নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কাজী জুবেরী মোস্তাক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কাজী জুবেরী মোস্তাক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মানুষ তুমি মানুষ হও : কাজী জুবেরী মুস্তাক



সারা পৃথিবী আজ বাঁচার জন্য লড়ছে
ঈশ্বরের সামনে নতজানুই বসে থাকছে ;
সকলে থাকতে চায় মহাবিশ্বের উপরে
মুখোশের উপরে আরেক মুখোশ পড়ে ।

ক্ষমতার দম্ভ নেই আজ পৃথিবীর বুকে
অহিংসা পরম ধর্ম বাণী সকলের বুকে ;
কাঁধে কাঁধ রেখে বাঁচার স্বপ্নটা দেখছে
ব্রহ্মাণ্ডের এমন দৃশ্য কে কবে দেখেছে ?

পৃথিবী জুড়ে আজ শুধুই মানুষ মরছে
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ভেদাভেদ ভুলেছে  ;
আলোর অপেক্ষায় পৃথিবীটাও বহমান
জ্বালো আলো ঈশ্বর ;আল্লাহ ;ভগবান ।

যুদ্ধ দাঙ্গা ভুলে মানবতা এক কাতারে
মহানুভবতা থমকে যায়নি কাঁটাতারে ;
মানুষ আজকে মানবতা ফেরি করছে
সব ভুলে ভালোবাসাটাও বিলি করছে ।

ভেঙে চুরে গেছে আজ সব অহংকার
ভাগাভাগি করে করছে সবাই আহার ;
কিসের এতো দম্ভ জীবনটাইতো ছোট
মানুষ তুমি আবারও মানুষ হয়ে ওঠো।

।।প্রাণভিক্ষা ।।কাজী জুবেরী মোস্তাক





না রাষ্ট্রপতির কাছে আমি আমার প্রাণটা ভিক্ষা চাইবোনা
এখানে আইন টাকা আর ক্ষমতার কাছে জিম্মি
তাই বাঁচতে চাইনা
যে রাষ্ট্র আজও মিথ্যার চামচামি করে সে রাষ্ট্রে
প্রাণভিক্ষা চাইনা ।

না এই সুউচ্চ প্রাচীর কিন্তু আমার সমাধীর জন্য 
তৈরি করা না
এ জেলখানা কিন্তু অনেক বড় কিন্তু আমার ঘর
বেশি বড় না
আগামীকাল আবার জন্ম হবে আমার তাই আজ বাঁচতে চাইনা

বদ্ধভূমির জেলখানায় ঘুমটা আসলে বিশ্বাঘাতক
এক অপরাধী
আর কয়েদিরা একেকজন যেন ঘুমহীন একেকটা চাতক পাখি
আর জেল পুলিশগুলো পাখিদের উপরে রেখেছে 
তীক্ষ্ণ নজরদারি ।

জেলখানার খুপরিঘর গুলোর দেয়ালে বন্দী রয়
চাপা আর্তনাদ 
সু-উচ্চ প্রাচীরেই আটকে থাকে ভেদহীন শতশত
বন্দীর দীর্ঘশ্বাস
তবুও স্বপ্নগুলো কয়েদিদের দিচ্ছে বেঁচে থাকার
জন্য আশ্বাস। 

যে সমাজটা আমার সু-শৃঙ্খল জীবনকে করেছে
উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী
যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতি পদেপদে জন্ম দিচ্ছে আমার মতো সন্ত্রাসী 
সে সমাজে বাঁচার জন্য অযোগ্য রাষ্ট্রে প্রাণভিক্ষা চেয়ে লাভ কি ?

আমাকে নাহয় বন্দীই করেছো এই সুউচ্চ প্রাচীর
ঘেরা জেলখানায় 
কিন্তু আমার চিন্তা চেতনা মস্তিষ্ককে বন্দী করবে কোন জেলখানায় 
মনে রেখো এই মৃত্যু চিরস্থায়ী নয় প্রতি সকালেই আমার জন্ম হয়। 

তবুও আজ ভালোবাসবো :কাজী জুবেরী মোস্তাক



আজ শহর জুড়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি থাক
ভেজা কাকগুলোও আর বেশি ভিজে যাক
বন্ধ হয়ে যাক আজ গাড়ির সব চাকাগুলো
আজ আমি শুধু তোমাতেই লেপ্টে থাকবো ৷

হলে হয়ে যাক আজ হুলিয়া এ শহর জুড়ে
তল্লাশি চৌকি খুলে বসুক সব পথের মোড়ে
অাজ আমি তোমাকে কোত্থাও যেতে দেবনা
আজকে আমার বুকেই হবে তোমার ঠিকানা ৷

এই শহর আজ একেবারে অচল হয়ে যাক
দোকানপাট গুলো সব আজ বন্ধ হয়ে যাক
শুধু খোলা থাকুক রাস্তার ধারে টং দোকান
সেখানে বসে না হয় শোনাবো বে-সুরো গান ৷

রিক্সাগুলো সব বন্ধ থাক আজ শহর জুড়ে
ছুটি থাক ব্যাস্ত শহরের ট্রাফিক সিগন্যালে
আমাদের পায়ে আজ পথ হারাবে এই শহর
যৌথ ভালোবাসাতে আঁকবো সুখের আঁচড় ৷

যে পথ আমার : কাজী জুবেরী মোস্তাক



যে পথে আমি যাইনি
যে পথ আমি আজও চিনিনি ;
অথচ সে পথের ওপারেই সফলতা ছিলো।

যে পথে আজ চলছি
সে পথেই পথ হারিয়ে ফেলেছি ;
কারন এই পথটা কখনোই আমার ছিলনা।

যে পথে যাবো ভেবেছি
কাঁটা দেখে ফিরে চলে এসেছি ;
অথচ সে কাটা আমার জন্য আশীর্বাদ ছিলো।

যে পথ আমার যোগ্য না
সে পথটাই আজ আমার চেনা ;
কিন্তু সেই চেনা পথই আমাকে দিকভ্রান্ত করছে।

হায়! সভ্যতা : কাজী জুবেরী মোস্তাক


বিবস্ত্র আর বিপন্ন আজ সামাজ,সভ্যতা
কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের এ সভ্যতা?
চারিদিকে সভ্যতার নামে চলছে অবাধ নগ্নতা,
সবার মাঝে থেকে দেখাই শুধু মেকি পরিপুর্ণতা
অথচ মনের মাঝে বিরাজ করে ঠিকই শুন্যতা ৷
থমকে যাই দেখে আজ সভ্যতার নামে অসভ্যতা
এটা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা নাকি ব্যার্থতা বুঝিনা তা?
ভার্চুয়াল জগতে আজ মুঠোফোনে বন্দী আত্মীয়তা
আত্মার টানে নেই আজ বন্ধুত্ব কিম্বা আত্মীয়তা
সম্পর্ক আজ আছে যা সে শুধুই সামাজিকতা ৷
চারদিকে দেখি আজ লোক দেখানো মানবিকতা
মন নেই মনুষ্যত্বও নেই অথচ দিব্বি আছে বক্তৃতা ,
এই কি আমার সভ্য সমাজ,এই কি আমার সভ্যতা?

কোন পার্থক্য নেই :কাজী জুবেরী মোস্তাক



একসময় তোমাকে নিজের ছায়া মনে করতাম
তোমার চোখেই আমি নিজেকে দেখতে পেতাম
কখনোবা তোমার মাঝেই নিজেকেও হারাতাম
তোমার স্বপ্নগুলোকেও নিজের স্বপ্নই ভাবতাম ৷

কিন্তু !
প্রকৃতির মতো তুমিও নিজেকে বদলে ফেললে
আমিও হারিয়ে ফেললাম আমার ছায়াসঙ্গীকে
যে চোখে আমি হারিয়ে ফেলতাম এই নিজেকে
আজ সেই চোখ দেখি কামনার আগুন পুড়তে ৷

জানো ?
আমি নিজেই নিজেকে কখনো বিশ্বাস করিনি
তবুও কিন্তু তোমাকে বিশ্বাস করেছি ঢের বেশি
তোমার বিশ্বাসের মূল্য দিতে সঁপেছি নিজেকে
অথচ তুমি'ই দেখি অবিশ্বাসের খেলা খেললে ৷

সেই তুমি !
শরীরটাকে শেয়াল শকুনের মতো ছিঁড়ে খেলে
শুধু আমার ভালোবাসা-বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ,
বাদামের খোসার মতো খেয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলে
আর আমি আজ উচ্ছিষ্ট হয়ে ঘুরছি পথে পথে ৷

জানো ?
কোনো পার্থক্য নেই তোমার আর ধর্ষকের মাঝে
একজন ধর্ষক যা করতো তুমিওতো তাই করলে ,
তোমরা দু'জনেই আমার চোখে সমান আজকে
তুমি ভালোবেসে ধর্ষণ করো , ধর্ষক জোর করে ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক






চলছে সব রুটিন মাফিক 

 

এ শহরে রোজই রুটিন মাফিকই সূর্য ওঠে
ভগবানের খোঁজে সবাই মন্দির কিম্বা মঠে
রুটিন মাফিক ব্যাস্ত সবাই খোদার খোঁজে 
গীর্জাতেও জমেছে মানুষ ঈশ্বরের খোঁজে ৷

এ শহরে রোজই রুটিন মাফিক সকাল হয়
পোড়া কপাল বেকার ঘুরে অফিস পাড়ায় 
ক্ষুধার্ত তবুও খায়না মানিব্যাগ ফাঁকা বলে 
কর্পোরেট লোকগুলো ব্যাস্ত নিজ কর্মস্থলে ৷

এ শহরে রোজ রুটিন করে স্কুলবাস আসে 
বখাটে ছেলেগুলো রোজই স্বপ্ন দেখে বাঁচে
সময়ের মতোই আজকে চলে যাচ্ছে সময়
তবু বুকে আছে ঘুরে দাড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ৷

এ শহরে রোজ রুটিন মাফিক মৃত্যু আসে
আমার দরজায় যমদূত কখন যেন আসে
চিতা জ্বলে,গোড় খুড়ে কফিন প্রস্তুত সদা
আমার মৃত্যুতে চাইনা কারোই শোকগাথা ৷

এ শহরে রোজ রুটিন মাফিক ট্রেন আসে
চেনা অচেনা কতো মুখ স্বপ্ন দেখতে আসে
কোনঠাসা হয়েও পড়ে থাকে কতশত স্বপ্ন
তবুও সে লড়াই চলছে জীবন করে বিপন্ন ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক





নেতা তুমি কি শুনছো 
*******************



নেতা আমাকে চিন্তে কষ্ট হচ্ছে তোমার?
আমি বাংলাদেশ জনগন নাম আমার
পাঁচটা বছর আগে গিয়েছিলে সেবার

ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী ছিলো পরনে
হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ালার মতো করে
পিছনে একঝাঁক তরুন তরুনীদের নিয়ে
ছুটে চলেছিলে তুমি শহরের প্রতি ঘরে
আর আশার বাণী শুনিয়েছিলে কানে
বলেছিলে অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠ হবে ৷

গরীব অসহায়রা স্বপ্ন দেখেছিলো বাঁচবে
তুমিই দেখিয়েছিলে সে স্বপ্ন ওদেরকে ,
একদিন কাঙ্খিত সে ক্ষণ এলো অবশেষে
বিজয়ের বাণী ধ্বণীত আকাশে বাতাসে
তখনও তুমি আশার বাণী শুনিয়েছিলে ৷

অথচ !
সময়ের সাথে সব নেতাদের মতো করে
তুমিও দেখি তোমার স্বভাব পাল্টে নিলে,
কাঁধে হাত রেখে কানে কানে এসে বললে
ভয় পেওনা আমি আছি তোমাদের পাশে ,
এটাকেই এখন ক্ষমতার রাজনীতি বলে
ইস্পাতের কি যেন কোমরে গুঁজে দিলে
বললে এটা কাছে রাখ কাজে লাগবে ,
আর আমার সাথে সাথে সবসময় থাকবে
আমার যা কিছু আছে সব নিয়ন্ত্রণ করবে ৷

কিন্তু বেইমানি করলে তোমার জীবন যাবে
অসহায় আমি ভয়ে কাতরতায় আরষ্ঠ হয়ে
তোমার কথা মেনে নিলাম মাথা নিচু করে ,
পথচলা শুরু হলো আমার ঘোর অন্ধকারে
শুনেছি সে ইস্পাত অনেককেই দিয়েছিলে ৷
অতঃপর একদিন তুমি সময় সুযোগ বুঝে
আমাকে দিয়ে জ্বলজ্যান্ত মানুষ হত্যা করালে ,
যেই আমার হাত কাঁপে একটা পিপরা মারতে ৷

আর বললে কেউ জানলে তোকেও মরতে হবে
নেতা তুমি কি জানো সেই রাতের পর থেকে
এতটুকু নিঃশ্ছিদ্র নিদ্রা আসেনি এ দু'চোখে ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক






কবি পরিচিতিঃ
নামঃ  কাজী জুবেরী মোস্তাক
জন্মঃ ১৯৮৩ সালের ২১এ সেপ্টেম্বর ।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বি,এ পাস  ।
পারিবারিক জীবনঃ পিতামাতা ও ছোট এক ভাই পিতা ছিলেন একজন সরকারী কর্মচারী ও একজন সংগীত শিক্ষক , মা পুরোপুরি গৃহিণী ৷
স্ত্রী এক পুত্র এবং এক কণ্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক জীবন  ।
পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবি
সাহিত্য কর্মঃ ১৯৯৮ সাল থেকেই অনিয়মিত  ভাবে লেখালেখির  সাথে জড়িত ।
দৈনিক পত্রিকা , সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন এবং বিভিন্ন সাময়িকী ম্যাগাজিনে বিভিন্ন সময় কবিতা ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে ৷ এখন পর্যন্ত কোন একক বই প্রকাশিত হয়নি তবে বিভিন্ন সময়ে যৌথ কাব্যগ্রন্থেই লেখা প্রকাশ হয়েছে যেমনঃ
শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি
ভোরের পাখি
শততারা
হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু
বিশ্ব সাহিত্য ও কবিতা সম্ভার 


শখঃ পড়া ও লেখা, আড্ডা, ভ্রমণ ।

সাক্ষাৎকার 
***********



১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 
উত্তর :- কবিতা আমার কাছে একটা অস্ত্র যে অস্ত্র দিয়ে মানুষের রক্তে আগুন জ্বালানো সম্ভব, সম্ভব জলন্ত দাবানল নিভিয়ে ফেলা ৷

২:- আপনার প্রিয় কবি কে ? আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তর:- আমার প্রিয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ৷
আমার বিবেক এবং দ্বায়বদ্ধতাই আমার অনুপ্রেরণা ৷

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তর:- কবিতা লিখি জেগে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ গুলোকে সজাগ করার জন্য ৷

৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তর:- আমার প্রথম কবিতার নাম " শহীদ মিনারের গল্প "
কবিতাটা লেখার ৮ বছর পরে শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি নামক বইয়ে কবিতাটি স্থান পায় বইটি যৌথ ছিলো ৷

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 
উত্তর:- কবি বা কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক হওয়া উচিত অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইডের মতো কবি বা কবিতা ছাড়বে পাঠক গ্রহণ করবে আবার পাঠক ছাড়বে কবি বা কবিতা বেঁচে থাকবে ৷

৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তর:- মানুষ এখন আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হতে শিখেছে , প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্য জগৎকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বা করা শুরু করে দিয়েছে ৷ তবে হ্যাঁ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অনেক গ্রুপ আছে যেগুলো সাহিত্য জগৎকে কলঙ্কিত করতে পারে ৷

৭:-ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তর:-তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ ছাপা ম্যাগাজিন এর চাইতে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের দিকে ঝুঁকছে ৷ আমি মনে করি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের গুরুত্বটাই বেশি ৷

৮:-আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর:- ভালো বই বা ভালো লেখার পাঠক নেই তা না পাঠক প্রচুর আছে ৷ তবে মূল সমস্যা হলো প্রত্যেকেই নিজেকে কবি বলে দাবি করি ঠিকই কিন্তু পাঠক কি চায় তা তারা জানেনা বা বোঝেনা ৷ একজন পাঠকের চাহিদা যদি কবি বা সাহিত্যিক বুঝতে পারে তবে অবশ্যই পাঠক বই পড়বে ৷
প্রকাশকরা এখন প্রতিভার মূল্যায়ন করেনা তারা চিন্তা করে একজন নতুন লেখকের বই কেনো একজন পাঠক পড়বে? যদি না পড়ে তার লগ্নিকৃত অর্থ জলে চলে যাবে ৷
একজন প্রকাশককে অবশ্যই আগে বিচারিকজ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে সঠিক পান্ডুলিপি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তবেই পাঠকের চাহিদা মাফিক লেখা পাঠক পড়তে পাড়বে এবং বই মুখি হবে ৷

৯:-উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ? 
উত্তর:-দাত ভাঙা গুটি কয়েক শব্দ জুড়ে দিলাম আর এটা উত্তরাধুনিক কবিতা হয়ে গেলো আমি অন্তত এটা মনে করিনা ৷

১০:- গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর:-গদ্য কবিতা নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিত্তিতেই শুরু হয় এবং শেষ হয় ৷ তবে নির্দিষ্ট ছন্দ অবশ্যই থাকা প্রয়োজন ৷ আর গদ্য-পদ্য কবিতায় অবশ্যই তাল এবং ছন্দ জরুরী ৷







কিছু কবিতা 
************



সব তন্ত্রের একই মন্ত্র
*******************
 

কানের ঠিক কিছুটা উপরে একটা পিস্তল তাক করা ,
সামনে সাজানো রয়েছে বিশাল এক পেটোয়া বাহিনী ,
পিছনেও পড়ে আছে রাজ্যের তামাম রক্ষি বাহিনী ;
কারনতো একটাই জনতাকে ওদের মতো
করতে না পারা ৷

গণতন্ত্র নামক এক দিল্লিকা লাড্ডু ঝুলিয়ে রাখা সামনে ,
একনায়কতন্ত্রকেও বৈধতা দিয়ে;নাম তার অাজ গণতন্ত্র ,
স্বার্বভৌমত্ব ভেবে ছিনিয়ে নিয়ে দেখি সেও এক ষড়যন্ত্র ,
সব তন্ত্রেরই ঠিক একই মন্ত্র যা জনতার 
কাপর খোলে ৷

স্বৈরাতন্ত্রের নিয়মিত চলাচল আজকে আমার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ,
স্বাধীনতা'তো হলো এক ট্রাম কার্ড তার জুয়ার টেবিলে বসে ,
সব তন্ত্রকেই দেখি দিনের শেষে স্বার্থতন্ত্রেই 
গিয়ে মিশে ,
বাম ঘরামী স্বভাব আমার সেতো শুধুই আপন দম্ভে ৷


মৃত্যুদন্ডের দাবি 
***************


আমি অমরত্ব নিতে আসিনি
আমি আমার মৃত্যুদন্ড নিতে এসেছি ,
আমি জানি এখনই আমাকে বন্দী করা হবে
শেকল পড়ানো হবে আমার উন্মুক্ত হাতে পায়ে ৷
আমি জানি আমি দেশদ্রোহী ,
তোমরা কতোটা দেশ দরদী বলবে ?
আমার টাকা চুরি করে গড়েছো অট্টালিকা
তাতেও আবার বসিয়েছো দেখি সিসি ক্যামেরা ৷
আমি জানি আমি সংখ্যালঘু ,
কারন বিদ্রোহী হয়ে জন্মায় খুব কম ,
আর যারা বিদ্রোহী লাশ থাকে তাদের ডোবা,নালায়
তাদের নিস্তব্ধ দেহতে শেয়াল শকুনেরাও মচ্ছোব চালায় ৷
আমি জানি আমি একা ,
কারন আমি কোন দুর্নীতিবাজ না ,
পেনশনের ফাইল আটকে হাত পেতে দিইনা
অথবা অন্যায়ের সাথে আমি আপোষহীন চলি তাই একা ৷
মধ্যরাতে আমার ছবি যাবে প্রেসে ,
আমার কন্ঠ রোধ করতে ক্রসফায়ার হবে ,
শিরোনামে থাকবে আমার মৃত্যু হয়েছে বন্দুক যুদ্ধে
আর পা চাটার দলেরা তখন চায়ে টোস্ট ভিজিয়ে খাবে ৷
আমি অধিকার চাইতে এসেছি ,
নির্যাতিত নিপীড়িতের কথা বলতে এসেছি ,
মনে রেখো আমাকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে না !
১০মাস ১০দিন পরে আবারো অামার জন্ম হয় অন্য কোন গর্ভে ৷



আপন স্বার্থে দ্বন্দ
****************


অঘোষিত এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি আজকে ,
প্রতিনিয়তই এক স্বার্থ যুদ্ধ চলছে পৃথিবীতে ,
ইরাক,প্যালেষ্টাইন আজও জ্বলছে সেই দ্বন্দে ,
কাশ্মীর আজও স্বার্থের দ্বন্দে রক্তা রক্তি খেলে ৷
তিব্বত আজও নিষিদ্ধ তাই অজানাই রয়ে গেছে
স্বার্থের দ্বন্দে আফগানীরা ঐ তালেবান হয়ে গেছে ,
সিরিয়াও তাই আপন গৃহেই আজও বন্দী পরে আছে ,
আর আই,এস,আই সেখানে করা পাহারায় বসে আছে ৷
শান্তির পতাকা হাতে স্বার্থপর ঐ ছুটছে দেশ বিদেশে ,
ধর্মের কথা বলে ঐ স্বার্থপরই আবার অধর্মের গান গাইছে ,
ওদের স্বার্থেই মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে
আপন স্বার্থে দেশে-দেশে সবাই যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে ৷
কখনোবা নিজের স্বার্থেই দ্বন্দে জড়িয়েছ তুমি আমাকে ,
আবার কখনো সে স্বার্থে যুদ্ধেই জড়িয়েছি আমি তোমাকে ৷
অস্ত্রের মুখে বিরোধীতা করবে বলো কার সাধ্য আছে?
তবুওতো কেউ না কেউ গর্জে উঠবে হয়তো সেটাও আপন স্বার্থে ৷




যেদিন তর্জনী উঠবে 
******************



আমার পক্ষেও একদিন তর্জনী উঠবে
রাস্তার মোড়েও সেদিন পিকেটিং হবে ,
ছাত্র জনতা মিলে রাজপথ দখল নিবে
ঝড়ো স্লোগানে চারিদিক মুখরিত হবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন কেউ দাঁড়াবে
কাঁধে কাঁধ রেখে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে ,
ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে পাশে দাঁড়াবে
ন্যায়ের পক্ষে বুকটা টান করে দাঁড়াবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন ওরাই লিখবে
যে কলম আজকে ভয়ে পকেটে আছে ,
সংবাদপত্র সেদিন আবারো সরব হবে
টিভি রিপোর্টাররাও ছুটে চলে আসবে ৷

আমার জন্যও কোন মা সিজদায় রবে
আবার কোন মা ঠাকুর ঘরে পড়ে রবে ,
কেউ রোজা রবে ,কেউবা রাখি বাঁধবে
জয়ীও হবো ওদেরই দোয়া আশির্বাদে ৷

একদিন ওরা ঠিক সংগ্রামী হয়ে যাবে
দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি জ্বলে উঠবে ,
অন্যায়ের প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে
নিজের অধিকারও আদায় করে নিবে ৷




যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছিনা 
******************


তবে তাই হোক তোমাদেরই জয় হোক
আমার নাহয় ব্যারাকেই ফিরতে হোক
আমার জন্য দরকার নেই কোন শোক ৷

জয় হোক আজকে ওদেরই জয় হোক
যারা ভঙ্গুর সমাজে রক্তখেকো জোঁক
আমরা নাহয় হলাম আজ ছোটলোক ৷

বেঁচে থাকো তোমরা শতাব্দীর সমদিন
বিবেকের কাছেই থাক তোমাদের ঋণ
শতায়ু হোক তোমাদের বাঁচার এইদিন ৷

আজকে আমরা ব্যারাকে ফিরে যাবো
আমাদের যাই আছে জমা দিয়ে দেবো
দেশপ্রেম আর প্রতিজ্ঞাটা রেখে দেবো ৷

আজকের মতো হয়তোবা ফিরে যাবো
নতুন করে আবারও সব গুছিয়ে নেবো 
ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে স্বপ্নটা সাজাবো ৷




কিছুই অবশিষ্ট নেই 
*****************


এখানে আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই 
এক সুশৃঙ্খল সমাজ চাইতে গিয়ে দেখি ! 
সে সমাজ উশৃঙ্খলতার আগুনে পুড়ছে
অথচ সমাজপতিরা আলু পোড়া খাচ্ছে ৷

এখানে আজ আর কিছুই পাওয়ার নাই 
সস্তায় আজ যা মেলে তা শুধুই উপদেশ ,
নয়তো নেতাজীদের মিথ্যে আশার বাণী
আর কৃত্তিমতায় ঝড়ানো চোখের পানি ৷

এখানে আজ স্বপ্ন দেখাই যেনো দুঃস্বপ্ন 
ইচ্ছাগুলো গলাটিপে হত্যা করছি রোজ ,
স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন প্রতিদিন হয় নিখোঁজ 
আর ; সমাজপতিরা দেখায় মিছে দরদ ৷

এখানে আজ বেঁচে থাকাটাই বিলাসিতা 
আর মৃত্যু সেতো আজ একেবারেই সস্তা ,
জীবন সাজাতেই জীবন আজকে মরিয়া 
অথচ মৃত্যুকে রাখি বুকপকেটে ঢাকিয়া ৷

এখানে আজকে কেউই ইতিহাস ঘাঁটেনা
ক্ষমতা আর অর্থ দম্ভই যেনো মূল চেতনা
মগজেও লালন করে নোংড়া চিন্তা,ছলনা
অথচ ভাবটা তার ; সে ধোয়া তুলসিপাতা ৷




আমার চাওয়া 
*************




বুক সেল্ফে বন্দী পড়ে থাকা গণতন্ত্র আমার চাইনা ,
যে গণতন্ত্রর মুখোশে স্বৈরাতন্ত্রর বাস তাকে চাইনা ,
বুক ফুলিয়ে যে গণতন্ত্রে কথা বলা যায় তাকে চাই ৷

পর্দার আড়ালে বিদ্রোহী কবিতা আবৃতি করবোনা ,
জনমঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করতে চাই বিদ্রোহী কবিতা ,
আজকে আমি আমার বাকস্বাধীনতার মুক্তি চাই ৷

রাজনীতির পকেটে বন্দী গণতন্ত্রকে অামার চাইনা ,
হাতে-পায়ে শেকল জড়ানো কথিত গণতন্ত্র চাইনা ,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো সতন্ত্র হয়ে উড়ার গণতন্ত্র চাই ৷

যে সংবিধান স্বাধীনতার মুক্তি দেয়না তাকে চাইনা ,
যে সংবিধান রাজনেতার হয় জনতার না তা চাইনা ,
আমার সংবিধানে আমার জন্য বলার ক্ষমতা চাই ৷

যে আইন দূর্বলের না হয়ে সবলের হয় তাকে চাইনা ,
ক্ষমতা অার টাকায় বিক্রি হওয়ার আইনও চাইনা ,
আমার আইন সেতো ভরসা ও আস্থার হওয়া চাই ৷

আমার দূর্বলতাকে পূঁজি করে দুর্নীতি হতে দেবোনা
আমার ন্যায্য হিস্যায় অনিয়ম হবে তাও মানবোনা
দুর্নীতিহীন অধিকারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া চাই ৷






আমি যা চাই 
************



তোমাদের বাক্সবন্দী স্বাধীনতা আমি চাইনা
আমি শুধু মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে চাই ,
যে হাওয়ায় ভেসে বেড়াবে না বারুদের গন্ধ  
অাবার ; পঁচা লাশের গন্ধও নাকে লাগবেনা ৷

অবচেতন মনের চেতনাবাদ আমার চাইনা ,
আমিতো শুধুই আমার আগামী ফেরত চাই ,
অনেক হয়েছে এবার এ ব্যবসা বন্ধ করো
বিশ্বাস করো ধোঁকাবাজি আর সহ্য হয়না ৷

নীতিহীনদের নীতিকথা আর শুনতে চাইনা
ওদের গালগল্প , ভন্ডামি আর কত সইবো ? 
আমিতো শুধুই দূর্নীতিমুক্ত এক সমাজ চাই ,
নীতি আদর্শহীন ভাবে আমি বাঁচতে চাইনা ৷

আমি বাক প্রতিবন্ধী হয়েতো বাঁচতে চাইনা ,
আমিতো শুধু উচিত কথাগুলো বলতে চাই ,
আর চাই ; ন্যায্য পাওনা চাওয়ার ক্ষমতাকে
বলতে গেলে কণ্ঠ চেপে ধরবে তা মানবোনা ৷






পুরোনো শহরের স্মৃতি
********************




একদিন আমিও ছিলাম তোমার পুরোনো শহরে 
আমারও বসতভিটা ছিলো তোমার পুরোনো সে 
শহর জুড়ে ৷

ভালোবাসাময় এক যৌথ খামার ছিলো সেখানে ,
দুয়ার ছিলো ; ছিলো জানালা ভরা প্রিয় আকাশ 
আর তুমি ছিলে ৷

আমার অপেক্ষাতেই বন্দী থাকতে ভেতর দুয়ারে
কখন ফিরবো আর কড়া নাড়বো খামারের সেই 
বন্ধ দুয়ারে জোড়ে ৷

আজও স্বপ্ন দেখার স্বপ্নেরা আছে তোমার শহরে ,
শূন্যতা আর হতাশার যৌথ গ্রহণ চলছেই আজও
আমার শহর জুড়ে ৷

যে শহরে একদিন ছিলো ভালোবাসার মাদকতা
সে শহর আজকে ভালোবাসাহীন ; আছে শূন্যতা 
আর ব্যার্থতা ৷

তোমার শহরে আজ জানালা ভরা প্রিয় আকাশ ,
আর আমার শহরে আজও পাওয়া না পাওয়ার 
যন্ত্রনার বসবাস ৷

তোমার শহরে তুমি তোমার মতো ভালো থেকো ,
অামিও ভালো থাকার অভিনয়টা আমার মতো  
শিখে নেবো 





আমি তোমার দখলে 
*******************


যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে
তুমি জেকে বসছো এ অন্তরে ,
প্রতিনিয়ত তোমার বিস্তৃতি ঘটছে
তুমি দখল নিয়েছো এই অম্তরে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে
ছায়ার মতো থাকছো আমার পাশে ,
আর তোমার বসতি গড়ে উঠছে 
আমার এই ভাংগাচুরা অন্তর জুড়ে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
আমি হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
তোমাকে দেখছি সারা সত্তা জুড়ে ,
নির্ভরশীল হচ্ছি তোমার উপরে
ঠিক পরজীবিদের মতো করে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
বেওয়ারিশ চর দখলের মতো করে
আমিও যাচ্ছি তোমার পূর্ণ দখলে ৷



সাক্ষাৎকারে : জ্যোতির্ময় রায়

কাজী জুবেরী মোস্তাক




বিদ্রোহী হয়ে জন্মাবো 
********************



তোমাকে প্রশ্ন করি সাধ্য কি আমার ?
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে দেখি সত্য বলার অপরাধে জিহ্বা হীন মুখটাই শুধু পড়ে আছে ৷
তোমার চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করবো ভেবেছিলাম ,
কিন্তু তোমাকে চেনার অপরাধে আমার চোখটাই তুমি নিয়ে নিয়েছো ৷
তোমার দিকে আঙুল তুলবো সে ক্ষমতা কি আমার আছে ?
আমার আঙুলতো বহু আগেই খেয়ে নিয়েছে
তোমাদের ঐ ক্ষুধার্ত নোংরা রাজনীতি ৷
তোমার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি
সে পা টাতো কবেই হারিয়েছি তুমি বিরোধী কোন এক মিছিলে গিয়ে ৷
তবুও আমি তুমি বিরোধী মিছিলের প্রথম সিপাহসালার ,
বিদ্রোহী হয়েই জন্ম নেবো মৃত্যু হবে যতবার ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক







দেখা দাও প্রভু 
************


প্রতিনিয়ত তোমাকে আমি পান করি
গ্লাসে গ্লাসে প্রতি ওয়াক্তেই পান করি
তোমার প্রতিটা ভাঁজেই আনন্দ দেখি ৷

প্রতিনিয়ত তোমাকে নতুনভাবে দেখি
অার বারবারই তোমার প্রেমেতে মজি
বুঝিনা কি তোমার প্রেমের কারসাজি ৷

ধীরে মৃত্যুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছি আমি
তবুও তোমাকে অনবরত চেয়ে যাচ্ছি
তুমিই একমাত্র ভরসা তুমি অন্তর্জামি ৷

প্রতিটি চরণেই তোমার প্রেমেতে মজি
যের,জবর,পেশে তোমার তসবি জপি
তুমিই আমার আরাধ্য তুমিই শুধু তুমি ৷

এ জগতে এক বেগানা মুছাফির আমি 
এ মানব বনে তোমার তালাশেই ঘুরছি 
এই দিল কাবাতে প্রভু দেখা দাও তুমি।

কাজী জুবেরী মোস্তাক






ওরা ভুলে গেছে 



মাঝে মাঝে ওরা বেমালুম ভুলে যায়
এ বাংলা কোন ব্রিটিশ কলোনী নয় ,
নয়কো জারজ পাকিস্থানী কলোনী ৷

মাঝে মাঝে ওরা বেমালুম ভুলে যায়
যে,আমার টাকাতে ওরা বেতন পায় ,
খেতে পায় আমার ফলানো ফসলে ৷

মাঝে মাঝে ওরা বেমালুম ভুলে যায়
যে,আমার ভোটে ওরা ক্ষমতায় যায় ,
অথচ আমার উপরেই ছড়ি ঘোরায় ৷

মাঝে মাঝে ওরা বেমালুম ভুলে যায়
এই দেশ কোন স্বৈরতান্ত্রিক দেশ নয় ,
এদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটা দেশ ৷

মাঝে মাঝে ওরা হাতে হাতও মেলায়
আবার বুকে জড়িয়ে নেয় অবলীলায় ,
আহ্ কি সুনিপুন ওদের সে অভিনয় ৷

আমার মাথাতেই কাঁঠাল ভেঙে খায় 
তাকেও আবার শূলে চরায় নির্দিধায় ,
হাতে মেলানো হাতটা সাতবার ধোয় ৷

মাঝে মাঝে ওরা অতীতটা ভুলে যায় 
শেকড়কে ভুলেই শিখড়ে উঠতে চায় ,
দেশকেও বাঁশের খাঁচা বানিয়ে ছাড়ে ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক

 আজ আমি কাল তুমি 
**********************




আজকে যেমনটা তুমি ঘুমিয়ে আছো
আগামীকাল আমিও ঘুমিয়ে থাকবো ,
আজকে যেমনটা আমি আছি প্রেসে
আগামীকাল তোমার সংবাদ থাকবে ৷

যেমনটা তুমি জেগে ওঠোনি আজকে
আগামীকাল তুমিও পাবেনা কাউকে ,
আজকে যেমনটা অসহায় এই আমি
আগামীকাল তেমনটাই থাকবে তুমি ৷

আজকে যেমন চলেছো পাশ কাটিয়ে
আগামীকাল তোমাকেও যাবে এড়িয়ে ,
আজকে যেমন আমি চলছি একাএকা
আগামীকাল তুমিও থাকবে একাএকা ৷

আজকে যেমন আমাকে ছিঁড়ে খাচ্ছে
আমার ভাইকে রক্তাক্ত ফেলে রেখেছে ,
আগামীকাল তোমার বোনটাকে খাবে
আর ভাইকে আবিষ্কার করবে ডোবাতে ৷

আমার সাথে অন্যায় তবু তুমি চুপচাপ
আগামীকাল তুমিও পাবেনা কোন মাফ ,
তাই সময় থাকতে প্রতিবাদী হয়ে ওঠো
আঁধার ভেদিয়া আলোক মশাল জ্বালো ৷

কাজী জুবেরী মোস্তাক




ভালোবাসা মানে 
***************



ভালোবাসা মানে আমি তুমি মিলে আমরা হয়
আর ওরা আমাদের ভালোবাসার খামারী কয় ৷

ভালোবাসা মানে দু'জনে মিলে শুধুই খুনসুটি
আর তুমি-আমি আমরা মিলে যৌথ কেমিস্ট্রি ৷

ভালোবাসা মানে তোমার কোলে মাথা রাখা
আর রাত জেগে দু'জনের জোৎস্না স্নান করা ৷

ভালোবাসা মানে দুইটা স্লাইস একটা বোতলে 
তবুও তৃপ্তিতে দু'জনেই সুখের ঢেঁকুর তোলে ৷

ভালোবাসা মানে ঘরের খোঁজে আজ ঘর ছাড়া
আর সুখের আশায় দু'জনে ফেরারী হয়ে ঘোরা ৷

ভালোবাসা মানে দু'জনে মিলে যৌথ স্বপ্ন বোনা
আর আমি - তুমি মিলে একটা সুখের বিছানা ৷

ভালোবাসা মানে শুধুই কাম বাসনার সঙ্গী নয়
ভালোবাসা মানে দুই দেহে এক প্রাণ হতে হয় ৷