দরজার কোনে উঁকি দিয়ে দেখতাম সিনেমা
মায়ের কালসিটে বেয়ে গড়াতো রক্ত,
ছুটে পালাতাম ছাদের কোনে চুপিসারে
সব চাপা দিয়ে হতে হবে বাবার ভক্ত।
দিন পনেরো কাটতো পেতাম না কোল
মায়ের স্তন অনাহারে গেছিলো শুকিয়ে,
দুধ না পাওয়ায় শুরু হতো অত্যাচার
কাঁদতাম আড়ালে., মায়ের চোখ দিতাম মুছিয়ে।
চাকরির পরীক্ষা আসে যায় পোড়ে বইপত্র
বাবাও কিন্তু চাইতোনা মায়ের হোক আয়,
পাছে স্বনির্ভরতায় সে বিচ্ছেদ চেয়ে বসে
মানসিক যন্ত্রণা দিতো,সাফল্য পাওয়া দায়।
দাদা একটু বড় হলো বুঝতে শিখলো সব
ঘরবন্দি মাকে মারতে দেখে সপাটে দিলো থাপ্পড়,
প্রতিবেশীদের হাসাহাসি সম্মান হলো নষ্ট
দাদার পায়ে পড়লো কোপ ঠান্ডা হলো চড়।
মা ভীষণ অভিমানী দেওয়ালে ঠেকলো পিঠ
আমার বয়স তিন কি চার কিছুই বুঝিনি,
সিলিংয়ে ঝুলছিলো মা চারিদিকে হাহাকার
বোবার মতো দেখছিলাম চোখ মুছিনি।
দাদা বড্ডো শান্ত হলো বাবার মুখে হাসি
আমার মা আমাকে আর সোনা বলে ডাকেনি,
নিজে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ি ঘরের এককোনে
দাদার মুখে সিগারেট আর ঘরে ফেরেনি।
নতুন মা আগলায়নি বাসেনি একটুও ভালো
বাবাও আর বরাবর চায়নি কাছে আসেনি,
অন্য দাদা আপন হলো মেয়ে ঘাড়ের বোঝা
সব হারিয়ে নিঃস্ব, ওরা কেউ কথা রাখেনি।
অন্য দাদা যখন পড়লো ঝাঁপিয়ে.,বয়স নয়
শরীরে কত রক্ত ছিল ব্যাথা পেয়েছিলাম খুব,
দিনে দিনে বাড়লো ব্যাথা কেউ জানতে আসেনি মায়ের কাছে এলাম, দিয়ে নদীর স্রোতে ডুব।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন