে
শুকনা গাঙ্গের ভাঙ্গা তীরে।
আসলে ফিরে নাও বাইও
শুকনা গাঙ্গের জলে।
ইচ্ছে হইলে মিশে যাইও
কুল হারাদের দলে।

২.
তুই আমার সব

  তুই আমার সবরে বন্ধু
      তুই আমার সব,
 দূরে গেলে ধ‍্যানলোকে
        করি তব স্তব।
 তুই আমার প্রথম প্রেম
     তুই আমার শেষ,
 তোর জন‍্যে সর্ব ত‍্যাগি
    ধরব ভিগরী বেশ।
তোর কারণে বেঁচে আছি
 মরতে রাজি তুই বললে,
 রাতের তার এনে দেব
  তোই বায়না ধরলে।
  তুই হীন বাঁচা কঠিন
    থাকব হয়ে তোর,
তোর কারণে পারি দেব
        সাত সমুন্দর।

বিরহিনীর কান্না : বিপ্লব গোস্বামী



বিরহিনীর কান্না আষাঢ় ধারা হয়ে ;
অবিরাম  ঝর-ঝর ঝড় ঝরে।
মেঘের গুমোট ধরা মনাকাশ মাঝে ;
কত রঙ্গিন আভা উঁকি মারে।
ভারাক্লান্ত মনে বিরহিনী বসে আছে;
চাতকের মতো পথ পানে চেয়ে।
হয়তো আসিবে সে শেষ বারের মতো
সেই সুরেলা কণ্ঠে গান গেয়ে।

বুঝবে সেদিন বুঝবে : বিপ্লব গোস্বামী



সূর্য সেদিন অস্ত যাবে
ভেঙ্গে যাবে খেলা ;
তোমার প্রিয় মানুষ যেদিন
করবে তোমায় হেলা।
স্বপ্ন ভেঙ্গে বুঝবে সেদিন
সত‍্য মিথ‍্যার খেলা;
সত‍্য প্রেমের খুঁজে খুঁজে
কাটবে সারা বেলা।
বুঝবে সেদিন বুঝবে তুমি
সত‍্যি সেদিন বুঝবে ;
আশার সমাধি পাড়ে
অতীত স্মৃতি খুঁজবে।
হঠাৎ শোনবে ডাকছি আমি
খুলবে তুমি দ্বার ;
ধরতে আমায় হাত বাড়াবে
দেখবে সব আঁধার।
শ্রাবণের রিম ঝিমিতে
ভিজবে তোমার চুল ;
মধুল লোভে উড়বে অলি
গাইবে আপন সুর।
আসবে ফিরে শরৎ ঋতু
ঝরবে শিশির কণা ;
অতৃপ্তির তৃষায় তুমি
থাকবে যে আনমনা।
বুঝবে সেদিন বুঝবে তুমি
সত‍্যি সূদিন বুঝবে ;
আশার মমাধি পাড়ে
অতীত স্মৃতি খুঁজবে।

চির অনন্ত ধন : বিপ্লব গোস্বামী



আমি ভগবানকে দেখেছি ছবিতে
দেখেছি অনেক মূর্তিতে;
বাস্তবে এক ভগবানকে দেখেছি
পাশে পেয়েছি সর্বক্ষণ ;
সাথে পেয়েছি বিষাদে,ফূর্তিতে।
যেদিন হাঁটতেও শিখিনি সেদিন
হাতে ধরে মোর ;
পথ চলা শিখিয়েছেন তিনি।
আজো অফিস হতে যদি
বাড়ি ফিরতে দেরি হয়;
বার বার কল করেন তিনি।
অসুস্থ হলে যিনি হাজার বার
বলেন ডাক্তার দেখাতে ;
শত বার বলেন তিনি
নিয়ম মেনে ঔষধ খেতে।
যিনি প্রেরণা যোগান অহরহ
মম প্রতিটা কাজে ;
যার পরিচয়ে পরিচিত আজ
এ পৃথিবী মাঝে।
তিনি আর কেহ নন,,,
একান্ত শান্তির আশ্রয় ;
তিনি জন্ম দাতা পিতা
চির অনন্ত ধন।

ওরা স্বার্থপর : বিপ্লব গোস্বামী



এত দিনে বুঝিলাম ওরা স্বার্থপর
স্বার্থের লোভে সবই পারে ওরা
ভুলে যায় প্রেমের দর।

ওরা লোভী,
পূজার লোভে খেলে ওরা প্রেম খেলা
স্বার্থ ফুরালে পূজারীরে ওরা
হানে শত অবহেলা।

ওরা স্বার্থপর মির্জাফরের জাত
পূজা শেষে পূজারীরে ওরা
সজোরে মারে লাথ।

ওরা লোভী, লোভী ওদের মন
এক জন থাকিতে ওরা চাহে অন‍্য জন।

ওরা বিশ্বাস ঘাতক,ওরা পাষাণ
নীলকণ্ঠ কবির অশ্রু লেখা ওদেরই দেওয়া দান।

চির বিদ্রোহী: বিপ্লব গোস্বামী



তুমি চির বিদ্রোহী,করেছো বিদ্রোহ
আজীবন আপুষ বিহীন,হে মহা বীর ;
করেছো লড়াই বলদপী' অত‍্যাচারী সনে
তবু,কভু হওনি নত শীর।

বিলিয়েছো তুমি বিদ্রোহী বাহী
নিখিল অখিল ব‍্যাপিয়া ;
তোমারি ভয়ে অত‍্যাচারী সবে
উঠেছিলো সেদিন কাঁপিয়া।

নির্ভীক তুমি করেছো প্রতিবাদ
যেখানে যখনই হেরেছো অন‍্যয় ;
ধরণী তুমি ভাসিয়ে দিয়েছো
তব প্রতিবাদের বন‍্যায়।

রাজদণ্ড ভয়ে যে গান গাহে নাই কেহ
সে গান গাহিলে তুমি ;
গেয়েছিলে গান নির্ভীক তুমি
বীরেদের জন্মভূমি।

অত‍্যাচারী শাসক দিয়েছে কারাবাস
তবু হওনি নত শীর ;
করেগেছো রণ কলম সৌনিক
চির উন্নত তব শীর।

দুখু মিয়া তোমার দুঃখ বিনা
সুখ হলো না জীবনে ;
শেষ বেলা ধরলে মৌন ব্রত
কোন সে অভিমানে।

বর্ষা রাণী : বিপ্লব গোস্বামী


সাজিয়াছে আজি বর্ষা রাণী
মাতিয়াছে আকাশ ধরণী ;
অঝর ধারায় ঝরিতেছে বারি
বাহিয়া মেয়ের তরণী।
আনন্দে আজি মাতিয়াছে পাপিয়া
মুখরিত কানন কূজনে ;
গগনে বনানীতে বড় ভাব আজি
সীমান্তে চুমিছে দুজনে।
পুষ্পে আজি ভরিয়াছে কানন
শ‍্যামলী বালা  হরষা ;
তটিনীতে আজি ভরা যৌবন
নামিয়াছে আজিকে বরষা।

তব চুম্বন:- বিপ্লব গোস্বামী



সেদিন নীরবে নির্জনে দুজন
তৃষাতুরা চিত্তে তাপ দাহ ভীষণ।
অপলক দৃষ্টিতে কর পরশন
ঘন ঘন তপ্ত শ্বাস অঙ্গ শিহরণ।
লাজে রাঙা মুখ চন্দ্র,নত মস্তক
দীর্ঘ তপ্ত শ্বাস,হৃদপিণ্ডে ধক ধক।
কাঁপা কাঁপা তব শুষ্ক অধর
বসিলো মম ওষ্ঠে কেঁপে থর থর।
নিমীলিত আঁখি তব, স্তব্ধ হলো ক্ষণ
আজো ভুলিনি তব প্রথম চুম্বন।