শিমুল ফুলের ভায়োলিন
*******************
( এক )
নড়বড়ে ঠোঁটের সেতু ,
ব্যথাহত কথারা পারাপার হতে না পেরে
চোখের সূচিপত্রে -জল অক্ষরে লেখা ।
ঠোঁটের ওঠানামা ,
যেখানে চোখের থেকেও নীরব
সেখানে চোখের পাতা ওল্টাই ।
দেখি , চোখের নদীতে ভাসে
একগুচ্ছ পলাশ ফুল ।
ঠোঁটের সেতুর প্রতি
আর আমার ভরসা নেই !
আজ ওই সেতু দিয়ে
শুধু চাঁদ পারাপার হয় ।
চোখের নদী সাঁতরে কুড়িয়ে আনি
বৃন্তচ্যুত একগুচ্ছ শিমুল ফুল ।
( দুই )
দোলপূর্নিমার চাঁদ বাজায় ,
শিমুল ফুলের ভায়োলিন ।
কী বিষন্ন সেই সুর !
আমায় স্মৃতিতে চমকায় ।
পুনরায় উল্টে দেখি –
তোমার চোখের সূচীপত্র ।
ধূসর চরাচরে
একাকী বিষন্ন মনে শুনি –
শুকনো পাতার সানাই ।
( তিন )
ঝরাপাতার জলসাঘরে
ভেসে আসে কোকিলের বিষন্ন সুর ।
অদূরে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
কচিপাতার দোতারা বাজায়
দক্ষিনা বাতাস !
বাসন্তী আকাশের নীচে আমাকে বাজায় –
বৃতি খুঁজে পাওয়া অশোকফুল ।
ঝরাপাতায় সওয়ারি হয়ে দেখি
আমার প্রিয় রাধাচূড়া
আজ তোর কানের দুল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন