কিছু আলাপ কিছু কথা
**********************
প্রশ্ন :১:- আপনার কাছে কবিতা কি ?
কবিতা কেনো লিখি, এ নিয়ে বহুবার ভেবেছি : আর প্রতিবারই সহজ উত্তরটা নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে কাছে এসেছি।কখনো ভেবেছি যা বলতে পারছি না / সহ্য করতে চাইছি না, তবু করতে হচ্ছে।কখনো কবিতার শৈলী ও ভাবনাকে ভেঙে ফেলতে হবে।কখনো প্রতিরোধের উপাদান।আপাতত যা এই মুহূর্তের শেষ চিন্তা : তা হলো যাপন এবং নিজেকে আবিষ্কার।একটা বিশেষ উপলব্ধি : মুক্ত করতে হবে চিন্তাকে, অবাধ করতে হবে তার সীমানার জগৎ।
২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ?
প্রিয় কবি বহু রয়েছেন : যেমন জীবনানন্দ থেকে শঙ্খ ঘোষ (রবীন্দ্রনাথকে রেখেও বললাম)।তবে শিখেছি যেসব জায়গা থেকে তাদের অন্য মাত্রায় রাখবো।যেমন : বারীন ঘোষাল, দীপঙ্কর দত্ত, ভাস্কর চক্রবর্তী, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, স্বদেশ সেন, অরুনেশ ঘোষ, সৌমিত্র রায়...... অনেক অনেক নাম।আর কবিতা পাক্ষিক প্রকাশিত পোস্টমডার্ন কবিতার ৩০০ সংকলনটি জীবনের বাঁক বদল বলবো।
৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ?
ওই যে বললাম : রাহুলকে আবিষ্কার।শব্দরূপকে খুন, তাকে নবজন্মের নির্মাণ।তার চেনা-অচেনাকে বোঝা, ভালোবাসা।
৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত)
১ম কবিতা : কিছু উত্তরবিহীন প্রশ্ন (অপ্রকাশিত)।এরকম শ-দেড়েক কবিতা রয়ে গেছে
১ম বই : নো ম্যানস্ ল্যান্ড (কবিতা পাক্ষিক, ২০১৭)
৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
এই সময়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।তবে জটিল অনেকের কাছেই, কারণ পাঠক যাপনে বিশ্বাস করেন না।সংকোচন - প্রসারণে আজও আস্থাহীন তিনি।অর্থাৎ খুব সহজ কথায় তার চিন্তন এখনো দাসত্ব কাটানোর রাস্তায় পথ চলা শুরু করে নি।তিনি মুখে বলছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময়ের চেয়ে এগিয়ে, অথচ তাকে বুঝতে গেলে সেই ১৯৪০এ যেতে হবে।এটা কেন
আসলে কবিতার ভেতর যে অন্তর্নিহিত দৃষ্টি তাকে উপলব্ধি না করতে পারলেই সমস্যা।সময় তো পাঠকের জন্য থেমে থাকবে না, অতএব সময়কে বোঝা এবং কবির অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সাথে (আমি একে সংকেত বলি) যোগাযোগ, এদুটি সমান্তরাল অনুশীলন : যার দায়িত্ব পাঠককেই নিতে হবে।
আমার কথা :
জীবন একটা পেন্ডুলামের মতো।১টি দোলকের গতিপথে মিশে থাকছে আরেকটি গতিপথ ও তার সম্ভাবনা।ফলতঃ সেগুলি মাল্টি অরবিটের আকার নিয়ে আরো বৃহৎ কিছুর দৃষ্টিপট তৈরি করছে।আর এই চূড়ান্ত বোহেমিয়ান পর্যবেক্ষন ডায়রির পাতার পর পাতায় লেখচিত্র।আমি সেইসব অসম্পূর্ণ লেখচিত্রগুলোর ছবি জমাতে চাই।প্রকৃতি এবং তার অদৃশ্য শক্তিগুলোর সাথে পরিচয় আলাপের যাপন : এভাবেই কবিতার মহাউল্লাস
কবিতা গুচ্ছ
***********
হঠকারী সকাল & পরবর্তী দ্রাঘিমাংশ
------------------------------ ------------------------------
১
~ আণবিক ~
সূর্যের লতানো আলো চোখের কম্পাঙ্কে
বিছানায় ঢেলে দিলাম গন্তব্যপথ
কাছাকাছি শহরের ধারাবিবরনী নেই / আলপথ
সকাল ১০-৩০।অজুত মরুদ্বীপের মসৃণ খোলোশ
কয়েকমুঠো ভালোবাসা : ডাকবাক্স থেকে সরাসরি
২
~ পারমাণবিক ~
এই মুহূর্ত।সৌর বিকেল : বিকেল ৫-২০
কিছু সময় পরে জোনাকিগোছার সাবমেরিন
অতিরিক্ত জল।সাদা নুন : সাক্ষীভীড় কৃষ্ণপক্ষ
এযাবৎ যাযা কিছু : সময়ের ক্যানভাস
পারদঘনিষ্ঠ সব ধূলোবালি মাখা
৩
~ প্লাজমা ~
ছড়ানো ছিটানো আলপথ
স্বপ্নে দেখছি হারেম আলপনা।অদৃশ্য মেঝে
বিভাজনের আগে : চূড়ান্ত সন্ধে।সন্ধে ৬-২০
গুঁড়ো আকাশ = আগাপাছতলা বর্ষাতির চেহারায়
ব্যক্তিগত ম্যাগনেসিস্ > সাপের চেয়েও
৪
~ শূন্যতা ~
?? ( = এখানে কোনো অন্ধকার নেই =) ??
↓
উ ত্ত র
যা ব তী য়
৫
~ মাত্রা ~
যেখানে ভাঙতে চাই : জ্যা
তরল হয়ে ওঠে ঘেমো অমনিবাস
ইদানীং : তাজমহলের ভয় → স্বরবর্ণ বাজি রেখে
| এসো |
শ্যাওলার কুসুম মাখিয়ে অস্বচ্ছ করি মজলিশ
খিদের ডুমুরঘুড়ি [ঘড়ি] : ঈশারায় নকল-পারদ
শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী