ইদানীং
ঘরে খিল দিয়ে
কার দিকে চেয়ে
নিজের মতো করে ছড়িয়ে আছো
নিশ্বাসের ভেতর
ভালোবাসা যতো ভরিয়ে আছো ।
তুমি চলে যাচ্ছিলে
আমায় আলগোছে
বেশ কয়েকটা আলতো চুমু দিয়ে অভিমানে
তোমার এলোচুল শাশ্বত আনন্দ হয় যেখানে ।
আকাশের নীচে খোলা হাওয়া
অসহায় শরীরের বাগান প্রাণবন্ত
চুমুর দহন ।
ঠোঁটের আতপতাত সর্বোত্তম
রমণ মরণ ।
গুচ্ছগুচ্ছ ঘাসের ডগায় শিশির
রমনপ্রপাত হৃদয়লীন
রোদের ঝলসানি
চন্দ্রমার মতো যৌবন শরীরে রমণী ।
অনেক দিনপর বৃষ্টি দেখলাম
তোমার জানলায় একলা শীত
হাত বাড়িয়ে ডাকছিলো তোমাকে
তখন
তুমি অন্য বৃষ্টির মেঝেতে শুয়ে
ঠোঁটের সব পুরোনো রঙ ধুয়ে
আঁকছিলে তোমার নিজের রঙের বিহ্বলতায়
নিঃসঙ্কোচে
গৃহিণীর শরীর বদলে অন্যের বিষয়ী সুখীর ঈর্ষায়
তোমার ব্যক্তিগত সুখ ।
আমার রাত্রি ব্যতিক্রম হাওয়ায়
আমার একলার সংবৃত বিছানায়
আজও বেশ লাগে তোমার বিয়ের বেনারসি শাড়ি
সেই রঙ সেই গন্ধ সেই ঢঙ সুতোর বুনোনভারি
যেন বাইশের যুবতী বয়স । ধারাল ছুরি উচ্ছ্বসিত ।
তোমার শরীরের সব খাঁজ শাড়ির প্রত্যেক ভাঁজে
দিনলিপির রোজনামচা প্রনয়সারা বিলোল লাজে ।
ইদানীং
পৃথিবীর দুয়ার দিয়ে
আকাশের দুয়ার দিয়ে
তুলে রেখেছি
তোমার বেনারসি শাড়ি ফুলের ফাঁস সম্পর্কের আঁচ উৎসঙ্গের সারে
খুব যত্নে দু ‘চারটে ন্যাপথলিনের গুলি ছড়িয়ে আলমারির অন্ধকারে ।
সুস্থ আমি তোমার দীর্ঘ সহবাসের ছায়ায় সৌকর্য ঢেলে আমার শরীরে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন