নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুপারস্টার(প্রথম পর্ব) : সুকান্ত মন্ডল





বৈশাখ মাস ।  প্রকৃতির প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। চারিদিকে নির্জীবতার ছায়া । মাঠ -ঘাট চৌচির আর শুনশান । বিবর্ণ প্রকৃতিরানী। দুপুরের ঝলসানো প্রখর রোদ্রে , তুহিনের হাজার স্বপ্ন ও বিবর্ণতার রূপ পায়। নীলকণ্ঠপুরের তীব্র গরম ও বুঝতে পারছিল , সে খুবই কষ্টদায়ক ও একঘেয়েমি । কিন্তু তার কিছুই করার ছিল না।  সময় হলেই একটা সবুজ পাতাতেও তার চিহ্ন থাকবে না। এখন তার সাম্রাজ্য,  তার রাজত্ব  । দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে জমিয়ে যখন একটা নীরব ঘুম দিতে যাচ্ছিল, হঠাৎ তুহিনের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে দেখল , তুহিনের বাবা  দরদরে ঘাম গায়ে রাগান্বিত অবস্হায় চোখ বড়ো বড়ো করে জুতো দিয়ে পিটছে ক্লাস ইলেভেনে পড়া ছেলেটিকে।                                আর পুরো নীলকণ্ঠপুর গ্রাম কাঁপিয়ে তুহিনকে গালিগালাজ  করছে - "এতো রোদ্রে তো পরিশ্রম করতে হয়নি।  মাথা ফাটাতে হয়নি। ভালোবেসে বাড়িতে থাকতে বলেছি। মাঠে ধান কাটতে নিয়ে যায়নি এক গ্লাস জল চেয়েছি এই যাচ্ছি বলে ,এক ঘন্টা কাটিয়ে দিল !  এদিকে বাবা- মা রোদে জ্বলে -পুড়ে মরছে দুটো ভাত জোগাড়ের তাগিদে,  আর সে জানোয়ার সিনেমা দেখায় মগ্ন। সিনেমার সুপারস্টার হবে !  ছাই আর কচু হবে ।    আরে ! সুপারস্টার তো তাদেরই বলে : বাস্তবে যারা বাবা -মাকে সাহায্য, সহানুভূতি  আর স্নেহ করে । পড়াশোনা তো গাছে উঠে গেছে কবেই। বাপের হোটেলে গোগ্রাসে দুটি গিলছে আর খালি টিভি আর টিভি।  এরকম ছেলে ঘরে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো, দূর হয়ে যায় না কেন "

  অন্যদিকে প্রতিপক্ষ তুহিন ও মারতে যাচ্ছিল বাবাকে ।  কোনোরকম তুহিনের মা দুজনকে সামলে নিয়েছিল। তুহিনের মেজাজি গলা তুহিনের বাবার মেজাজি গলার থেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল  , 'কি ভেবোছো টা কি ? তোমার টাকায় খাচ্ছি বলে দোষারোপ  করছো !'


(চলবে...)

কোন মন্তব্য নেই: